২১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভ্যাকসিন নষ্ট রুখতে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানোর উদ্যোগ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 117

পুবের কলম প্রতিবেদক: করোনা ভ্যাকসিন আর কেউ নিচ্ছে না। এতে নষ্ট হচ্ছে কোভিডের ভ্যাকসিন। তাই এবার বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য কর্মীদের পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে রাজ্যের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাড়িতে গিয়ে দেখতে হবে কারা ভ্যাকসিন নেননি।

এদিকে কলকাতা জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তার তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। যেখানে বলা হয়েছে,  ৯ হাজার ৫০০ ডোজ কোভ্যাক্সিন, ৬ হাজার ডোজ কোভিশিল্ড ২২০ টি কর্বেভাক্স।

আরও পড়ুন: ১৪ হাজার স্বাস্থ্য কর্মীর একসঙ্গে ইস্তফা

এই ভ্যাকসিনগুলি খুব শীঘ্রই এক্সপায়ার হবে। সেই কারণে জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে কলকাতা জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তার তরফ থেকে স্বাস্থ্য ভবনকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের এখনো পর্যন্ত প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রিকশনারি ডোজ ভ্যাকসিন পাননি তাদের জন্য ক্যাম্পেন করতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান রুখতে ১৪০০-রও বেশি খুন, ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু: রাষ্ট্রসংঘ

মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে বসছে কোভিডের বিপুল পরিমাণ টিকা। কোনওটার এক্সপায়ারি ডেট ৩১ অক্টোবর, কোনওটার আবার নভেম্বরের মাঝামাঝি। কোনওভাবেই যাতে টিকা নষ্ট না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে জেলাগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শুধু কলকাতাতেই এমন প্রায় ১৬ হাজার টিকার ডোজ রয়েছে, যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে শিগগিরই। টিকা যাতে নষ্ট না হয়, তাই এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা জেলা পরিবারকল্যাণ আধিকারিক।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের সংখ্যায় নয়, বড় হতে হবে মেধা ও কর্মোদ্যোগে: ফিরহাদ

প্রসঙ্গত, আঠারোর ঊর্ধ্বে সকলকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। আগেই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজের ব্যবধান কমিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ন’মাস থেকে কমে বুস্টার ডোজের ব্যবধান ছ’মাস করা হয়েছে। আগে দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজের ব্যবধান ২৯ সপ্তাহ অর্থাৎ ৯ মাস ছিল। সেটা কমিয়ে ২৬ সপ্তাহ অর্থাৎ ৬ মাস করা হয়েছে। কিন্তু, তাও কোভিড টিকার এভাবে পড়ে থাকার কারণ, সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার অনীহা দেখা গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার সচেতনতা বাড়াতে এবং সঠিক পরিসংখ্যান জানতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভ্যাকসিন নষ্ট রুখতে বাড়িতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানোর উদ্যোগ

আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: করোনা ভ্যাকসিন আর কেউ নিচ্ছে না। এতে নষ্ট হচ্ছে কোভিডের ভ্যাকসিন। তাই এবার বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য কর্মীদের পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে রাজ্যের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাড়িতে গিয়ে দেখতে হবে কারা ভ্যাকসিন নেননি।

এদিকে কলকাতা জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তার তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। যেখানে বলা হয়েছে,  ৯ হাজার ৫০০ ডোজ কোভ্যাক্সিন, ৬ হাজার ডোজ কোভিশিল্ড ২২০ টি কর্বেভাক্স।

আরও পড়ুন: ১৪ হাজার স্বাস্থ্য কর্মীর একসঙ্গে ইস্তফা

এই ভ্যাকসিনগুলি খুব শীঘ্রই এক্সপায়ার হবে। সেই কারণে জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে কলকাতা জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তার তরফ থেকে স্বাস্থ্য ভবনকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের এখনো পর্যন্ত প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রিকশনারি ডোজ ভ্যাকসিন পাননি তাদের জন্য ক্যাম্পেন করতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থান রুখতে ১৪০০-রও বেশি খুন, ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু: রাষ্ট্রসংঘ

মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে বসছে কোভিডের বিপুল পরিমাণ টিকা। কোনওটার এক্সপায়ারি ডেট ৩১ অক্টোবর, কোনওটার আবার নভেম্বরের মাঝামাঝি। কোনওভাবেই যাতে টিকা নষ্ট না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে জেলাগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শুধু কলকাতাতেই এমন প্রায় ১৬ হাজার টিকার ডোজ রয়েছে, যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে শিগগিরই। টিকা যাতে নষ্ট না হয়, তাই এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা জেলা পরিবারকল্যাণ আধিকারিক।

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের সংখ্যায় নয়, বড় হতে হবে মেধা ও কর্মোদ্যোগে: ফিরহাদ

প্রসঙ্গত, আঠারোর ঊর্ধ্বে সকলকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। আগেই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজের ব্যবধান কমিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ন’মাস থেকে কমে বুস্টার ডোজের ব্যবধান ছ’মাস করা হয়েছে। আগে দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজের ব্যবধান ২৯ সপ্তাহ অর্থাৎ ৯ মাস ছিল। সেটা কমিয়ে ২৬ সপ্তাহ অর্থাৎ ৬ মাস করা হয়েছে। কিন্তু, তাও কোভিড টিকার এভাবে পড়ে থাকার কারণ, সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার অনীহা দেখা গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার সচেতনতা বাড়াতে এবং সঠিক পরিসংখ্যান জানতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।