২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিটে রাজ্যে যুগ্ম দ্বিতীয় অভিলাষ যেতে চান এইমস – এ 

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পরিবারের বাবা-মা দু’ই জনই চিকিৎসক,দিদি অর্ণা ভাদুড়ীও ডাক্তারির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছোট থেকেই বাবা- মাকে দেখে বড় হয়ে ওঠা। সেই ইচ্ছাটাই ক্রমশ অভিলাষকে চিকিৎসক হওয়ার শক্তি জুগিয়ে গেছে। ২০২০ সালে করোনা অতিমারির সময় নিজের চোখে দেখেছেন বাবা-মা কিভাবে প্রাণ বাঁচানোর লড়াই লড়ে চলেছেন। তখন থেকেই সংকল্প একদম স্থির ছিল ডাক্তার হতেই হবে। সেই ইচ্ছারই ফসল উঠেছে সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায়। এবারের মেডিক্যালের নিট এ প্রায় ১৯ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সর্বভারতীয় মেধা তালিকায় ২৬ র‍্যাঙ্ক  করেছেন অভিলাষ। চিকিৎসক বাবা –মা নিলাভ ভাদুড়ী ও রাজশ্রী ভাদুড়ীর অনুপ্রেরণায় তাঁর পথ চলা আরও সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৮ বছরের অভিলাষ।

 

আরও পড়ুন: BREAKING, দিল্লি AIIMS-এ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন

২০২২ সালে সিবিএসসি পরীক্ষায় ৯৭.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। প্রথমবার নিটে বসেই মিলেছে কাঙ্খিত সাফল্য। নিট পরীক্ষায় মোট ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭০৫ পেয়ে রাজ্যে তৃতীয় স্থান দখল করেছে অভিলাষ। তিনি পেয়েছেন ৯৯.৯৯ শতাংশ। যার মধ্যে ফিজিক্স ৯৯.৮৭ শতাংশ,কেমিস্ট্রিতে ৯৯.৯৭ শতাংশ ,বায়োলোজিতে প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৯৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির এইমস-এ স্থানান্তর

 

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

নিট পরীক্ষা ছাড়াও, কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রতসাহন যোজনা বা কেভিপিওয়াই ও ওয়েস্টবেঙ্গল জয়েন্ট পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছিলেন তিনি। তবে ১৮ বছরের অভিলাষের পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময় নির্ধারিত ছিল না। নিজের ভালোলাগা থেকেই পড়াশোনা করতেন। পড়াশোনা ছাড়াও গল্পের বই পড়া ও অঙ্ক সমাধান করা ছিল প্রিয় অবসর যাপন। স্কুলের শিক্ষকরাও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন যথাযত সহযোগিতার হাত। যেহেতু বাবা-মা দিদি সকলেই চিকিৎসক, তাই পরিবারের সাহায্যও পেয়েছেন পুরো দমে। এদিন অভিলাষ ভাদুড়ী জানান, তাঁর বাব মা আত্মীয়-স্বজন সহ স্কুল টিউশনের স্যাররা আমাকে দারুণ ভাবে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন।

 

এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এখন আমি আমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান এইমস এ ডাক্তারি পড়তে চাই।” তার মতে, “লক্ষ্য ঠিক রেখে যদি নিজের সেরাটা দেওয়া যায়,তাহলে সাফল্য ধরা দিতে বাধ্য। উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নিট ইউজির ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। সেইসঙ্গে ক্যাটেগরি-ভিত্তিক কাট-অফ মার্কস এবং সর্বভারতীয় র্যাযঙ্কও প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। নিট ইউজি ২০২২ পরীক্ষা ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মোট ১৮.৭২ লক্ষ প্রার্থী প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিল। এনটিএ রিপোর্ট অনুসারে, ৯৫ শতাংশ প্রার্থী এনইইটি ইউজি-র জন্য পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষা সাধারণত ভারতের ৪৯৭টি শহরে এবং বিদেশের ১৪টি শহরে ৩,৫৭০টি কেন্দ্র জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়।

 

নিট ২০২২-এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে, ৬১২টি মেডিকেল এবং ৩১৭টি ডেন্টাল কলেজে প্রায় ৯১ হাজার ৯২৭ এমবিবিএস, ২৭ হাজার, ৬৯৮ বিডিএস, ৫২ হাজার,৭২০ এওয়াইএসএইচ আসন এবং ৬০৩ বিভিএসসি এবং এএইচ আসন দেওয়া হবে৷

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.
সর্বধিক পাঠিত

বিজেপির রাজ্যে ‘বেটি বাঁচাও’-এর এটাই বাস্তব চিত্র: সেঙ্গারের জামিন নিয়ে তোপ অভিষেকের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিটে রাজ্যে যুগ্ম দ্বিতীয় অভিলাষ যেতে চান এইমস – এ 

আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পরিবারের বাবা-মা দু’ই জনই চিকিৎসক,দিদি অর্ণা ভাদুড়ীও ডাক্তারির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছোট থেকেই বাবা- মাকে দেখে বড় হয়ে ওঠা। সেই ইচ্ছাটাই ক্রমশ অভিলাষকে চিকিৎসক হওয়ার শক্তি জুগিয়ে গেছে। ২০২০ সালে করোনা অতিমারির সময় নিজের চোখে দেখেছেন বাবা-মা কিভাবে প্রাণ বাঁচানোর লড়াই লড়ে চলেছেন। তখন থেকেই সংকল্প একদম স্থির ছিল ডাক্তার হতেই হবে। সেই ইচ্ছারই ফসল উঠেছে সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায়। এবারের মেডিক্যালের নিট এ প্রায় ১৯ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সর্বভারতীয় মেধা তালিকায় ২৬ র‍্যাঙ্ক  করেছেন অভিলাষ। চিকিৎসক বাবা –মা নিলাভ ভাদুড়ী ও রাজশ্রী ভাদুড়ীর অনুপ্রেরণায় তাঁর পথ চলা আরও সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৮ বছরের অভিলাষ।

 

আরও পড়ুন: BREAKING, দিল্লি AIIMS-এ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন

২০২২ সালে সিবিএসসি পরীক্ষায় ৯৭.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন তিনি। প্রথমবার নিটে বসেই মিলেছে কাঙ্খিত সাফল্য। নিট পরীক্ষায় মোট ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭০৫ পেয়ে রাজ্যে তৃতীয় স্থান দখল করেছে অভিলাষ। তিনি পেয়েছেন ৯৯.৯৯ শতাংশ। যার মধ্যে ফিজিক্স ৯৯.৮৭ শতাংশ,কেমিস্ট্রিতে ৯৯.৯৭ শতাংশ ,বায়োলোজিতে প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৯৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দিল্লির এইমস-এ স্থানান্তর

 

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

নিট পরীক্ষা ছাড়াও, কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রতসাহন যোজনা বা কেভিপিওয়াই ও ওয়েস্টবেঙ্গল জয়েন্ট পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করেছিলেন তিনি। তবে ১৮ বছরের অভিলাষের পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময় নির্ধারিত ছিল না। নিজের ভালোলাগা থেকেই পড়াশোনা করতেন। পড়াশোনা ছাড়াও গল্পের বই পড়া ও অঙ্ক সমাধান করা ছিল প্রিয় অবসর যাপন। স্কুলের শিক্ষকরাও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন যথাযত সহযোগিতার হাত। যেহেতু বাবা-মা দিদি সকলেই চিকিৎসক, তাই পরিবারের সাহায্যও পেয়েছেন পুরো দমে। এদিন অভিলাষ ভাদুড়ী জানান, তাঁর বাব মা আত্মীয়-স্বজন সহ স্কুল টিউশনের স্যাররা আমাকে দারুণ ভাবে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন।

 

এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এখন আমি আমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান এইমস এ ডাক্তারি পড়তে চাই।” তার মতে, “লক্ষ্য ঠিক রেখে যদি নিজের সেরাটা দেওয়া যায়,তাহলে সাফল্য ধরা দিতে বাধ্য। উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নিট ইউজির ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। সেইসঙ্গে ক্যাটেগরি-ভিত্তিক কাট-অফ মার্কস এবং সর্বভারতীয় র্যাযঙ্কও প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। নিট ইউজি ২০২২ পরীক্ষা ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মোট ১৮.৭২ লক্ষ প্রার্থী প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিল। এনটিএ রিপোর্ট অনুসারে, ৯৫ শতাংশ প্রার্থী এনইইটি ইউজি-র জন্য পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষা সাধারণত ভারতের ৪৯৭টি শহরে এবং বিদেশের ১৪টি শহরে ৩,৫৭০টি কেন্দ্র জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়।

 

নিট ২০২২-এর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে, ৬১২টি মেডিকেল এবং ৩১৭টি ডেন্টাল কলেজে প্রায় ৯১ হাজার ৯২৭ এমবিবিএস, ২৭ হাজার, ৬৯৮ বিডিএস, ৫২ হাজার,৭২০ এওয়াইএসএইচ আসন এবং ৬০৩ বিভিএসসি এবং এএইচ আসন দেওয়া হবে৷