২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আমদানি প্রায় বন্ধ! ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়ীরা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, সোমবার
  • / 150

এম এ হাকিম, বনগাঁ: কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জেরে বড়সড় প্রভাব পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে। বাংলাদেশ থেকে আসা আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। সাধারণত এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২২৫টি ট্রাক পণ্য আসে বাংলাদেশের বেনাপোল থেকে। কিন্তু রবিবার মাত্র ৪৫টি ট্রাক পেট্রাপোলে প্রবেশ করেছে। শনিবারও সেই সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫০, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০, ৮০টি ট্রাক গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে আসে, উৎসবের সময়ে যা ১৫০ ছাড়িয়ে যায়। তবে এবার সেই আমদানি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পেট্রাপোল বন্দরে লোড-আনলোডে নিযুক্ত শ্রমিক, ট্রান্সপোর্ট মালিক, খালাসি এবং ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছেন, এই অস্বাভাবিক অবস্থার নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্য দফতরের নতুন নির্দেশিকা।

আরও পড়ুন: মদ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ইরাকে

এই নির্দেশিকায় স্থলবন্দর দিয়ে বিশেষত রেডিমেড গার্মেন্টস, ফল, কাঠের আসবাব ও সুতোর মতো সামগ্রী ভারতে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন থেকে ওইসব পণ্য কেবলমাত্র সমুদ্রপথে; কলকাতা ও মুম্বই বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা যাবে।

আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রদান কোনও ব্যবসা নয় যে লাভের চিন্তা করতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলাদেশে রফতানি স্বাভাবিক থাকলেও ভারতের আমদানিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ছোট আমদানিকারকদের কার্যত বিপদে ফেলেছে।’ পেট্রাপোল এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর আবদুল হাশেম বলেন, ‘বড় বড় শিল্পপতিদের সুবিধার জন্য নেওয়া এই সিদ্ধান্তে সীমান্ত এলাকার ছোট আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কারণ তারা জাহাজে করে আমদানি করার আর্থিক সামর্থ্য রাখেন না।’

আরও পড়ুন: টেলিকম ব্যবসায় নয়া মোড়, পরিষেবার জন্য কেন্দ্র থেকে মিলল ছাড়পত্র

এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের হাজার হাজার শ্রমিক, খালাসি, ছোট ট্রান্সপোর্ট সংস্থা ও পেট্রাপোল অঞ্চলের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপর চরম আর্থিক চাপ পড়বে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। সীমান্ত বাণিজ্যে এমন সিদ্ধান্তের প্রভাবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আমদানি প্রায় বন্ধ! ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও ছোট ব্যবসায়ীরা

আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, সোমবার

এম এ হাকিম, বনগাঁ: কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের জেরে বড়সড় প্রভাব পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে। বাংলাদেশ থেকে আসা আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। সাধারণত এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২২৫টি ট্রাক পণ্য আসে বাংলাদেশের বেনাপোল থেকে। কিন্তু রবিবার মাত্র ৪৫টি ট্রাক পেট্রাপোলে প্রবেশ করেছে। শনিবারও সেই সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫০, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭০, ৮০টি ট্রাক গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে আসে, উৎসবের সময়ে যা ১৫০ ছাড়িয়ে যায়। তবে এবার সেই আমদানি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পেট্রাপোল বন্দরে লোড-আনলোডে নিযুক্ত শ্রমিক, ট্রান্সপোর্ট মালিক, খালাসি এবং ব্যবসায়ীদের একাংশ বলছেন, এই অস্বাভাবিক অবস্থার নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্য দফতরের নতুন নির্দেশিকা।

আরও পড়ুন: মদ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ইরাকে

এই নির্দেশিকায় স্থলবন্দর দিয়ে বিশেষত রেডিমেড গার্মেন্টস, ফল, কাঠের আসবাব ও সুতোর মতো সামগ্রী ভারতে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এখন থেকে ওইসব পণ্য কেবলমাত্র সমুদ্রপথে; কলকাতা ও মুম্বই বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা যাবে।

আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রদান কোনও ব্যবসা নয় যে লাভের চিন্তা করতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলাদেশে রফতানি স্বাভাবিক থাকলেও ভারতের আমদানিতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ছোট আমদানিকারকদের কার্যত বিপদে ফেলেছে।’ পেট্রাপোল এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর আবদুল হাশেম বলেন, ‘বড় বড় শিল্পপতিদের সুবিধার জন্য নেওয়া এই সিদ্ধান্তে সীমান্ত এলাকার ছোট আমদানিকারকরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কারণ তারা জাহাজে করে আমদানি করার আর্থিক সামর্থ্য রাখেন না।’

আরও পড়ুন: টেলিকম ব্যবসায় নয়া মোড়, পরিষেবার জন্য কেন্দ্র থেকে মিলল ছাড়পত্র

এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের হাজার হাজার শ্রমিক, খালাসি, ছোট ট্রান্সপোর্ট সংস্থা ও পেট্রাপোল অঞ্চলের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপর চরম আর্থিক চাপ পড়বে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। সীমান্ত বাণিজ্যে এমন সিদ্ধান্তের প্রভাবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।