০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের পাঁচ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করল ভারত

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 222

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার পরই ভারতীয় সেনা চালায় অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান, যার জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। সংঘর্ষ চলাকালীন ভারত ধ্বংস করে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমান। বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণসভায় বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং জানান, ‘‘কমপক্ষে ৫টি যুদ্ধবিমান এবং একটি নজরদারি বিমান সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।’’

 

বায়ুসেনা প্রধানের মতে, ধ্বংস হওয়া নজরদারি বিমানটি সম্ভবত ইলিন্ট (ELINT) বা AEW&C। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে এই বিমানটিকে লক্ষ্যভেদ করা হয় বলে তিনি জানান। তাঁর ভাষ্য, ভারতীয় সেনার মূল লক্ষ্য ছিল জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটি, যেখানে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার রয়েছে। হামলায় হ্যাঙ্গারের অর্ধেক উড়ে যায় এবং ভেতরের বিমানগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মতে, এই হামলার পর পাকিস্তানের যুদ্ধক্ষমতায় বড় আঘাত লাগে এবং যুদ্ধবিরতির আবেদন জানানো ছাড়া তাদের উপায় ছিল না।

আরও পড়ুন: Imran Khan: ইমরানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান

 

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

অনুষ্ঠানে বায়ুসেনা প্রধান স্যাটেলাইটে ধারণ করা ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ ছবি প্রকাশ করেন। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পাশের কোনও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সব অক্ষত আছে। আমাদের কাছে স্যাটেলাইট ছবির পাশাপাশি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তোলা ছবিও রয়েছে।’’ এছাড়া তিনি দেখান লস্কর-ই-তৈবার সদর দপ্তর মুরিদকের ছবি, যেখানে সংগঠনের বৈঠক চলত বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল হামলায় ধ্বংস করা হয়।

আরও পড়ুন: একদিন PoK নিজে থেকেই বলবে, ‘আমি ভারতের’ : rajnath singh

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের পাঁচ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করল ভারত

আপডেট : ৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার পরই ভারতীয় সেনা চালায় অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান, যার জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। সংঘর্ষ চলাকালীন ভারত ধ্বংস করে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমান। বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল লক্ষ্মণ মাধব কাত্রের স্মরণসভায় বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং জানান, ‘‘কমপক্ষে ৫টি যুদ্ধবিমান এবং একটি নজরদারি বিমান সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।’’

 

বায়ুসেনা প্রধানের মতে, ধ্বংস হওয়া নজরদারি বিমানটি সম্ভবত ইলিন্ট (ELINT) বা AEW&C। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে এই বিমানটিকে লক্ষ্যভেদ করা হয় বলে তিনি জানান। তাঁর ভাষ্য, ভারতীয় সেনার মূল লক্ষ্য ছিল জ্যাকোবাবাদ বিমানঘাঁটি, যেখানে এফ-১৬ বিমানের হ্যাঙ্গার রয়েছে। হামলায় হ্যাঙ্গারের অর্ধেক উড়ে যায় এবং ভেতরের বিমানগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মতে, এই হামলার পর পাকিস্তানের যুদ্ধক্ষমতায় বড় আঘাত লাগে এবং যুদ্ধবিরতির আবেদন জানানো ছাড়া তাদের উপায় ছিল না।

আরও পড়ুন: Imran Khan: ইমরানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান

 

আরও পড়ুন: Donald Trump-Shehbaz Sharif: শাহবাজ-মুনিরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প

অনুষ্ঠানে বায়ুসেনা প্রধান স্যাটেলাইটে ধারণ করা ‘বিফোর অ্যান্ড আফটার’ ছবি প্রকাশ করেন। বাহাওয়ালপুরে চুরমার হয়ে যাওয়া জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরের ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পাশের কোনও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সব অক্ষত আছে। আমাদের কাছে স্যাটেলাইট ছবির পাশাপাশি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তোলা ছবিও রয়েছে।’’ এছাড়া তিনি দেখান লস্কর-ই-তৈবার সদর দপ্তর মুরিদকের ছবি, যেখানে সংগঠনের বৈঠক চলত বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল হামলায় ধ্বংস করা হয়।

আরও পড়ুন: একদিন PoK নিজে থেকেই বলবে, ‘আমি ভারতের’ : rajnath singh