রাজ্য না পারলে আদালতই পিএসসি চেয়ারম্যান নিয়োগ করবে: প্রধান বিচারপতি

- আপডেট : ৮ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার
- / 13
মোল্লা জসিমউদ্দিন: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে পিএসসি সংক্রান্ত মামলা। বৃহত্তর জনস্বার্থে পিএসসির চেয়ারম্যান পদের নিয়োগ নিয়ে কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘রাজ্য যদি না পারে তাহলে আদালতে এই পদের নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে’। পিএসসির চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী শামীম আহমেদ। তাঁর দাবি, ‘পিএসসিতে ৬ থেকে ৭ জন সদস্য থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে পিএসসিতে মেম্বার রয়েছেন মাত্র ২ জন। এর জন্য পাবলিক সার্ভিস সংক্রান্ত একাধিক পরীক্ষার ইন্টারভিউ নেওয়া যাচ্ছে না। আটকে রয়েছে বিভিন্ন জুডিশিয়াল সার্ভিসেস এবং ডব্লিউবিসিএস-এর মতো পরীক্ষার ইন্টারভিউও।’ এই ঘটনায় রাজ্যের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল আদালত। পিএসসি চেয়ারম্যান নিয়োগ ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগও উঠেছে। এর পাশাপাশি অভিযোগ, ‘আগে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি পদের নিয়োগের দায়িত্ব ছিল পিএসসির-র হাতে। তবে তা এখন পিএসসির-র কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে’। এই অবস্থায় রাজ্যের কী মত? তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে রাজ্যকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। পিএসসি চেয়ারম্যান পদ খালি থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। রাজ্য সরকারকে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে গতি আনতে নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এতদিনেও সমস্যার সমাধান মেলেনি। এই অবস্থায় পিএসসিতে চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘রাজ্য না পারলে সেক্ষেত্রে আদালতই পিএসসির চেয়ারম্যান নিয়োগ করবে’। কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে, ‘চেয়ারম্যান নিয়োগ না করার ফলে সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ মানা হচ্ছে না’। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে নিয়োগ আটকে থাকার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী শামীম আহমেদ কোর্টের কাছে অভিযোগ জানান, ‘পিএসসিতে ৬ থেকে ৭ জন সদস্য থাকার কথা। কিন্তু, সেই জায়গায় বর্তমানে মাত্র ২ জন সদস্য রয়েছেন। তাছাড়া, একাধিক নিয়োগও আটকে রয়েছে। বিশেষ করে জুডিশিয়াল সার্ভিসেস এবং ডব্লিউবিসিএসের মতো চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই সংস্থার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু, পিএসসির চেয়ারম্যান না থাকায় ওই সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়োগ আটকে রয়েছে’। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্ট কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ‘রাজ্য সরকার যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারে তাহলে হাইকোর্ট নিজেই চেয়ারম্যান নিয়োগের দায়িত্ব নেবে’। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কী মত রয়েছে? তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট এর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্যকে মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।