পাকিস্তানকে তুলোধনা করল ইসরাইল
- আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
- / 353
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নিউইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের মাঝে হঠাৎ করেই পাকিস্তান ও ইসরাইলের কূটনীতিকদের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ ছড়াল। আমেরিকার ৯/১১ হামলার ২৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার এই বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। আর এই বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে আলোচনার সময়ই বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌছে যায়।
বেশ কিছুদিন আগে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে কাতারে সামরিক অভিযান চালিয়েছিল ইসরাইল। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনার নিন্দা হলেও ভারত কিন্তু প্রকাশ্যে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাতারকে সমর্থনের জন্য ফোন করে বার্তাও দিয়েছেন। নিরাপত্তা পরিষদে কাতার হামলার এই যৌক্তিকতা তুলে ধরেন ইসরাইলের স্থায়ী প্রতিনিধি ড্যানি ড্যানন।
ড্যানন বলেন, ‘‘যখন পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন তো কেউ এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন তোলেননি। যে, একজন সন্ত্রাসবাদীকে কেন বিদেশের মাটিতে নিশানা করা হচ্ছে? এটা কেউ জানতে পর্যন্তও চাননি। তখন সকলের একটাই প্রশ্ন ছিল যে, কেন লাদেনের মত এমন একজন সন্ত্রাসবাদীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল? ঠিক সেইরকমই এই বিষয়েও একই প্রশ্ন তোলা উচিত। লাদেনের জন্য যেমন কোনও সুরক্ষা থাকতে পারে না। ঠিক তেমনই হামাসের জন্যেও কোন নিরাপত্তা বা সুরক্ষা নয়।’’
আর এই মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিকার আহমেদ। আসিম অভিযোগ করেছেন, ইসরাইল বারবার গাজায় হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। শুধু গাজ়া নয়। সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরানেও একই ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে। আসিম আরও বলেন, “নিজেদের বেআইনি কর্মকাণ্ডগুলো আড়াল করার জন্যই ইসরাইল এই ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।
অপরদিকে পাল্টা জবাবে ইসরাইলি কূটনীতিক যথেষ্ট কড়া সুরে বলেন, “লাদেনকে পাকিস্তানেই হত্যা করা হয়েছিল। এটা অস্বীকার করার আর কোনও উপায় নেই। তখন কিন্তু আমেরিকার বিরুদ্ধে কেউ কোনও প্রতিবাদ করেনি। অথচ ইসরাইল যদি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তখন এটিকে দ্বিচারিতা বলা হচ্ছে।”















































