পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দেশের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া ছিল আজকে। সকাল ১০টা বাজতেই সংসদ ভবনে শুরু হয়েছিল নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। উপরাষ্ট্রপতি পদে লড়াইয়ের জন্য এনডিএ থেকে সিপি রাধাকৃষ্ণণ ও ইন্ডিয়া জোট থেকে সুদর্শন রেড্ডি প্রার্থী হিসেবে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। ব্যালট বাক্সে সর্বপ্রথম ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তারপরে ধীরে ধীরে ভোট দেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি। তবে এদিন সংসদ চত্বরে সবথেকে বেশি নজর কাড়ে খাড়গে ও গড়করির একসঙ্গে হাত ধরে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের দৃশ্য। এমনকি তাঁদের হাসি-ঠাট্টায় ভরা মুহূর্ত নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক চর্চা।
দলের মুখপাত্র অখিলেশ প্রতাপ সিং এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, ‘এটাই কিন্তু প্রকৃত গণতন্ত্রের ছবি। মোদিকে কি কখনও কোনও বিরোধী নেতার হাত ধরে হাঁটতে দেখেছেন? তিনি সবসময় আলাদা থাকতে পছন্দ করেন। এমনকি কারোর সঙ্গে আলাপচারিতার প্রয়োজনও মনে করেন না।” শুধু তাই নয়, সংসদে অখিলেশ যাদব ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-কেও পাশাপাশি বসে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়।
এর আগে গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনকড়। ধনকড় নির্বাচিত হওয়ার সময় লোকসভায় বিজেপির একারই ৩০০-রও বেশি আসন ছিল। তবে বর্তমানে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা নেমেছে ২৩৫-এ। কার্যতই নির্ভর করতে হচ্ছে নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডু, চিরাগ পাসোয়ানসহ বিভিন্ন শরিকদের ওপর। ইদানিংকালে ইন্ডিয়া জোটের শক্তি আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।
কংগ্রেসের আসনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। তৃণমূল, ডিএমকে ও সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধিত্বও এখন আগের থেকে অনেকটাই বেশি। তাই বিরোধীরা যে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ ও আত্মবিশ্বাসী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যে কোনও নির্বাচনে ক্রস ভোটিং-এর একটা আশঙ্কা থাকেই। তাই উভয় পক্ষই খুবই সতর্ক।






























