১০ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল কর্তারপুর করিডর, তীর্থযাত্রীদের ফিরে আসার নির্দেশ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৭ মে ২০২৫, বুধবার
  • / 140

 পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল কর্তারপুর করিডর। বুধবার যে সমস্ত ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফিরে আসারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধিনস্থ দ্য ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্তারপুর করিডর বন্ধ থাকবে।

বাটলা পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সোহেল কাশিম মীর বলেন, “বুধবার কর্তারপুর গুরুদ্বারে যাওয়ার জন্য ৫০০ জন তীর্থযাত্রী নাম নথিভুক্ত  করিয়েছিলেন। এদিন সকালে প্রায় ১০০ জন এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু করিডর বন্ধ থাকায় তাঁদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে কী কারণে এটি বন্ধ করা হল, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের উল্লেখ নেই এসসিও-র নথিতে, স্বাক্ষর করলেন না রাজনাথ সিং

শিখ ধর্মাবলীদের জন্য অত্যন্ত প্রবিত্র তীর্থক্ষেত্র গুরুদ্বারা দরবার সাহিব কর্তারপুর বা কর্তারপুর গুরুদ্বার। শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন এখানেই। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কর্তারপুর সাহিব পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে পড়ে। এর পর থেকে ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের দাবি ছিল এই তীর্থক্ষেত্রে যাতে সহজে যেতে পারেন শিখ ধর্মাবলীরা, সরকার যেন তার ব্যবস্থা করে। সেইমতো ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পাক সরকারের সঙ্গে কর্তারপুর করিডর চুক্তি সম্পন্ন করে ভারত সরকার। যার মাধ্যমে ৪ কিমি রাস্তা পার করে ভারত থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুরে যেতে পারেন শিখ তীর্থযাত্রীরা। এর জন্য ভারতীয় শিখদের কোনওরকম ভিসা লাগে না।

আরও পড়ুন: পহেলগাঁও নিয়ে ফের সওয়াল অভিষেকের, ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে দুর্ঘটনার পরিমাণ বেশি জানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ

 

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিন্দুর’ সন্ত্রাসবাদের জন্য কড়া জবাব: মোদি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল কর্তারপুর করিডর, তীর্থযাত্রীদের ফিরে আসার নির্দেশ

আপডেট : ৭ মে ২০২৫, বুধবার

 পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল কর্তারপুর করিডর। বুধবার যে সমস্ত ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা সেখানে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফিরে আসারও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধিনস্থ দ্য ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্তারপুর করিডর বন্ধ থাকবে।

বাটলা পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সোহেল কাশিম মীর বলেন, “বুধবার কর্তারপুর গুরুদ্বারে যাওয়ার জন্য ৫০০ জন তীর্থযাত্রী নাম নথিভুক্ত  করিয়েছিলেন। এদিন সকালে প্রায় ১০০ জন এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু করিডর বন্ধ থাকায় তাঁদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে কী কারণে এটি বন্ধ করা হল, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের উল্লেখ নেই এসসিও-র নথিতে, স্বাক্ষর করলেন না রাজনাথ সিং

শিখ ধর্মাবলীদের জন্য অত্যন্ত প্রবিত্র তীর্থক্ষেত্র গুরুদ্বারা দরবার সাহিব কর্তারপুর বা কর্তারপুর গুরুদ্বার। শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন এখানেই। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কর্তারপুর সাহিব পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে পড়ে। এর পর থেকে ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের দাবি ছিল এই তীর্থক্ষেত্রে যাতে সহজে যেতে পারেন শিখ ধর্মাবলীরা, সরকার যেন তার ব্যবস্থা করে। সেইমতো ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে পাক সরকারের সঙ্গে কর্তারপুর করিডর চুক্তি সম্পন্ন করে ভারত সরকার। যার মাধ্যমে ৪ কিমি রাস্তা পার করে ভারত থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুরে যেতে পারেন শিখ তীর্থযাত্রীরা। এর জন্য ভারতীয় শিখদের কোনওরকম ভিসা লাগে না।

আরও পড়ুন: পহেলগাঁও নিয়ে ফের সওয়াল অভিষেকের, ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে দুর্ঘটনার পরিমাণ বেশি জানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ

 

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিন্দুর’ সন্ত্রাসবাদের জন্য কড়া জবাব: মোদি