০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ বছর পর মুক্তি ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার সাংবাদিক ও তাঁর পিতার

মিতা রয়
  • আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার
  • / 48

 পুবের কলম ডেস্ক : ৯ বছর আগে সাংবাদিক ভিত্তল মালেকুড়িয়া ও তাঁর বাবা লিঙ্গাপ্পাকে গ্রেফতার করেছিল অ্যান্টি নক্সাল বাহিনী বা এএনএফ। মাওবাদীদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল লিঙ্গাপ্পা ও ভিত্তলের বিরুদ্ধে। এতদিন পর তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারপতি বি বি জাকাতি বৃহস্পতিবার এই পিতা-পুত্রকে মুক্তি দিলেন সমস্ত অভিযোগ থেকে। ২০১২ সালের ৩ মার্চ ভিত্তলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছিলেন। অ্যান্টি নক্সাল ফোর্স তাঁকে ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করে মাওবাদী ক্রিয়াকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে। পুলিশ যে চার্জশিট জমা দিয়েছিল সেই চার্জশিটে ভিত্তল ছিলেন ষষ্ঠ অভিযুক্ত এবং তাঁর বাবা ছিলেন সপ্তম অভিযুক্ত। যখন ভিত্তলকে গ্রেফতার করা হয় তখন অ্যান্টি নক্সাল ফোর্সের (এএনএফ) আধিকারিকরা ভিত্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করে। সেই বাজেয়াপ্ত জিনিসের মধ্যে ছিল ভগত সিং-এর উপর একটি বই ও মাওবাদী কার্যকলাপ সংক্রান্ত কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ।

২০১৫ সালে অর্থাৎ তাঁদের গ্রেফতারের তিন বছর পর কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইন বা ইউএপিএ ধারা চাপানো হয় এই পিতা-পুত্রের উপর। তাঁদের মুক্তির জন্য লাগাতার লড়াই করে যায় ডিওয়াইএফআই ও অন্যান্য দল। দীর্ঘ নয় বছর পর জেল থেকে যখন ছাড়া পেলেন তাঁরা তখন আদালত চত্বরের বাইরে তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি মুনীর কাতিপাল্লা ও অন্যান্য নেতারা। সুবিচার পাওয়ায় স্বস্তি মিললেও কর্নাটক পুলিশের ‘সাজানো’ মামলায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে এতগুলি বছর। এর ক্ষতিপূরণ কি রাজ্য সরকার দিতে পারবে?

আরও পড়ুন: বাড়িতে শূকরের মাংস পাঠানোর হুমকি সাংবাদিক জুবায়েরকে

আরও খবর পড়ুনঃ

আরও পড়ুন: আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করে অসমে গ্রেফতার সাংবাদিক, একাধিক ধারায় মামালা পুলিশের

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার উমর খালিদের

প্রতিবেদক

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৯ বছর পর মুক্তি ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার সাংবাদিক ও তাঁর পিতার

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার

 পুবের কলম ডেস্ক : ৯ বছর আগে সাংবাদিক ভিত্তল মালেকুড়িয়া ও তাঁর বাবা লিঙ্গাপ্পাকে গ্রেফতার করেছিল অ্যান্টি নক্সাল বাহিনী বা এএনএফ। মাওবাদীদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল লিঙ্গাপ্পা ও ভিত্তলের বিরুদ্ধে। এতদিন পর তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারপতি বি বি জাকাতি বৃহস্পতিবার এই পিতা-পুত্রকে মুক্তি দিলেন সমস্ত অভিযোগ থেকে। ২০১২ সালের ৩ মার্চ ভিত্তলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছিলেন। অ্যান্টি নক্সাল ফোর্স তাঁকে ও তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করে মাওবাদী ক্রিয়াকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে। পুলিশ যে চার্জশিট জমা দিয়েছিল সেই চার্জশিটে ভিত্তল ছিলেন ষষ্ঠ অভিযুক্ত এবং তাঁর বাবা ছিলেন সপ্তম অভিযুক্ত। যখন ভিত্তলকে গ্রেফতার করা হয় তখন অ্যান্টি নক্সাল ফোর্সের (এএনএফ) আধিকারিকরা ভিত্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করে। সেই বাজেয়াপ্ত জিনিসের মধ্যে ছিল ভগত সিং-এর উপর একটি বই ও মাওবাদী কার্যকলাপ সংক্রান্ত কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ।

২০১৫ সালে অর্থাৎ তাঁদের গ্রেফতারের তিন বছর পর কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইন বা ইউএপিএ ধারা চাপানো হয় এই পিতা-পুত্রের উপর। তাঁদের মুক্তির জন্য লাগাতার লড়াই করে যায় ডিওয়াইএফআই ও অন্যান্য দল। দীর্ঘ নয় বছর পর জেল থেকে যখন ছাড়া পেলেন তাঁরা তখন আদালত চত্বরের বাইরে তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি মুনীর কাতিপাল্লা ও অন্যান্য নেতারা। সুবিচার পাওয়ায় স্বস্তি মিললেও কর্নাটক পুলিশের ‘সাজানো’ মামলায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে এতগুলি বছর। এর ক্ষতিপূরণ কি রাজ্য সরকার দিতে পারবে?

আরও পড়ুন: বাড়িতে শূকরের মাংস পাঠানোর হুমকি সাংবাদিক জুবায়েরকে

আরও খবর পড়ুনঃ

আরও পড়ুন: আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করে অসমে গ্রেফতার সাংবাদিক, একাধিক ধারায় মামালা পুলিশের

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার উমর খালিদের