কাতারে হামাস নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলা
- আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
- / 248
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : নামাজ পড়তে গিয়ে ইসরাইলি হামলার শিকার হামাসের বেশ কয়েকজন নেতা। মসজিদে প্রবেশের সময় তাঁরা নিজেদের ফোনগুলি বাইরে রেখে যান। আর এই ফোনগুলির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেই ইসরাইল কর্তৃপক্ষ হামলা চালায়। কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হামাস নেতাদের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
সৌদি আরবের এক সংবাদপত্র আশার্ক আল-আওসাত-এর তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, হামলাটির মূল লক্ষ্য ছিল, মুলত হামাসের কয়েকজন বড় নেতাদের শেষ করা। এছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের রাজনৈতিক ব্যুরোর সহসভাপতি খলিল আল-হায়া ছিলেন এই হামলার অন্যতম মূল লক্ষ্য। আরও জানা গিয়েছে, হামলার জন্য যে বাড়িটিকে তাক করা হয়েছিল, ভগ্যক্রমে নেতারা অন্য বাড়িতে থাকায় ইসরাইল কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা ভণ্ডুল হয়। তাই কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এখনও পর্যন্ত হামাস দাবি করেছে যে, আপাতভাবে তাদের কোনও নেতাই নিহত হননি। তবে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আল-হায়ার ছেলে হিমাম ও তাঁর কার্যালয়েরই পরিচালক জিহাদ লাবাদ নিহত হয়েছেন। আবার আল-জাজিরা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করা। ইসরাইলি মুখপাত্র জানিয়েছে, “আমরা হামাসকে পরাজিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
ইসরাইলের চ্যানেল ১২-এর সাংবাদিক বারাক রাভিদ এক জানান, এই অভিযানকে সামিট অব ফায়ার নাম দেওয়া হয়েছে। যার উদ্দেশ্য ছিল হামাস কর্মকর্তাদের সরাসরি নির্মূল করা। এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযানকে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, এই হামলাটি সম্পূর্ণ ইসরাইলের নিজস্ব উদ্যোগ। আর এর দায়ও ইসরাইলই নিচ্ছে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই ঘটনা কেবল আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়ম ভঙ্গ করেনি। বরং কাতারের নাগরিক ও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্যও একপ্রকার বড় হুমকি।” কাতার এই বিষয়ে জানিয়েছে, কাতার তার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় কখনোই আপস করবে না। অন্যদিকে আবার এই ঘটনা নিয়ে ইসরাইলি রাজনীতিকরা প্রশংসাও করেছে।
অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই। আর ভবিষ্যতেও থাকবে না। ইসরায়েলের দীর্ঘ হাত যেকোনো প্রান্ত থেকে তাদের খুঁজে বের করতে সক্ষ্যম।” এছাড়া বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিডও আইডিএফ, শিন বেত ও বিমানবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “তারা আমাদের শত্রুর বিরুদ্ধে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।”

































