০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দশগুন বাড়তে চলেছে ইসলামের প্রথম মসজিদ মসজিদে কুবা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 80

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ­ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন মসজিদ তিনটি। মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদে নববি ও জেরুজালেমের মসজিদুল আকসা। এরপর হল মসজিদে কুবা। নবি (সা.) নবুওয়ত লাভের পর এটিই ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম মসজিদ। সেই মসজিদ আকারে ১০ গুন বাড়ানো হবে জানিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান।

মসজিদে কুবা ইসলামের ইতিহাসের প্রথম নির্মিত মসজিদ। মহানবি (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় মদিনার অদূরে কুবায় এ মসজিদ নির্মাণ করেন। এর আগে মক্কায় তিনি কোনও মসজিদ নির্মাণ করেননি। হিজরতের প্রথম দিন কুবা অবস্থানকালে এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। মসজিদের নির্মাণকাজে সাহাবাদের সঙ্গে স্বয়ং রাসুল (সা.) অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭৮

২০১৮ সালে মুহাহাম্মদ বিন সালমান ১৩০টি ঐতিহাসিক মসজিদ পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা ছিল সরকারের জাতীয় পুনরুজ্জীবন কর্মসূচির অংশ। ক্রাউন প্রিন্স এই প্রাচীন মসজিদগুলির গুরুত্বে বিশ্বাস করেন। তিনি মন করেন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং স্থাপত্যের দিক দিয়ে এই মসজিদগুলি অত্যন্ত তাৎপযপূর্ণ।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি-কন্নড় প্রথম ফিচার ফিল্ম, উপত্যকায় সিনেশিল্প পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশা

৫০,০০০ বর্গ মিটার পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে এই মজসিদ। এর আগে এমন সম্প্রসারণ কখনও হয়নি। যে নয়া প্রকল্পের আওতায় এই সম্প্রসারণ তা মুহাম্মদ বিন সালমানের নামে। প্রকল্পটির লক্ষ্য হল মসজিদের ধারণক্ষমতা বাড়ানো। যাতে ৬৬,০০০ মুসল্লি একসঙ্গে এখানে নামায আদায় করতে পারেন। বর্তমানে মসজিদে কুবাতে ৫,০০০ বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে নামায হয়। এখানে এখন একসঙ্গে ২০,০০০ মুসল্লি নামায আদায় করতে পারেন।

আরও পড়ুন: বাক্-স্বাধীনতা থাকলেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা যায় না– শর্মিষ্ঠার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ

মসজিদে কুবার কাছে যেসব ঐতিহাসিক জায়গাগুলি আছে সেগুলিকেও নতুন করে রক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্পের অংশ হিসাবে কূপ, খামার এবং বাগান সহ ৫৭ টির মতো জায়গার উন্নয়ন বা পুনর্বাসন করা হবে। কুবা মসজিদ মসজিদে নববী থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ১ হিজরিতে (৬ ২ ২ খ্রিস্টা·) এই মজসিদ নির্মিত হয়েছিল।

এই মসজিদ সম্পর্কে একটি হাদিস আছে। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এই ঘরে অযু করে এবং সেখানে একটি সালাত আদায় করে, সে এক ওমরার সমতুল্য সওয়াব পাবে।’ এ কারণেই মসজিদটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয় দিক দিয়েও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দশগুন বাড়তে চলেছে ইসলামের প্রথম মসজিদ মসজিদে কুবা

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ­ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন মসজিদ তিনটি। মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদে নববি ও জেরুজালেমের মসজিদুল আকসা। এরপর হল মসজিদে কুবা। নবি (সা.) নবুওয়ত লাভের পর এটিই ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম মসজিদ। সেই মসজিদ আকারে ১০ গুন বাড়ানো হবে জানিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান।

মসজিদে কুবা ইসলামের ইতিহাসের প্রথম নির্মিত মসজিদ। মহানবি (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় মদিনার অদূরে কুবায় এ মসজিদ নির্মাণ করেন। এর আগে মক্কায় তিনি কোনও মসজিদ নির্মাণ করেননি। হিজরতের প্রথম দিন কুবা অবস্থানকালে এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। মসজিদের নির্মাণকাজে সাহাবাদের সঙ্গে স্বয়ং রাসুল (সা.) অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলা, নিহত ৭৮

২০১৮ সালে মুহাহাম্মদ বিন সালমান ১৩০টি ঐতিহাসিক মসজিদ পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা ছিল সরকারের জাতীয় পুনরুজ্জীবন কর্মসূচির অংশ। ক্রাউন প্রিন্স এই প্রাচীন মসজিদগুলির গুরুত্বে বিশ্বাস করেন। তিনি মন করেন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং স্থাপত্যের দিক দিয়ে এই মসজিদগুলি অত্যন্ত তাৎপযপূর্ণ।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরি-কন্নড় প্রথম ফিচার ফিল্ম, উপত্যকায় সিনেশিল্প পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশা

৫০,০০০ বর্গ মিটার পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে এই মজসিদ। এর আগে এমন সম্প্রসারণ কখনও হয়নি। যে নয়া প্রকল্পের আওতায় এই সম্প্রসারণ তা মুহাম্মদ বিন সালমানের নামে। প্রকল্পটির লক্ষ্য হল মসজিদের ধারণক্ষমতা বাড়ানো। যাতে ৬৬,০০০ মুসল্লি একসঙ্গে এখানে নামায আদায় করতে পারেন। বর্তমানে মসজিদে কুবাতে ৫,০০০ বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে নামায হয়। এখানে এখন একসঙ্গে ২০,০০০ মুসল্লি নামায আদায় করতে পারেন।

আরও পড়ুন: বাক্-স্বাধীনতা থাকলেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা যায় না– শর্মিষ্ঠার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ

মসজিদে কুবার কাছে যেসব ঐতিহাসিক জায়গাগুলি আছে সেগুলিকেও নতুন করে রক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্পের অংশ হিসাবে কূপ, খামার এবং বাগান সহ ৫৭ টির মতো জায়গার উন্নয়ন বা পুনর্বাসন করা হবে। কুবা মসজিদ মসজিদে নববী থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ১ হিজরিতে (৬ ২ ২ খ্রিস্টা·) এই মজসিদ নির্মিত হয়েছিল।

এই মসজিদ সম্পর্কে একটি হাদিস আছে। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এই ঘরে অযু করে এবং সেখানে একটি সালাত আদায় করে, সে এক ওমরার সমতুল্য সওয়াব পাবে।’ এ কারণেই মসজিদটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয় দিক দিয়েও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।