১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজের ৯ বছর পরও নাজিবের ন্যায়বিচারের দাবিতে জেএনইউ শিক্ষার্থীদের মিছিল

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার
  • / 41

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নয় বছর কেটে গেল, কিন্তু নিখোঁজ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র নাজিব আহমেদের সন্ধান মেলেনি। ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবরের সেই রহস্যময় নিখোঁজের ঘটনায় আজও প্রশ্ন ওঠে-“নাজিব কোথায়?”

নিখোঁজের নয় বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার রাতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে “জাস্টিস ফর নাজিব” দাবিতে মোমবাতি মিছিল করেন বিরসা আম্বেদকর ফুলে স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (BAPSA), ফ্র্যাটারনিটি মুভমেন্ট এবং মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশন (MSF)-এর সদস্যরা। তাঁরা শ্লোগান তুলেছিলেন— “আমাদের নাজিব কোথায়?”, “দিল্লি পুলিশ, সিবিআই ও ভিসি হায় হায়!”, “আরএসএস–এবিভিপি হায় হায়!”

আরও পড়ুন: মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বে মণিপুর ইস্যুতে যুব তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল হাওড়ায়

উত্তরপ্রদেশের বাদায়ু জেলার বাসিন্দা নাজিব আহমেদ ছিলেন জেএনইউর এমএসসি বায়োটেকনোলজির প্রথম বর্ষের ছাত্র। অভিযোগ, ২০১৬ সালের অক্টোবরে এবিভিপি-র কয়েকজন সদস্য তাঁকে হোস্টেলের সামনে থেকে অপহরণ করে নিখোঁজ করে দেয়। তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং পরে সিবিআই, কিন্তু কেউই নাজিবের সন্ধান পায়নি। ২০২৫ সালের জুনে দিল্লির এক আদালত সিবিআইয়ের ক্লোজার রিপোর্ট গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন: অযোধ্যায় সাধুদের নিয়ে মিছিলের অনুমতি পেলেন না  যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ সিং  

নাজিবের মা ফাতিমা নাফিস বলেন, “তদন্ত সংস্থাগুলো ন্যায়বিচারের আশা ভঙ্গ করেছে, তবুও আমি বিশ্বাস করি, আমার ছেলে এখনো বেঁচে আছে।” মিছিলের বক্তারা বলেন, নাজিবের নিখোঁজ হওয়া কেবল একজন ছাত্রের ঘটনা নয়— এটি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মুসলিম, দলিত, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান দমননীতির প্রতীক।

আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত অঞ্চলে ৩০ হাজার বাড়ি বানাবে তুরস্ক সরকার, মার্চ মাস থেকে শুরু হবে নির্মাণ কাজ

ফ্র্যাটারনিটি মুভমেন্টের নেতা লুবাইব বশীর বলেন, “নাজিবকে ভুলে যাওয়া মানে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করা। আমরা নাজিবকে স্মরণ করছি, কারণ এটি আমাদের রাজনৈতিক চেতনার প্রশ্ন।” জেএনইউ ছাত্র সংসদ ঘোষণা করেছে, ১৭ অক্টোবর মোমবাতি মিছিল করে আবারও প্রশ্ন তোলা হবে— “আমাদের নাজিব কোথায়?”

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিখোঁজের ৯ বছর পরও নাজিবের ন্যায়বিচারের দাবিতে জেএনইউ শিক্ষার্থীদের মিছিল

আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নয় বছর কেটে গেল, কিন্তু নিখোঁজ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র নাজিব আহমেদের সন্ধান মেলেনি। ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবরের সেই রহস্যময় নিখোঁজের ঘটনায় আজও প্রশ্ন ওঠে-“নাজিব কোথায়?”

নিখোঁজের নয় বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার রাতে জেএনইউ ক্যাম্পাসে “জাস্টিস ফর নাজিব” দাবিতে মোমবাতি মিছিল করেন বিরসা আম্বেদকর ফুলে স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (BAPSA), ফ্র্যাটারনিটি মুভমেন্ট এবং মুসলিম স্টুডেন্টস ফেডারেশন (MSF)-এর সদস্যরা। তাঁরা শ্লোগান তুলেছিলেন— “আমাদের নাজিব কোথায়?”, “দিল্লি পুলিশ, সিবিআই ও ভিসি হায় হায়!”, “আরএসএস–এবিভিপি হায় হায়!”

আরও পড়ুন: মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বে মণিপুর ইস্যুতে যুব তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল হাওড়ায়

উত্তরপ্রদেশের বাদায়ু জেলার বাসিন্দা নাজিব আহমেদ ছিলেন জেএনইউর এমএসসি বায়োটেকনোলজির প্রথম বর্ষের ছাত্র। অভিযোগ, ২০১৬ সালের অক্টোবরে এবিভিপি-র কয়েকজন সদস্য তাঁকে হোস্টেলের সামনে থেকে অপহরণ করে নিখোঁজ করে দেয়। তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম, ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং পরে সিবিআই, কিন্তু কেউই নাজিবের সন্ধান পায়নি। ২০২৫ সালের জুনে দিল্লির এক আদালত সিবিআইয়ের ক্লোজার রিপোর্ট গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন: অযোধ্যায় সাধুদের নিয়ে মিছিলের অনুমতি পেলেন না  যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ সিং  

নাজিবের মা ফাতিমা নাফিস বলেন, “তদন্ত সংস্থাগুলো ন্যায়বিচারের আশা ভঙ্গ করেছে, তবুও আমি বিশ্বাস করি, আমার ছেলে এখনো বেঁচে আছে।” মিছিলের বক্তারা বলেন, নাজিবের নিখোঁজ হওয়া কেবল একজন ছাত্রের ঘটনা নয়— এটি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মুসলিম, দলিত, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান দমননীতির প্রতীক।

আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত অঞ্চলে ৩০ হাজার বাড়ি বানাবে তুরস্ক সরকার, মার্চ মাস থেকে শুরু হবে নির্মাণ কাজ

ফ্র্যাটারনিটি মুভমেন্টের নেতা লুবাইব বশীর বলেন, “নাজিবকে ভুলে যাওয়া মানে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করা। আমরা নাজিবকে স্মরণ করছি, কারণ এটি আমাদের রাজনৈতিক চেতনার প্রশ্ন।” জেএনইউ ছাত্র সংসদ ঘোষণা করেছে, ১৭ অক্টোবর মোমবাতি মিছিল করে আবারও প্রশ্ন তোলা হবে— “আমাদের নাজিব কোথায়?”