ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ইসরাইলকেও মেনে নেবে ইন্দোনেশিয়া

- আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 68
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে প্রস্তুত; তবে শর্ত সাপেক্ষে। সেই শর্ত অনুযায়ী, ইসরাইলকে আগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
বুধবার জাকার্তায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ-র সঙ্গে দাঁড়িয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাই সত্যিকারের শান্তির একমাত্র পথ। আমাদের ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে স্বীকার করতে হবে। তবে তারা যদি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইন্দোনেশিয়াও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।’
প্রাবোও আরও বলেন, ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রান্স ও ইন্দোনেশিয়া; উভয় দেশই ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। ইন্দোনেশিয়া সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ বলেন, ‘কেবল রাজনৈতিক সমাধানই ফিলিস্তিনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।’ তিনি আরও জানান, ফ্রান্সের নীতিতে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে কোনও দ্বিচারিতা নেই।
ইন্দোনেশিয়ার ঘোষণার আগেই মাল্টা সরকার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট আবেলা জানান, গাজায় চলমান মানবিক সংকটের মুখে এটি এক নৈতিক দায়িত্ব। এই স্বীকৃতি ২০ জুন এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে।
এ ছাড়া, ১০ এপ্রিল ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ ঘোষণা করেন, ফ্রান্সও আগামী মাসগুলিতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। সউদি আরব ও ফ্রান্সের যৌথ আয়োজনে হতে চলা সম্মেলনেই বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার এখনও ইসরাইলের সঙ্গে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং দেশটি কখনও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সাম্প্রতিক এই বার্তা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘোরাতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।