২৬ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
‘চুক্তির গুজব মিথ্যা’; কারাগার থেকেই ইমরান খানের বার্তা

৬০০ দিনেরও বেশি জেলবন্দি ইমরান খান, ‘ন্যায়বিচারের অপেক্ষা’

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 350

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এখনও কারাগারে, ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়। ইতিমধ্যে তাঁর বন্দিত্ব পেরিয়েছে ৬০০ দিনেরও বেশি।

পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলি খান সম্প্রতি ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, ‘নওয়াজ শরীফ ও মরিয়ম নওয়াজ মাত্র ৭০ দিনের মধ্যেই জামিন পেয়েছেন। অথচ ইমরান খান এখনও বন্দি। এটা কি ন্যায়বিচার?’

আরও পড়ুন: Imran Khan: ইমরানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান

তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে আমাদের মামলার শুনানি মঙ্গলবার বা বুধবার হবে।’ তিনি আরও জানান, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মামলার বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জমা দিয়েছেন তাঁরা। ‘এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আশা করছি, এটি oুত খারিজ হবে,’ বলেন গহর আলি।

আরও পড়ুন: জামিন পেলেন ইমরান

প্রধান বিচারপতি তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, মামলা আগামী সপ্তাহেই শুনানির জন্য তোলা হবে। ২০২৩ সালের আগস্টে গ্রেফতার হওয়ার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হয়, যেগুলিকে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই মনে করছেন। জানুয়ারিতে এক দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। তবে অনেক মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন বা শাস্তি স্থগিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: বুধবার কি জামিন পাবেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান?

সবচেয়ে বিতর্কিত অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৯ মে গ্রেফতারের পর তাঁর সমর্থকেরা সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ইমরান খান এই হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে, এক্স বার্তায় ইমরান খান বলেন, ‘আমার মুক্তি নিয়ে যেসব চুক্তির গুজব রটছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনও আলোচনা হয়নি, কোনও চুক্তিও হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু চাইছি না। তবে পাকিস্তানের স্বার্থে, দেশের ভবিষ্যৎ ও সুরক্ষার কথা ভেবে আমি ‘এস্টাবলিশমেন্ট’-কে (সামরিক ও গোয়েন্দা প্রভাবশালী গোষ্ঠী) আলোচনায় বসার আহ´ান জানাচ্ছি।’

খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলিকে এখন একত্রে কাজ করতে হবে, কারণ দেশ এখন বহিঃশত্রুর হুমকি, ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ এবং ভেঙে পড়া অর্থনীতিদ-র মুখোমুখি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘চুক্তির গুজব মিথ্যা’; কারাগার থেকেই ইমরান খানের বার্তা

৬০০ দিনেরও বেশি জেলবন্দি ইমরান খান, ‘ন্যায়বিচারের অপেক্ষা’

আপডেট : ২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এখনও কারাগারে, ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়। ইতিমধ্যে তাঁর বন্দিত্ব পেরিয়েছে ৬০০ দিনেরও বেশি।

পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর আলি খান সম্প্রতি ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, ‘নওয়াজ শরীফ ও মরিয়ম নওয়াজ মাত্র ৭০ দিনের মধ্যেই জামিন পেয়েছেন। অথচ ইমরান খান এখনও বন্দি। এটা কি ন্যায়বিচার?’

আরও পড়ুন: Imran Khan: ইমরানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান

তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে আমাদের মামলার শুনানি মঙ্গলবার বা বুধবার হবে।’ তিনি আরও জানান, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মামলার বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জমা দিয়েছেন তাঁরা। ‘এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আশা করছি, এটি oুত খারিজ হবে,’ বলেন গহর আলি।

আরও পড়ুন: জামিন পেলেন ইমরান

প্রধান বিচারপতি তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, মামলা আগামী সপ্তাহেই শুনানির জন্য তোলা হবে। ২০২৩ সালের আগস্টে গ্রেফতার হওয়ার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হয়, যেগুলিকে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই মনে করছেন। জানুয়ারিতে এক দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। তবে অনেক মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন বা শাস্তি স্থগিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: বুধবার কি জামিন পাবেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান?

সবচেয়ে বিতর্কিত অভিযোগ, ২০২৩ সালের ৯ মে গ্রেফতারের পর তাঁর সমর্থকেরা সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ইমরান খান এই হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে, এক্স বার্তায় ইমরান খান বলেন, ‘আমার মুক্তি নিয়ে যেসব চুক্তির গুজব রটছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনও আলোচনা হয়নি, কোনও চুক্তিও হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু চাইছি না। তবে পাকিস্তানের স্বার্থে, দেশের ভবিষ্যৎ ও সুরক্ষার কথা ভেবে আমি ‘এস্টাবলিশমেন্ট’-কে (সামরিক ও গোয়েন্দা প্রভাবশালী গোষ্ঠী) আলোচনায় বসার আহ´ান জানাচ্ছি।’

খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলিকে এখন একত্রে কাজ করতে হবে, কারণ দেশ এখন বহিঃশত্রুর হুমকি, ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ এবং ভেঙে পড়া অর্থনীতিদ-র মুখোমুখি।