০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সাব্বিরের পাশে পশ্চিম বাংলা সরকার  

হরিয়ানায় পুলিশি নির্যাতনের শিকার

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
  • / 29

রিনা লায়লা, ইসলামপুর: হরিয়ানার কারখানায় কাজ করতে গিয়ে বর্বর পুলিশি নির্যাতনের শিকার পরিযায়ী শ্রমিক সাব্বির আলমের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ইসলামপুর ব্লকের বিজুভিটা গ্রামে আহত সাব্বিরের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। শোনেন হরিয়ানা পুলিশের অত্যাচারের বিবরণ।

মন্ত্রী বলেন, ‘সাব্বিরের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেবে। পরিবারকেও আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে।’ তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘যারা প্রকৃত বাংলাদেশি, তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা হোক। কিন্তু নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও যারা ভারতীয়, তাদের এইভাবে চিহ্নিত করে নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না।’

আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মারধর ও টাকার দাবি – দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড়

রাজ্য সরকারের তরফে যাতে এ ধরনের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাতেই কাজের ব্যবস্থা করা যায়, সে দিকেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যে ‘অত্যাচার’-এর শিকার? হরিয়ানা থেকে ফিরে এলেন ২০০ বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক

উল্লেখ্য, এর আগেও হরিয়ানায় পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল গোয়ালপোখরের পরিযায়ী শ্রমিক মুহাম্মদ  জুনেদ ও মুহাম্মদ কবিরের সঙ্গে। দু’জনের পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সাব্বির আলমের নাম। অভিযোগ, গত ২৪ জুলাই হরিয়ানার পানিপথে কারখানায় কাজ করার সময় তাকে বাইরে ডেকে নেয় পুলিশ। এরপর তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মুখে ঢেলে দেওয়া হয় গরম জল। পরিচয়পত্র দেখালেও, তার বৃদ্ধা মায়ের নথি দেখতে চাওয়া হয় এবং বাংলাদেশি স্বীকার করতে চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায়, মেরে তার দু’টি পা ভেঙে দেয় পুলিশ বলে অভিযোগ। বর্তমানে শয্যাশায়ী সাব্বির।

আরও পড়ুন: রাজ্যের ২২ লক্ষ পরিযায়ীকে ফেরানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার

চরম অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছে পরিবার। কারণ সাব্বিরই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার অভিযোগ, ‘আমি বলেছিলাম আমি ভারতীয়। নথিও দেখিয়েছিলাম। তবুও আমার উপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়।’ এখন আশার আলো শুধু রাজ্য সরকারের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি।

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সাব্বিরের পাশে পশ্চিম বাংলা সরকার  

হরিয়ানায় পুলিশি নির্যাতনের শিকার

আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার

রিনা লায়লা, ইসলামপুর: হরিয়ানার কারখানায় কাজ করতে গিয়ে বর্বর পুলিশি নির্যাতনের শিকার পরিযায়ী শ্রমিক সাব্বির আলমের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ইসলামপুর ব্লকের বিজুভিটা গ্রামে আহত সাব্বিরের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। শোনেন হরিয়ানা পুলিশের অত্যাচারের বিবরণ।

মন্ত্রী বলেন, ‘সাব্বিরের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেবে। পরিবারকেও আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে।’ তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘যারা প্রকৃত বাংলাদেশি, তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা হোক। কিন্তু নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও যারা ভারতীয়, তাদের এইভাবে চিহ্নিত করে নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না।’

আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মারধর ও টাকার দাবি – দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড়

রাজ্য সরকারের তরফে যাতে এ ধরনের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাতেই কাজের ব্যবস্থা করা যায়, সে দিকেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যে ‘অত্যাচার’-এর শিকার? হরিয়ানা থেকে ফিরে এলেন ২০০ বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক

উল্লেখ্য, এর আগেও হরিয়ানায় পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল গোয়ালপোখরের পরিযায়ী শ্রমিক মুহাম্মদ  জুনেদ ও মুহাম্মদ কবিরের সঙ্গে। দু’জনের পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে সাব্বির আলমের নাম। অভিযোগ, গত ২৪ জুলাই হরিয়ানার পানিপথে কারখানায় কাজ করার সময় তাকে বাইরে ডেকে নেয় পুলিশ। এরপর তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মুখে ঢেলে দেওয়া হয় গরম জল। পরিচয়পত্র দেখালেও, তার বৃদ্ধা মায়ের নথি দেখতে চাওয়া হয় এবং বাংলাদেশি স্বীকার করতে চাপ দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায়, মেরে তার দু’টি পা ভেঙে দেয় পুলিশ বলে অভিযোগ। বর্তমানে শয্যাশায়ী সাব্বির।

আরও পড়ুন: রাজ্যের ২২ লক্ষ পরিযায়ীকে ফেরানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতার

চরম অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছে পরিবার। কারণ সাব্বিরই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার অভিযোগ, ‘আমি বলেছিলাম আমি ভারতীয়। নথিও দেখিয়েছিলাম। তবুও আমার উপর বর্বর নির্যাতন চালানো হয়।’ এখন আশার আলো শুধু রাজ্য সরকারের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি।