জন্ম উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে
অ্যাপলের বড় দায়িত্বে সাবিহ খান
- আপডেট : ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 168
বেঙ্গালুরু, ৯ জুলাই: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপল-এর নতুন চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাবিহ খান। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে জন্ম নেওয়া সাবিহ খানের এই অর্জন ভারতের জন্য এক গর্বের বিষয়। চিনের কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানো এবং আসন্ন আইফোন ১৭-এর উন্মাদনার মধ্যেই অ্যাপলের এই ঘোষণা সামনে এল।
অ্যাপলের বর্তমান সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশনস সাবিহ খান এই মাসের শেষের দিকে তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি ১৯৬৬ সালে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পরপরই তিনি সিঙ্গাপুরে চলে যান, যেখানে তিনি তার স্কুলিং সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। অ্যাপলের এই নতুন সিওও টাফটস ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতি ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং রেনসেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করেছেন। অ্যাপলে যোগ দেওয়ার আগে ১৯৯৫ সালে সাবিহ কুপারটিনো-ভিত্তিক সংস্থা জিই প্লাস্টিক্সে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং কি-অ্যাকাউন্ট টেকনিক্যাল লিডার হিসেবে কাজ করেছেন।
অ্যাপলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সাবিহ খান অ্যাপলের আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। ওয়েবসাইটটিতে আরও বলা হয়েছে, অ্যাপলের প্রতিটি উদ্ভাবনী পণ্য বাজারে আনতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সাবিহ খান গত ৩০ বছর ধরে অ্যাপলের সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং তিনি জেফ উইলিয়ামসের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
অ্যাপলের সিইও টিম কুক একটি আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাবিহ খানকে নিয়ে তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, সাবিহ একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি। তিনি পরিবেশগত স্থিতিশীলতায় আমাদের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, যা অ্যাপলের কার্বন ফুটপ্রিন্ট ৬০ শতাংশের বেশি কমাতে সাহায্য করেছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই সিওও হৃদয় এবং মূল্যবোধ দিয়ে নেতৃত্ব দেন বলে প্রশংসা করে কুক মন্তব্য করেছেন যে, আমি জানি তিনি একজন ব্যতিক্রমী চিফ অপারেটিং অফিসার হবেন। সাবিহ খানের এই নিয়োগ বিশ্বজুড়ে ভারতীয় প্রতিভার স্বীকৃতি এবং প্রযুক্তি খাতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পেশাদারদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ইঙ্গিত দেয়। সিলিকন ভ্যালির বড় বড় পদে এ’ন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্যক্তিত্বরা কাজ করছেন।













































