আদিত্য-এল-১-মহাকাশযানের নেপথ্যে শীর্ষ বিজ্ঞানী নিগার শাজি, মুসলিম কন্যার কৃতিত্বে গর্বিত ভারত

- আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার
- / 19
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সূর্য মিশনে ফের নারী ক্ষমতায়নের জয়। মুসলিম মেয়েরা যে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই তা প্রমাণিত হল আরও একবার। আদিত্য-এল-১-মহাকাশযানের নেপথ্যে রয়েছেন ইসরোর শীর্ষ বিজ্ঞানী নিগার শাজি। নিগার তামিলনাড়ুর সেনগোতাইয়ের বাসিন্দা। মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তিনি ১৯৮৭ সালে ইসরোতে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে প্রথম সৌর মিশন যাত্রা শুরু করার আগে, শাজিকে বেঙ্গালুরুর ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, যেখানে তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ শুরু করেন।
এছাড়াও তিনি ভারতের যোগাযোগ, আন্তঃগ্রহ এবং দূর-সংবেদনশীল উপগ্রহের নকশায় বিভিন্ন ভূমিকা দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন। বয়স ৫৯ বছর। নিগার এই বিরাট মিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর। অত্যন্ত দক্ষতা সম্পন্ন বিজ্ঞানী। তামিলনাড়ুর এক অতি সাধারণ পরিবারের মেয়ে নিগার। বাবা শেখ মীরান ছিলেন কৃষক, মা সাইতুন বিবি ছিলেন নেহাতই গৃহবধূ। অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন নিগার। কিন্তু শৈশব থেকেই শিক্ষার প্রতি প্রবল ভালোবাসা ছিল তাঁর। কখনই লক্ষ্য থেকে সরে যাননি তিনি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি এগিয়ে যেতে শুরু করেন।
নিগারের নাম আজ ইতিহাসে উজ্জ্বল হরফে লেখা থাকবে। সেনগোতাইয়ের এসআরএম গার্লস স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা। মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিগার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রাপ্ত করেন। রাঁচির বিআইটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি। নিগারের স্বামী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে কর্মরত। নিগারের দুই সন্তান। ছেলে নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানী হিসাবে কর্মরত, মেয়ে বেঙ্গালুরুতে থাকেন।
চন্দ্রযান-৩-এর পরে শনিবার সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হয় আদিত্য-এল-১। ভারতের প্রথম সৌর মিশনের প্রকল্প পরিচালক হলেন নিগার। নিগারের কৃতিত্ব ভারতকে গর্বিত করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি ভারতীয় রিসোর্সস্যাট-২এ স্যাটেলাইটের সহযোগী প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। স্পেস ইন্টারনেট, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পরিচালনা করেছেন।
ষোল দিন ধরে আদিত্য এল১ মহাকাশযান পৃথিবীর কক্ষপথে থাকবে। মহাকাশ স্টেশনে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য রকেট সিস্টেম, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (পিএসএলভি-সি৫৭) মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।