০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লেবানিজ আকাশে ৮ বছর ধরে ইসরাইলের নজরদারি!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 67

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ গত ১৫ বছরে ২২ হাজার বারেরও বেশি লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে জায়নবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবিমান। লেবাননের ওপর নজরদারি, লেবানিজদের ফোনকল ও মেসেজের অ্যাক্সেস এবং তাদের চলাফেরা ও বাড়ির ছবি তোলাই ছিল এসবের মূল উদ্দেশ্য। এয়ার প্রেসার নামক একটি সাইটে উল্লেখ করা হয়, ২০০৭ সাল থেকে লেবাননের আকাশে ইসরাইলের ৮ হাজার ২৩১টি ফাইটার জেট এবং ১৩ হাজার ১০২টি মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল বা ড্রোনের অনুপ্রবেশ ঘটে। এগুলো গড়ে লেবাননের আকাশসীমায় সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবস্থান করে। সম্মিলিতভাবে ৩ হাজার ৯৮ দিন বা সাড়ে আট বছর ধরে এই অবৈধ নজরদারি চলেছে। ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘের ডিজিটাল লাইব্রেরিতে আপলোড করা ২৪৩টি চিঠি থেকে প্রতিটি বিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সময়, সময়কাল, ধরন ও গতিপথের মতো সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে এয়ার প্রেসার নামের ওই সাইটটি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। জানা যায়, মূলত লেবাননবাসীর ওপর নজরদারি চালানোই ছিল ইসরাইলের আসল উদ্দেশ্য। লেবাননের আকাশে ইসরাইলের এই কর্মকাণ্ডের কারণে জনসাধারণের গোপনীয়তা লঙ্ঘন ছাড়াও ক্রমাগত বায়ুচাপ এবং শধে মানুষের শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতির ওপর বিপজ্জনক প্রভাব দেখা দিয়েছে। এয়ার প্রেসারের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ জুলাই ইসরাইলি ফাইটার জেট একদিনে লেবাননের আকাশসীমায় ৫৬ বার প্রবেশ করে। অন্যদিকে ইসরাইলি ড্রোন ২০০৮ সালের ২ জুলাই লেবাননের আকাশে একদিনে ৯২ বার অনুপ্রবেশ করে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের ‘অবৈধ’ বসতি সম্প্রসারণে উদ্বিগ্ন ৩ দেশ  

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লেবানিজ আকাশে ৮ বছর ধরে ইসরাইলের নজরদারি!

আপডেট : ১৪ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ গত ১৫ বছরে ২২ হাজার বারেরও বেশি লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে জায়নবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবিমান। লেবাননের ওপর নজরদারি, লেবানিজদের ফোনকল ও মেসেজের অ্যাক্সেস এবং তাদের চলাফেরা ও বাড়ির ছবি তোলাই ছিল এসবের মূল উদ্দেশ্য। এয়ার প্রেসার নামক একটি সাইটে উল্লেখ করা হয়, ২০০৭ সাল থেকে লেবাননের আকাশে ইসরাইলের ৮ হাজার ২৩১টি ফাইটার জেট এবং ১৩ হাজার ১০২টি মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল বা ড্রোনের অনুপ্রবেশ ঘটে। এগুলো গড়ে লেবাননের আকাশসীমায় সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবস্থান করে। সম্মিলিতভাবে ৩ হাজার ৯৮ দিন বা সাড়ে আট বছর ধরে এই অবৈধ নজরদারি চলেছে। ২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘের ডিজিটাল লাইব্রেরিতে আপলোড করা ২৪৩টি চিঠি থেকে প্রতিটি বিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সময়, সময়কাল, ধরন ও গতিপথের মতো সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে এয়ার প্রেসার নামের ওই সাইটটি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। জানা যায়, মূলত লেবাননবাসীর ওপর নজরদারি চালানোই ছিল ইসরাইলের আসল উদ্দেশ্য। লেবাননের আকাশে ইসরাইলের এই কর্মকাণ্ডের কারণে জনসাধারণের গোপনীয়তা লঙ্ঘন ছাড়াও ক্রমাগত বায়ুচাপ এবং শধে মানুষের শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতির ওপর বিপজ্জনক প্রভাব দেখা দিয়েছে। এয়ার প্রেসারের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ জুলাই ইসরাইলি ফাইটার জেট একদিনে লেবাননের আকাশসীমায় ৫৬ বার প্রবেশ করে। অন্যদিকে ইসরাইলি ড্রোন ২০০৮ সালের ২ জুলাই লেবাননের আকাশে একদিনে ৯২ বার অনুপ্রবেশ করে।

আরও পড়ুন: ইসরাইলের ‘অবৈধ’ বসতি সম্প্রসারণে উদ্বিগ্ন ৩ দেশ