নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে এলে, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে : জোহরান মামদানি
- আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
- / 306
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে শহরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেবেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্র্যাটিক মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি। জোহরান মামদানি যদি নির্বাচিত হন তৎক্ষণাত তিনি এই পদক্ষেপ নেবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
মামদানি অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু গাজায় ব্যাপক পরিমাণে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছেন। এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত অর্থাৎ আইসিসি যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে, সেটির প্রতি সম্মান জানানো হবে। আর এই সম্মান বজায় রেখে নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে নামলেই বিমানবন্দরেই তাঁকে আটক করা হবে। তবে এই বিষয়ে অনেক আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত, যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়।
তাই এই আদালতের রায় কার্যকর করার কোনও বাধ্যবাধকতাও নেই। ফলে স্থানীয় পুলিশ দিয়ে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করা প্রায় অসম্ভব। অনেকের মতে এই ধরনের পদক্ষেপ নিলে তা ফেডারেল আইনের লঙ্ঘনও হতে পারে। বর্তমানে মামদানির এই প্রতিশ্রুতি নিউইয়র্ক রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, এই শহরটিতে বর্তমানে বিপুলসংখ্যক ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস।
কিন্তু তা সত্ত্বেও গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। নিউইয়র্কবাসীর একাংশ মামদানির অবস্থানকে সমর্থন করছে। সম্ভাব্য ইহুদি ভোটারদের মধ্যেও প্রায় ৩০ শতাংশ তাঁর পাশে রয়েছেন। এমনকি নেতানিয়াহুর পাশাপাশি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেও গ্রেফতারের অঙ্গীকার করেছেন মামদানি।
নিউইয়র্কের আইনসভার সদস্য মামদানি বলেছেন, “ফেডারেল সরকার নিষ্ক্রিয় থাকলেও শহর ও অঙ্গরাজ্যকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবতার পক্ষে দাঁড়াতে হবে।” উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে সানফ্রান্সিসকোর মেয়র হিসেবে কেভিন নিউসম ফেডারেল আইনের তোয়াক্কা না করেই সমকামী দম্পতিদের বিয়ের লাইসেন্স দিয়েছিলেন। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, মামদানির এই ঘোষণা মূলত রাজনৈতিক কৌশল। যা কোনভাবে বাস্তবায়নযোগ্য নীতি নয়।
কলম্বিয়া ল স্কুলের অধ্যাপক ম্যাথিউ সি ওয়্যাক্সম্যান এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের গ্রেফতারের কোনও নজির নেই। আর এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনাও অত্যন্ত কম।” আর এই প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু মন্তব্য করেছেন, তিনি এই ধরনের হুমকি নিয়ে একদমই বিচলিত নন। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও নেতানিয়াহুকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, “এটি কোনমতেই সম্ভব নয়।” গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, ইসরাইলের সামরিক অভিযানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।













































