৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নয়াবস্তি পাড়ায়, প্রাথমিক শিক্ষাও এখানে, স্মরণ করছে এলাকার বুদ্ধিজীবীরা

 

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নয়াবস্তি পাড়ায়। তার মৃত্যুতে শোকার্ত সেই নয়াবস্তি পাড়া। মন খারাপ সুনীতি বালা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদেরও। এই স্কুলেই কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন তিনি। সেই স্কুলে খালেদা জিয়ার স্মরণসভার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়াবস্তি পাড়ায় বসবাস ছিল খালেদা জিয়ার বাবা ইসকান্দর মজুমদার। জলপাইগুড়ি শহরে ব্যাংকিং এবং শেয়ার কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ‘দাশ অ্যান্ড কোম্পানি’তে কাজ করতেন তিনি। ভারত ভাগের পরবর্তী সময়ে তিনি মুখার্জি পরিবারের সঙ্গে জমি বিনিময় করে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যান। তারপর থেকে আর ফেরেননি জলপাইগুড়িতে। কিন্তু তাদের আত্মীয়দের নিয়মিত আসা যাওয়া রয়েছে।

জলপাইগুড়ি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবস্তি পাড়ায় থাকা শতাব্দী প্রাচীন ফ্রেন্ডস ব্যাপটিস্ট চার্চের ঠিক পাশের গলিতে ছিল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের বাগান বাড়ি। নয়াবস্তি পাড়ায় কেটেছিল খালেদার শৈশবের বেশ কয়েকটা বছর।

সেই জমির এক অংশে এখন থাকেন চক্রবর্তী ও গোপ পরিবার। সবটা মিলিয়েই ছিল খালেদা জিয়ার পরিবারের বাড়ি। বর্তমানে খালেদার পরিবারের জলপাইগুড়ির বাগান বাড়ির একটা অংশ কিনে বাড়ি বানিয়েছে গোপ পরিবার। ওই পরিবারের দুই সদস্য ঝর্না গোপ এবং নীলকন্ঠ গোপও এখন খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণা করছেন। দু’জনেই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ঠিক উল্টোদিকে বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ভোলা মণ্ডলের।

ডিএসএ সচিব ভোলা মন্ডলের দাবি, তার মায়ের কোলেপিঠে বড় হয়েছেন খালেদা জিয়া। জলপাইগুড়ির সাহিত্যিক ও লেখক প্রয়াত কামাখ্যা চক্রবর্তীর বই ‘সেকালের জলপাইগুড়ি শহর এবং সামাজিক জীবনের কিছু কথা’ থেকে উঠে আসা তথ্য বলছে দেশভাগের পর খালেদার পরিবার এখানের মুখার্জি পরিবারের সঙ্গে সম্পত্তি বিনিময় করে ওপারে চলে যায়।

ইতিহাসবিদ ডক্টর আনন্দ গোপাল ঘোষ বলছেন, ‘‌খালেদা জিয়ার বাবা ইসকান্দর মিঁঞা চায়ের ব্যবসার সূত্রে জলপাইগুড়ি আসেন। ১৯৫০ সালের পর তার পরিবার জলপাইগুড়ি ছেড়ে চলে যায়।

বিখ্যাত ফুটবলার ফজলার রহমানের ছেলে পুটু রহমান বলছেন, তার বাবার সঙ্গেও খালেদার পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। খালেদার বাবা চাকরি সূত্রে জলপাইগুড়ি এসেছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে চায়ের ব্যবসায় যুক্ত হন। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

ইয়েমেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের, সৌদি আল্টিমেটামের আগেই ঘোষণা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

খালেদা জিয়ার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নয়াবস্তি পাড়ায়, প্রাথমিক শিক্ষাও এখানে, স্মরণ করছে এলাকার বুদ্ধিজীবীরা

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার

 

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নয়াবস্তি পাড়ায়। তার মৃত্যুতে শোকার্ত সেই নয়াবস্তি পাড়া। মন খারাপ সুনীতি বালা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদেরও। এই স্কুলেই কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন তিনি। সেই স্কুলে খালেদা জিয়ার স্মরণসভার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়াবস্তি পাড়ায় বসবাস ছিল খালেদা জিয়ার বাবা ইসকান্দর মজুমদার। জলপাইগুড়ি শহরে ব্যাংকিং এবং শেয়ার কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত ‘দাশ অ্যান্ড কোম্পানি’তে কাজ করতেন তিনি। ভারত ভাগের পরবর্তী সময়ে তিনি মুখার্জি পরিবারের সঙ্গে জমি বিনিময় করে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যান। তারপর থেকে আর ফেরেননি জলপাইগুড়িতে। কিন্তু তাদের আত্মীয়দের নিয়মিত আসা যাওয়া রয়েছে।

জলপাইগুড়ি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবস্তি পাড়ায় থাকা শতাব্দী প্রাচীন ফ্রেন্ডস ব্যাপটিস্ট চার্চের ঠিক পাশের গলিতে ছিল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের বাগান বাড়ি। নয়াবস্তি পাড়ায় কেটেছিল খালেদার শৈশবের বেশ কয়েকটা বছর।

সেই জমির এক অংশে এখন থাকেন চক্রবর্তী ও গোপ পরিবার। সবটা মিলিয়েই ছিল খালেদা জিয়ার পরিবারের বাড়ি। বর্তমানে খালেদার পরিবারের জলপাইগুড়ির বাগান বাড়ির একটা অংশ কিনে বাড়ি বানিয়েছে গোপ পরিবার। ওই পরিবারের দুই সদস্য ঝর্না গোপ এবং নীলকন্ঠ গোপও এখন খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণা করছেন। দু’জনেই গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ঠিক উল্টোদিকে বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ভোলা মণ্ডলের।

ডিএসএ সচিব ভোলা মন্ডলের দাবি, তার মায়ের কোলেপিঠে বড় হয়েছেন খালেদা জিয়া। জলপাইগুড়ির সাহিত্যিক ও লেখক প্রয়াত কামাখ্যা চক্রবর্তীর বই ‘সেকালের জলপাইগুড়ি শহর এবং সামাজিক জীবনের কিছু কথা’ থেকে উঠে আসা তথ্য বলছে দেশভাগের পর খালেদার পরিবার এখানের মুখার্জি পরিবারের সঙ্গে সম্পত্তি বিনিময় করে ওপারে চলে যায়।

ইতিহাসবিদ ডক্টর আনন্দ গোপাল ঘোষ বলছেন, ‘‌খালেদা জিয়ার বাবা ইসকান্দর মিঁঞা চায়ের ব্যবসার সূত্রে জলপাইগুড়ি আসেন। ১৯৫০ সালের পর তার পরিবার জলপাইগুড়ি ছেড়ে চলে যায়।

বিখ্যাত ফুটবলার ফজলার রহমানের ছেলে পুটু রহমান বলছেন, তার বাবার সঙ্গেও খালেদার পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। খালেদার বাবা চাকরি সূত্রে জলপাইগুড়ি এসেছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে চায়ের ব্যবসায় যুক্ত হন। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক