০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করায় মারধর, ‘টক টু মেয়র’-এ প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ মহিলার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার
  • / 13

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতা পুরসভার অনেক জায়গা থেকেই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ আসে ‘টক টু মেয়র’-এ। তবে, এবার উঠে এল এক অন্য রূপ। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করায় ঘুঁষি মেরে দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া হল এক মহিলার। অভিযোগ, পার্ক সার্কাস সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যা ওই মহিলার অফিসেও ভাংচুর চালায় দুষ্কৃতিরা। শনিবার ‘টক টু মেয়র’-এ ফোন করে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিজের প্রাণ সংশয়ের কথাও জানান মহিলা।

 

জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১০৫/সি থ্রি কড়েয়া রোডে একটি বেআইনি নির্মাণ হওয়ার অভিযোগ জানান ওই মহিলা। মেয়রকে ফোনে মহিলা জানান, কর্পোরেশনে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর পাশের বাড়িতে জি প্লাস ওয়ান অর্থাৎ দোতলা বাড়ি তোলার অনুমতি থাকলেও সেই জায়গায় পাঁচ তলা বাড়ি তৈরি করে ফেলা হয়েছে। তাঁর এই চিঠির জবাবে কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ওই বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার নোটিস দেওয়া হয়েছে। এরপরেই তাঁর অফিসে ভাংচুড় চালায় প্রোমোটারের লোকজন। শুধু তাই নয়, ঘুঁষি মেরে তাঁর দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হয়েছে, বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হলে তাঁকে খুন করা হবে। এই ঘটনা পর থানায় এফআইআর করেন মহিলা। মেয়রের কাছে নির্যাতিত ওই মহিলার প্রশ্ন, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করে তিনি কি কোনও ভুল করেছেন?

 

মহিলার এই অভিযোগ শোনার পরেই তড়িঘড়ি মহিলাকে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে মেয়র বলেন ওই নম্বরে থানায় এই ঘটনা নিয়ে করা তাঁর অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠিয়ে দিতে। মেয়র আরও বলেন, তিনি ওই এফআইআর কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে পাঠাবেন এবং এই ঘটনা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। এদিকে এই ঘটনার পর পুলিশের পদক্ষেপ এবং কলকাতা পুরসভার সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র বলেন, পুলিশকে গালি দেওয়া অত্যন্ত সহজ। তারা কাজ করছে। এটা নিয়ে অভিযোগ হয়েছে। নিশ্চিতভাবে পুলিশ এটা নিয়ে পদক্ষেপ করবে। আমার মনে হয় না কোনও মহিলাকে মারা হবে আর সেটা ছেড়ে দেওয়া হবে। এটা হতে পারে না।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করায় মারধর, ‘টক টু মেয়র’-এ প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ মহিলার

আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতা পুরসভার অনেক জায়গা থেকেই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ আসে ‘টক টু মেয়র’-এ। তবে, এবার উঠে এল এক অন্য রূপ। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করায় ঘুঁষি মেরে দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া হল এক মহিলার। অভিযোগ, পার্ক সার্কাস সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যা ওই মহিলার অফিসেও ভাংচুর চালায় দুষ্কৃতিরা। শনিবার ‘টক টু মেয়র’-এ ফোন করে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিজের প্রাণ সংশয়ের কথাও জানান মহিলা।

 

জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১০৫/সি থ্রি কড়েয়া রোডে একটি বেআইনি নির্মাণ হওয়ার অভিযোগ জানান ওই মহিলা। মেয়রকে ফোনে মহিলা জানান, কর্পোরেশনে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর পাশের বাড়িতে জি প্লাস ওয়ান অর্থাৎ দোতলা বাড়ি তোলার অনুমতি থাকলেও সেই জায়গায় পাঁচ তলা বাড়ি তৈরি করে ফেলা হয়েছে। তাঁর এই চিঠির জবাবে কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ওই বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার নোটিস দেওয়া হয়েছে। এরপরেই তাঁর অফিসে ভাংচুড় চালায় প্রোমোটারের লোকজন। শুধু তাই নয়, ঘুঁষি মেরে তাঁর দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হয়েছে, বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হলে তাঁকে খুন করা হবে। এই ঘটনা পর থানায় এফআইআর করেন মহিলা। মেয়রের কাছে নির্যাতিত ওই মহিলার প্রশ্ন, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করে তিনি কি কোনও ভুল করেছেন?

 

মহিলার এই অভিযোগ শোনার পরেই তড়িঘড়ি মহিলাকে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে মেয়র বলেন ওই নম্বরে থানায় এই ঘটনা নিয়ে করা তাঁর অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠিয়ে দিতে। মেয়র আরও বলেন, তিনি ওই এফআইআর কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে পাঠাবেন এবং এই ঘটনা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। এদিকে এই ঘটনার পর পুলিশের পদক্ষেপ এবং কলকাতা পুরসভার সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র বলেন, পুলিশকে গালি দেওয়া অত্যন্ত সহজ। তারা কাজ করছে। এটা নিয়ে অভিযোগ হয়েছে। নিশ্চিতভাবে পুলিশ এটা নিয়ে পদক্ষেপ করবে। আমার মনে হয় না কোনও মহিলাকে মারা হবে আর সেটা ছেড়ে দেওয়া হবে। এটা হতে পারে না।