০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেল স্বামী, পরে ঘটলো আর এক বিপত্তি     

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ অগাস্ট ২০২২, বুধবার
  • / 52

PIC-COLLECTED

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মিললো না অ্যাম্বুলেন্স।বাধ্য হয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঠেলাগাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে গেল এক যুবক।টানা এক কিলোমিটার হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছয় ওই যুবক।সেখানে গিয়ে ঘটে অন্য আর এক বিপত্তি।

 

আরও পড়ুন: Gaza hospital-এ বোমা মেরে ৫ সাংবাদিককে খুন ইসরাইলের

উল্লেখ্য, কৈলাশ আহিরওয়াল নামক এক যুবক তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে ঠেলাগাড়িতে এক কিলোমিটার যাত্রা সম্পন্ন করে সরকারি হাসপাতালে পৌঁছিয়ে দেখেন হাসপাতাল পুরো ফাঁকা।নেই কোনও চিকিৎসক।মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দামোহ জেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রানেহ গ্রামে।সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই রীতিমতো নিন্দার ঝড় তুলেছে নেটিজেনরা। এই প্রসঙ্গে হাট্টার ব্লক মেডিকেল অফিসার আর পি করি জানিয়েছেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি।আর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: কাঁথিতে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ বহু গ্রামবাসী!

অ্যাম্বুলেন্স প্রসঙ্গে তিনি জানান, ওই সরকারি হাসাপাতলে কর্মরত কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, কেনও তাঁরা ওই যুবকদের অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা দেওয়া হয়নি।কেনও তাঁদের এত ঝুঁকি ও কষ্ট করে হাসপাতালে পৌঁছাতে হল।

 

এই প্রসঙ্গে,কৈলাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রীর হঠাৎ  প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের জন্য তিনি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের নম্বর ১০৮-এ ফোন করেন।কিন্তু ২ ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার পরও কোনও অ্যাম্বুলেন্স আসেনি। শেষে নিরুপায় হয়ে প্রসবযন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা স্ত্রীকে তিনি ঠেলাগাড়িতে তোলেন। এক কিলোমিটার হেঁটে যান স্থানীয় আরোগ্য কেন্দ্রে। কিন্তু সেখানেও কাউকে পাননি। কোনও চিকিৎসক বা নার্স ওই আরোগ্য কেন্দ্রে ছিলেন না বলে অভিযোগ কৈলাসের।

 

পরে অবশ্য তাঁর স্ত্রীকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স করে তাঁকে দামোহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেল স্বামী, পরে ঘটলো আর এক বিপত্তি     

আপডেট : ৩১ অগাস্ট ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মিললো না অ্যাম্বুলেন্স।বাধ্য হয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ঠেলাগাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে গেল এক যুবক।টানা এক কিলোমিটার হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছয় ওই যুবক।সেখানে গিয়ে ঘটে অন্য আর এক বিপত্তি।

 

আরও পড়ুন: Gaza hospital-এ বোমা মেরে ৫ সাংবাদিককে খুন ইসরাইলের

উল্লেখ্য, কৈলাশ আহিরওয়াল নামক এক যুবক তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে ঠেলাগাড়িতে এক কিলোমিটার যাত্রা সম্পন্ন করে সরকারি হাসপাতালে পৌঁছিয়ে দেখেন হাসপাতাল পুরো ফাঁকা।নেই কোনও চিকিৎসক।মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দামোহ জেলা সদর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রানেহ গ্রামে।সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই রীতিমতো নিন্দার ঝড় তুলেছে নেটিজেনরা। এই প্রসঙ্গে হাট্টার ব্লক মেডিকেল অফিসার আর পি করি জানিয়েছেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি।আর এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

 

আরও পড়ুন: কাঁথিতে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ বহু গ্রামবাসী!

অ্যাম্বুলেন্স প্রসঙ্গে তিনি জানান, ওই সরকারি হাসাপাতলে কর্মরত কর্মীদের বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, কেনও তাঁরা ওই যুবকদের অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা দেওয়া হয়নি।কেনও তাঁদের এত ঝুঁকি ও কষ্ট করে হাসপাতালে পৌঁছাতে হল।

 

এই প্রসঙ্গে,কৈলাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রীর হঠাৎ  প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের জন্য তিনি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের নম্বর ১০৮-এ ফোন করেন।কিন্তু ২ ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার পরও কোনও অ্যাম্বুলেন্স আসেনি। শেষে নিরুপায় হয়ে প্রসবযন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা স্ত্রীকে তিনি ঠেলাগাড়িতে তোলেন। এক কিলোমিটার হেঁটে যান স্থানীয় আরোগ্য কেন্দ্রে। কিন্তু সেখানেও কাউকে পাননি। কোনও চিকিৎসক বা নার্স ওই আরোগ্য কেন্দ্রে ছিলেন না বলে অভিযোগ কৈলাসের।

 

পরে অবশ্য তাঁর স্ত্রীকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স করে তাঁকে দামোহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর স্ত্রী।