২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান,কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট কবীর সুমনের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 311

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পঞ্চাশের দশকে আবির্ভূত কবি আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পুরুষ। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী এ পথপরিক্রমায় যার কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে অনুপ্রাণীত করেছেন, তিনি কবি আল মাহমুদ। গত ১১ জুলাই ছিল কবির ৯০তম জন্মদিন। এ দিনকে ঘিরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দুই বাংলার বহু মানুষ। ব্যতিক্রম নন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন।

 

আরও পড়ুন: I love Muhammad’ ব্যানারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অসাংবিধানিক: জামায়াতে ইসলামি হিন্দ

কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, আপনি যে পক্ষই নেন, আপনি আমার কবি। আজও আমার প্রেমের কবি, আমার বুড়ো বয়সেও নাছোড় প্রেমের কবি। এ বক্ষ বিদীর্ণ করে নামে যেন তোমার তালাক।’ আমি যে ডেরায় থাকি সেখানে একজন আপনার কবিতা জোগাড় করে পড়ায়, উদ্ধৃতি দেয়। মাঝে মাঝে, ঈশ্বরবিতৃষ্ণ এই আমিটার মনে হয় শুধু আপনার জন্য, আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান।”

আরও পড়ুন: ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু বাংলাদেশের অমর একুশে বইমেলা

আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান,কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট কবীর সুমনের

আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: ঐতিহাসিক জয় শিবিরের

 

কবির সুমন এদিন আরও বলেন,  ‘আমি ডরাই না ধম্মোবোম্বেটেদের। কিছুতে বিশ্বাস না করেও শুধু আপনার কবিতার জন্য, আপনার কাব্য, ব্যক্তিত্বের জন্য আমি মুসলমান বোধহয়। এখনও বেঁচে আছি যদি শুনে ফেলি কোনো কন্যা এই ঘাটের মড়ার জন্যেও গাঙের ঢেউ এর মতো বলে উঠেছেন কবুল কবুল। আপনি কি জানেন আপনি বাংলার একমাত্র আধুনিক কবি? যিনি তাঁর কবিতায় মুকুন্দরামের নাম নিয়েছেন।’ “যিনি লিখতে পারেন ‘আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বন্টন’ তিনি যখন যা খুশি তাই করতে পারেন। আপনার কবিতা না পড়লে এই ঈশ্বরবিতৃষ্ণ সুরতালছন্দ-রাগ-খেয়াল পূজারি তার গানে লিখতে পারত না ‘খোদার কসম জান, আমি ভালোবেসেছি তোমায়’। হসে মার্তি বলেছিলেন, ‘প্রেম কখনও মাতাল হয় না’।”কবির সুমোন বলেন, ‘কসম খোদার আল মাহমুদ, শান্ত হলে আপনি আরও কত কী করতে পারতেন, আমিও। আপনি এক বাঙালি কবির কবর আর শেয়াল নিয়ে কবিতা লিখতেন না।

আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান,কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট কবীর সুমনের

 

আমিও বুড়ো বয়সে মরার আগে বাংলা খেয়াল, বাংলা খেয়াল করে বেড়াতাম না। খোদার কসম আল মাহমুদ, মহাকবি, মহাকবি সুকুমার রায়ের পর একমাত্র আপনাকে মানি মহাকবি হিসেবে। আপনাকে ভালোবাসি।’ ‘থাকুক বা যাক সব ধর্ম, সব পার্বন, সব বক্তিমে, সব উপদেশ, সব প্রতিশ্রুতি, সব ভালো, সব স্বর্গ, সব মুক্তি, সব অমুক তমুক আপনার উক্তিই সত্য কারণ আপনার প্রেম খাঁটি। প্রেম আপনার কবিতার মত খাঁটি৷ আপনার কোনো কিছু শান্ত নয়। আপনি বাংলা ভাষার মতো, সুকুমারের ভাষার মতো যা তা, আপনার কবিতার মতো।’

 

সবশেষে আল মাহমুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কবীর সুমন লিখেছেন, “আমার জীবনসন্ধ্যেতে যদি একটিও তুলসী তলা পাই সেখানে প্রদীপ জ্বালাব আপনারই নামে। খোদার কসম আমার বাংলার আমার কবি আল মাহমুদ ‘হৃদয়ের ধর্ম নিয়ে’ আপনার নাম নিয়ে আমি মিছে কথা বলতে পারব না। আমার সুবিধে আমার দেশের মানচিত্র নেই। আমার দেশের গান বাংলা খেয়াল- বাংলা খেয়াল নানান রাগে। আমার দেশের গাঙে ঢেউ ওঠে শুধু কন্যে কবুল কবুল বলবে বলে। কসম খোদার, সংযমী মহাকবি আল মাহমুদ।”

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান,কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট কবীর সুমনের

আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পঞ্চাশের দশকে আবির্ভূত কবি আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পুরুষ। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী এ পথপরিক্রমায় যার কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে অনুপ্রাণীত করেছেন, তিনি কবি আল মাহমুদ। গত ১১ জুলাই ছিল কবির ৯০তম জন্মদিন। এ দিনকে ঘিরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দুই বাংলার বহু মানুষ। ব্যতিক্রম নন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন।

 

আরও পড়ুন: I love Muhammad’ ব্যানারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অসাংবিধানিক: জামায়াতে ইসলামি হিন্দ

কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন তিনি। লেখেন, আপনি যে পক্ষই নেন, আপনি আমার কবি। আজও আমার প্রেমের কবি, আমার বুড়ো বয়সেও নাছোড় প্রেমের কবি। এ বক্ষ বিদীর্ণ করে নামে যেন তোমার তালাক।’ আমি যে ডেরায় থাকি সেখানে একজন আপনার কবিতা জোগাড় করে পড়ায়, উদ্ধৃতি দেয়। মাঝে মাঝে, ঈশ্বরবিতৃষ্ণ এই আমিটার মনে হয় শুধু আপনার জন্য, আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান।”

আরও পড়ুন: ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু বাংলাদেশের অমর একুশে বইমেলা

আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান,কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট কবীর সুমনের

আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: ঐতিহাসিক জয় শিবিরের

 

কবির সুমন এদিন আরও বলেন,  ‘আমি ডরাই না ধম্মোবোম্বেটেদের। কিছুতে বিশ্বাস না করেও শুধু আপনার কবিতার জন্য, আপনার কাব্য, ব্যক্তিত্বের জন্য আমি মুসলমান বোধহয়। এখনও বেঁচে আছি যদি শুনে ফেলি কোনো কন্যা এই ঘাটের মড়ার জন্যেও গাঙের ঢেউ এর মতো বলে উঠেছেন কবুল কবুল। আপনি কি জানেন আপনি বাংলার একমাত্র আধুনিক কবি? যিনি তাঁর কবিতায় মুকুন্দরামের নাম নিয়েছেন।’ “যিনি লিখতে পারেন ‘আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বন্টন’ তিনি যখন যা খুশি তাই করতে পারেন। আপনার কবিতা না পড়লে এই ঈশ্বরবিতৃষ্ণ সুরতালছন্দ-রাগ-খেয়াল পূজারি তার গানে লিখতে পারত না ‘খোদার কসম জান, আমি ভালোবেসেছি তোমায়’। হসে মার্তি বলেছিলেন, ‘প্রেম কখনও মাতাল হয় না’।”কবির সুমোন বলেন, ‘কসম খোদার আল মাহমুদ, শান্ত হলে আপনি আরও কত কী করতে পারতেন, আমিও। আপনি এক বাঙালি কবির কবর আর শেয়াল নিয়ে কবিতা লিখতেন না।

আপনার কবিতার জন্য আমি মুসলমান,কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট কবীর সুমনের

 

আমিও বুড়ো বয়সে মরার আগে বাংলা খেয়াল, বাংলা খেয়াল করে বেড়াতাম না। খোদার কসম আল মাহমুদ, মহাকবি, মহাকবি সুকুমার রায়ের পর একমাত্র আপনাকে মানি মহাকবি হিসেবে। আপনাকে ভালোবাসি।’ ‘থাকুক বা যাক সব ধর্ম, সব পার্বন, সব বক্তিমে, সব উপদেশ, সব প্রতিশ্রুতি, সব ভালো, সব স্বর্গ, সব মুক্তি, সব অমুক তমুক আপনার উক্তিই সত্য কারণ আপনার প্রেম খাঁটি। প্রেম আপনার কবিতার মত খাঁটি৷ আপনার কোনো কিছু শান্ত নয়। আপনি বাংলা ভাষার মতো, সুকুমারের ভাষার মতো যা তা, আপনার কবিতার মতো।’

 

সবশেষে আল মাহমুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কবীর সুমন লিখেছেন, “আমার জীবনসন্ধ্যেতে যদি একটিও তুলসী তলা পাই সেখানে প্রদীপ জ্বালাব আপনারই নামে। খোদার কসম আমার বাংলার আমার কবি আল মাহমুদ ‘হৃদয়ের ধর্ম নিয়ে’ আপনার নাম নিয়ে আমি মিছে কথা বলতে পারব না। আমার সুবিধে আমার দেশের মানচিত্র নেই। আমার দেশের গান বাংলা খেয়াল- বাংলা খেয়াল নানান রাগে। আমার দেশের গাঙে ঢেউ ওঠে শুধু কন্যে কবুল কবুল বলবে বলে। কসম খোদার, সংযমী মহাকবি আল মাহমুদ।”