০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যাদবপুর কান্ডে মাওবাদী যোগ? হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২১ অগাস্ট ২০২৩, সোমবার
  • / 19

পারিজাত মোল্লা: অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখার্জি এক প্রেস রিলিজে যাদবপুর কান্ডে অতি বামপ্রন্থা এবং মাদক কারবারে যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী যোগের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করলেন। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করার পাশাপাশি, অবিলম্বে এনআইএ তদন্ত এবং ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন শুভেন্দু। মামলা করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহেই হতে পারে শুনানি।

 

আরও পড়ুন: পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী John Barla-র

শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য, ‘ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে এই অতিবাম সংগঠনগুলো সক্রিয় রয়েছে। তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া জরুরি’। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবিও জানানো হয়েছে। এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘২০২২ সালে নদিয়া থেকে বেশ কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। মৃত পড়ুয়ার বাড়িও নদিয়ায়। সে কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কী না, সেটা জানাও জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি’।

আরও পড়ুন: উনি মুসলিম বিধায়কদের অপমান করবেন, আমরা কি রসোগোল্লা খাওয়াব? পাল্টা Humayun Kabir

 

আরও পড়ুন: বিধানসভা দুর্বল নয়: শুভেন্দুর আচরণ নিয়ে কড়া বার্তা স্পিকারের

 

 

মামলার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা। শুভেন্দুর  আইনজীবীর দাবি, ‘ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে এই অতিবাম সংগঠনগুলো  কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে? তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ  ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া জরুরি’।

 

পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছেন শুভেন্দুর আইনজীবী। ব়্যাগিং বিরোধী কমিটিকে সক্রিয় করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতিতে বায়োমেট্রিক এন্ট্রির ব্যবস্থারও দাবি জানানো হয়েছে জনস্বার্থ মামলায়। গত ৯ অগাস্ট যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিবাদ সভায় হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ, শুভেন্দুর বক্তব্য রাখার সময়ে কালো পতাকা দেখানো হয় অতি-বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে। এমনকী শুভেন্দু স্টেজ থেকে নামার সময় তাঁকে আক্রমণ করা হয় বলেও অভিযোগ। খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যাদবপুর কান্ডে মাওবাদী যোগ? হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর

আপডেট : ২১ অগাস্ট ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা: অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখার্জি এক প্রেস রিলিজে যাদবপুর কান্ডে অতি বামপ্রন্থা এবং মাদক কারবারে যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী যোগের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করলেন। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করার পাশাপাশি, অবিলম্বে এনআইএ তদন্ত এবং ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন শুভেন্দু। মামলা করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহেই হতে পারে শুনানি।

 

আরও পড়ুন: পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী John Barla-র

শুভেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য, ‘ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে এই অতিবাম সংগঠনগুলো সক্রিয় রয়েছে। তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া জরুরি’। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবিও জানানো হয়েছে। এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘২০২২ সালে নদিয়া থেকে বেশ কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। মৃত পড়ুয়ার বাড়িও নদিয়ায়। সে কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কী না, সেটা জানাও জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি’।

আরও পড়ুন: উনি মুসলিম বিধায়কদের অপমান করবেন, আমরা কি রসোগোল্লা খাওয়াব? পাল্টা Humayun Kabir

 

আরও পড়ুন: বিধানসভা দুর্বল নয়: শুভেন্দুর আচরণ নিয়ে কড়া বার্তা স্পিকারের

 

 

মামলার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা। শুভেন্দুর  আইনজীবীর দাবি, ‘ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে এই অতিবাম সংগঠনগুলো  কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে? তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ  ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া জরুরি’।

 

পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছেন শুভেন্দুর আইনজীবী। ব়্যাগিং বিরোধী কমিটিকে সক্রিয় করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিতিতে বায়োমেট্রিক এন্ট্রির ব্যবস্থারও দাবি জানানো হয়েছে জনস্বার্থ মামলায়। গত ৯ অগাস্ট যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিবাদ সভায় হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ, শুভেন্দুর বক্তব্য রাখার সময়ে কালো পতাকা দেখানো হয় অতি-বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে। এমনকী শুভেন্দু স্টেজ থেকে নামার সময় তাঁকে আক্রমণ করা হয় বলেও অভিযোগ। খুব তাড়াতাড়ি এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।