পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এতো উলোটপুরাণ। যুদ্ধ আবহ তৈরি হলে সাধারণত জ্বালানি তেলের দামে আগুন লাগে। কিন্তু এবার তেলের বদলে সোনায় লেগেছে আগুন। কমেছে তেলের দাম। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে সোনার দাম। গত ১ এপ্রিল ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্বের শুরু, সেই উত্তেজনা যত বেড়েছে ততই দামী হয়েছে সোনা। ১ এপ্রিল আইবিজেএ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৬৮,৯৬৪ টাকা। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭০১ টাকা বেড়ে ৭৩,৫১৪ টাকা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে ১৬ দিনে সোনার দাম বেড়েছে ৪,৫৫০ টাকা। রুপোর দামও বেড়েছে। ১৮০ টাকা বেড়ে এক কেজি রুপোর দাম হয়েছে ৮৩,৬৩২ টাকা। এর আগে ১২ এপ্রিল রুপো সর্বোচ্চ ৮৩,৮১৯ টাকা হয়েছিল।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী দিনে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। তাঁদের অনুমান চলতি বছরের শেষে ১০ গ্রাম সোনা কিনতে আপনাকে ৭৫ হাজার টাকা গুনতে হতে পারে।
বিভিন্ন যুদ্ধের সময় সোনার দামও বেড়েছে, সেরকম কয়েকটি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সোনার দাম বাড়ার কয়েকটি তথ্যn ১৯৯০-৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় সোনার দামে উত্থান হয়েছিল, তবে তা খুবই কম সময় স্থায়ী হয়েছিল। একইভাবে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় সোনার দাম বেড়ে যায়।
করোনা মহামারীর সময়, ২০২০ সালের মার্চ মাসে ভারত সহ অন্যান্য দেশে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। তখন ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল প্রায় ৪১ হাজার টাকা। আগস্টের মধ্যে দাম বেড়েছে প্রায় ৫৫,০০০ টাকা। পরে তা কমে ৫০,০০০ টাকার নীচে চলে আসে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ও সোনার দাম বেড়েছিল। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। ৭ মার্চ, ২০২২-এ সোনার দাম বাড়ে প্রায় ১০০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে বেড়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার দাম হল ৪৯,৪০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম এবং ২৪ ক্যারেট সোনার দাম হল ৫৩,৮৯০ টাকা প্রতি১০ গ্রাম।
ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয় ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে। তখন সোনার দাম ছিল প্রায় ৫৭,০০০ টাকা। ১ নভেম্বরের মধ্যে দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬১,০০০ টাকার কাছাকাছি। যেখানে ১ জানুয়ারিতে দাম ছিল ৬৩,০০০ টাকা আর এখন ১০ গ্রাম সোনার দাম ৭৩,৫০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
গত সাড়ে তিন মাসে সোনার দাম বেড়েছে ১০,২১২ টাকা। ১ জানুয়ারি সোনার দাম ছিল ৬৩,৩০২ টাকা। তা এখন ৭৩,৫১৪ টাকায় পৌঁছেছে। রুপোও প্রতি কেজি ৭৩,৩৯৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩,৬৩২ টাকায়।