১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তীর্থস্থানগুলিকে ‘অপবিত্র’ করার অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড, গুজরাত সহ একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ জৈনদের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 72

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দেশজুড়ে মুসলিম,  খ্রিস্টানদের ধর্মস্থানগুলির পাশাপাশি এবার জৈনদের মন্দির ও তীর্থস্থানগুলিও গেরুয়া শিবিরের রোষের মুখে পড়েছে। আর তাই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে জৈনদের। নতুন বছরের শুরুতেই দিল্লি, মুম্বই,  গুজরাত, ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্যে বিরাট প্রতিবাদ মিছিল করল জৈনরা। প্রদর্শন করা হল বিক্ষোভও।

 

আরও পড়ুন: বিহারে নিহত আরও এক মাওবাদী কমান্ডার

জৈনদের অভিযোগ, তাদের মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তীর্থস্থানগুলিকে ‘অপবিত্র’ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে তাদের বার্তা, তারা সবসময় দেশের পাশে থেকেছে। দেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। তারপরও কেন তাদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হচ্ছে। তারা যাতে শান্তিতে ধর্মীয় প্রার্থনা ও আচার পালন করতে পারে সরকার তার ব্যবস্থা করুক। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের এক মন্ত্রীও এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। যা বিজেপির অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: হোলি উৎসব: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের উত্তপ্ত ঝাড়খণ্ডের গিরিডি

 

আরও পড়ুন: মন্দিরের পাশে মিলল শিশুর গলা কাটা দেহ, ভয়ঙ্কর ‘নরবলি’ গুজরাটে!

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এম পি লোধা সরাসরি আক্রমণ করে বলেছেন, গুজরাতের পালিটানায় জৈন মন্দির ধ্বংসের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবাদ জানাই ঝাড়খণ্ড সরকারের সিদ্ধান্তেরও। যারা মন্দির ভেঙেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই। আজ ৫ লক্ষের বেশি মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।

 

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দেশের অন্যতম প্রধান জৈন তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত সামমেদ শিখরজিকে একটি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন দিল্লিতে জৈনদের একটা বড় মিছিল রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত যাত্রা করে। সেখানে ঝাড়খণ্ড সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি পালিটনায় যেভাবে তাগের পবিত্র স্থানকে অপবিত্র করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সরব হয় তারা। জৈন সম্প্রদায়ের এই প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন হায়দরাবাদের সাংসদ তথা ‘মিম’ সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

 

ওয়াইসি বলেন, আমরা জৈন সম্প্রদায়ের এই আন্দোলনকে সমর্থন করি। ঝাড়খণ্ড সরকারকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (সিএমও)-কে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

জৈন সম্প্রদায়ের এক আন্দোলনকারী জানান, আজ আমরা জৈন সম্প্রদায়ের প্রত্যেকে একজোট হয়েছি। কেন্দ্রের কাছে আমাদের শুধু একটাই দাবি—আমাদের তীর্থগুলিকে রক্ষা করতে হবে। আর এক আন্দোলনকারী কথায়, আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত গিরিরাজকে রক্ষা করার চেষ্টা করব। তাই এই ধরনের যত সমাবেশ হবে সবগুলিতে যোগ দেব। গিরিরাজের জন্য আমরা সবকিছু করব।

 

উল্লেখ্য, জৈনরা পালিতানাকে একটি পবিত্র তীর্থস্থান বলে মনে করে। তাদের মতে, প্রথম তীর্থঙ্কর সেখানে মোক্ষলাভ করেছিলেন। একইভাবে সামমেদ শিখরজিকেও অত্যন্ত পবিত্র তীর্থস্থান বলে মনে করে তারা। তাদের বিশ্বাস, জৈন সম্প্রদায়ের অন্যান্য সন্ন্যাসীদের মধ্যে ২৪জন তীর্থঙ্করের মধ্যে ২০জন তীর্থঙ্করই এই সামমেদ শিখরজিতে মোক্ষ পেয়েছিলেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তীর্থস্থানগুলিকে ‘অপবিত্র’ করার অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড, গুজরাত সহ একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ জৈনদের

আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  দেশজুড়ে মুসলিম,  খ্রিস্টানদের ধর্মস্থানগুলির পাশাপাশি এবার জৈনদের মন্দির ও তীর্থস্থানগুলিও গেরুয়া শিবিরের রোষের মুখে পড়েছে। আর তাই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে জৈনদের। নতুন বছরের শুরুতেই দিল্লি, মুম্বই,  গুজরাত, ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্যে বিরাট প্রতিবাদ মিছিল করল জৈনরা। প্রদর্শন করা হল বিক্ষোভও।

 

আরও পড়ুন: বিহারে নিহত আরও এক মাওবাদী কমান্ডার

জৈনদের অভিযোগ, তাদের মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তীর্থস্থানগুলিকে ‘অপবিত্র’ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে তাদের বার্তা, তারা সবসময় দেশের পাশে থেকেছে। দেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। তারপরও কেন তাদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করা হচ্ছে। তারা যাতে শান্তিতে ধর্মীয় প্রার্থনা ও আচার পালন করতে পারে সরকার তার ব্যবস্থা করুক। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের এক মন্ত্রীও এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। যা বিজেপির অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: হোলি উৎসব: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের উত্তপ্ত ঝাড়খণ্ডের গিরিডি

 

আরও পড়ুন: মন্দিরের পাশে মিলল শিশুর গলা কাটা দেহ, ভয়ঙ্কর ‘নরবলি’ গুজরাটে!

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এম পি লোধা সরাসরি আক্রমণ করে বলেছেন, গুজরাতের পালিটানায় জৈন মন্দির ধ্বংসের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবাদ জানাই ঝাড়খণ্ড সরকারের সিদ্ধান্তেরও। যারা মন্দির ভেঙেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই। আজ ৫ লক্ষের বেশি মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।

 

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দেশের অন্যতম প্রধান জৈন তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত সামমেদ শিখরজিকে একটি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিন দিল্লিতে জৈনদের একটা বড় মিছিল রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত যাত্রা করে। সেখানে ঝাড়খণ্ড সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি পালিটনায় যেভাবে তাগের পবিত্র স্থানকে অপবিত্র করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সরব হয় তারা। জৈন সম্প্রদায়ের এই প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন হায়দরাবাদের সাংসদ তথা ‘মিম’ সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

 

ওয়াইসি বলেন, আমরা জৈন সম্প্রদায়ের এই আন্দোলনকে সমর্থন করি। ঝাড়খণ্ড সরকারকে অবশ্যই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (সিএমও)-কে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

জৈন সম্প্রদায়ের এক আন্দোলনকারী জানান, আজ আমরা জৈন সম্প্রদায়ের প্রত্যেকে একজোট হয়েছি। কেন্দ্রের কাছে আমাদের শুধু একটাই দাবি—আমাদের তীর্থগুলিকে রক্ষা করতে হবে। আর এক আন্দোলনকারী কথায়, আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত গিরিরাজকে রক্ষা করার চেষ্টা করব। তাই এই ধরনের যত সমাবেশ হবে সবগুলিতে যোগ দেব। গিরিরাজের জন্য আমরা সবকিছু করব।

 

উল্লেখ্য, জৈনরা পালিতানাকে একটি পবিত্র তীর্থস্থান বলে মনে করে। তাদের মতে, প্রথম তীর্থঙ্কর সেখানে মোক্ষলাভ করেছিলেন। একইভাবে সামমেদ শিখরজিকেও অত্যন্ত পবিত্র তীর্থস্থান বলে মনে করে তারা। তাদের বিশ্বাস, জৈন সম্প্রদায়ের অন্যান্য সন্ন্যাসীদের মধ্যে ২৪জন তীর্থঙ্করের মধ্যে ২০জন তীর্থঙ্করই এই সামমেদ শিখরজিতে মোক্ষ পেয়েছিলেন।