ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন সহ ৭৪টি ওষুধের দাম বেঁধে দিল কেন্দ্র, কালোবাজারি রুখতে এই পদক্ষেপ
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন সহ ৭৪টি ওষুধের খুচরো দাম বেঁধে দিল সরকারের ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ১০৯তম কর্তৃপক্ষের বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ২০১৩ এর আদেশের অধীনে ওষুধের দাম নির্ধারণ করেছে।
বর্তমান জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের জন্য ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে ভুগছে দেশের বেশিরভাগ মানুষ। প্রায় প্রতিটা ঘরেই একজন করে এই রোগে আক্রান্ত। ফলে এই রোগের ওষুধের চাহিদাও বেজায়। আর যেখানে চাহিদা বেশি সেখানে কালোবাজারিও বেশি হয়। তাই কালোবাজারি রুখতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্র।
এনপিপিএ-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ড্যাপাগ্লিফ্লোজিন সিটাগ্লিপটিন এবং মেটাফরমিন হাইড্রোক্লোরাইডের -এর একটি ট্যাবলেটের দাম করা হয়েছে ২৭ টাকা ৭৫ পয়সা। একইভাবে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা টেলমিসার্টান (উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেলিওর, ডায়াবেটিক কিডনি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত) এবং বিসোপ্রোলল ফিউমারেটেরও (হৃদরোগের জন্য ব্যবহৃত) দাম কমিয়ে (একটি ট্যাবলেট) করা হয়েছে ১০ টাকা ৯২ পয়সা।
এছাড়া এনপিপিএ ৮০ টি বিজ্ঞাপিত ওষুধেরও সর্বোচ্চ দামের সংশোধন করেছে। তার মধ্যে রয়েছে এপিলেপসি এবং নিউট্রোপেনিয়া রোগের জন্য ব্যবহৃত ওষুধও। একই সঙ্গে এনপিপিএ দাম কমাল সোডিয়াম ভালপ্রোয়েটেরও। এর একটি ট্যাবলেটের করা হয়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা। ফিলগ্রাস্টিম ইনজেকশনের (এক ভায়াল) দাম করা হয়েছে ১ হাজার ৩৪ টাকা ৫১ পয়সা। স্টেরয়েড হাইড্রোকর্টিসনের দাম করা হয়েছে ট্যাবলেট পিছু ১৩ টাকা ২৮ পয়সা।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন ওষুধের নির্ধারণ করাই হল এনপিপিএর প্রধান কাজ। এনপিপিএর ওষুধের যে দাম ধার্য করেছে, সেটা গোটা দেশের জন্য। সব জায়গায় এনপিপিএর দাম ধার্য হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করা হবে বলেও এনপিপিএর তরফে জানানো হয়।