বিলকিস মামলায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আদেশ প্রত্যাহারের জন্য হস্তক্ষেপের আবেদন জানালেন কেটি রামা রাও

- আপডেট : ১৮ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
- / 8
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিলকিস বানো মামলায় আদেশ প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপের আবেদন জানালেন মন্ত্রী কেটি রামা রাও। টিআরএস-এর কার্যনির্বাহী সভাপতি, মন্ত্রী কেটি রামা রাও বুধবার বিলকিস বানো মামলায় গুজরাত সরকারের আদেশের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আদেশ প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন।
২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ১১ জন সাজাপ্রাপ্তকে স্বাধীনতা দিবসে রেহাই দিয়েছে গুজরাত সরকার। ১১ জন অভিযুক্তের শাস্তি লাঘব করে দেওয়ার দরখাস্ত মঞ্জুর করে রাজ্য সরকারের একটি প্যানেল। সেইমতো ১১ জন অভিযুক্তকে সোমবার গোধরা কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
২০০২ সালের ৩ মার্চ বিলকিসকে দাহোদ জেলার লিমখেদা তালুকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল। তখন বিলকিস গর্ভবতী ছিলেন। সেই অভিশপ্ত দিনে যে ১৪ জনকে হত্যা করেছিল দাঙ্গাকারীরা, তার মধ্যে বিলকিসের তিন বছরের শিশুকন্যা সালেহাও ছিল।
এই মামলায় রায় বের হওয়ার পরেই কেটি রামা রাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হস্তক্ষেপ করে গুজরাত সরকারের আদেশ বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মহিলাদের সম্মান করার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসে পাঁচ সংকল্পের মধ্যে বলেন, ‘নারীজাতিকে অপমান একধরনের বিকৃত মানসিকতার লক্ষ্ণণ। সকলকে একজোট হয়ে এই ধরনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্য উল্লেখ করে কেটি রামা রাও একটি ট্যুইট করে বলেন, ‘প্রিয় নরেন্দ্র মোদিজী, আপনি যদি সত্যিই মহিলাদের সম্মান করার কথা বোঝাতে চেয়েছেন, তাহলে গুজরাত সরকার যে ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দিয়েছে, তার প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করছি। এটিকে হাল্কাভাবে না নিয়ে জাতির প্রতি বিচক্ষণতা দেখান’।
আর একটি ট্যুইট করে কেটি রামা রাও ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধির যথাযথ সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘যাতে কোনও ধর্ষক বিচার বিভাগের মাধ্যমে জামিন পেতে না পারে। একমাত্র কঠোর আইনি ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগের দ্রুত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সঠিক বিচার দেওয়া সম্ভব’।