২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লখিমপুর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে যোগী সরকার

ফাইল চিত্র

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট বুধবার পরিষ্কার জানিয়েছে, তারা উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকায় আদৌ সন্তুষ্ট নয়।লখিমপুর কাণ্ডে  সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল যোগী সরকারকে। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানালেন, উত্তরপ্রদেশের সরকারের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল আরও একদিন আগে। কিন্তু তার পরিবর্তে তা জমা দেওয়া হয় মঙ্গলবার রাতে। সেই সঙ্গে শুনানি পিছিয়ে শুক্রবার করার আর্জি জানিয়েছিল যোগী সরকার। তাও খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সব মিলিয়ে এদিনের শুনানিতে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হল যোগী সরকারকে।

দ্রুত সমস্ত সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করতে হবে। এদিনের শুনানিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।সেই সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না বলেই মন্তব্য শীর্ষ আদালতের।এপর্যন্ত কারা গ্রেপ্তার হয়েছে এই মামলায়, তাও রাজ্য সরকারের থেকে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে হাড়হিম খুন, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর দেহ কুচি কুচি করলেন স্ত্রী

বিরক্ত আদালত জানায়, ”আমরা রাত ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু তখনও তা আমাদের হাতে আসেনি।” এর জবাবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, রিপোর্ট মঙ্গলবারই জমা দেওয়া হয়েছে। তখন প্রধান বিচারপতি রামানা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ”একেবারে শেষ মুহূর্তে জমা দিলে কী করে তা পড়া সম্ভব? আরও অন্তত একদিন আগে এটা জমা দেওয়া উচিত ছিল।”

আরও পড়ুন: অনুদানের ৮২ শতাংশই বিজেপির ঘরে, বিতর্কে ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট

প্রধান বিচারপতি জানতে চান কেন এখনও খুব বেশি সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেনি সরকার? প্রশাসনের পদক্ষেপকে ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আপনারা এখনও পর্যন্ত ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে কেবল ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। কেন এর থেকে বেশি লোকের সাক্ষ্য পাওয়া গেল না?” জবাবে অবশ্য সালভে জানান, সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। সমস্ত অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন: এবার উত্তরপ্রদেশে বিএলও-র মৃত্যু!

যোগী সরকারকে ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ”উত্তরপ্রদেশ সরকারের এযাবৎ পদক্ষেপে আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা চাই দায়িত্বশীল সরকার ও পুলিশ। যে অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত গুরুতর।”

সর্বধিক পাঠিত

গ্যাংস্টার দুবের জীবনী নিয়ে ওয়েব সিরিজ, ‘সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন’ হওয়ার আশঙ্কায় হাইকোর্টে স্ত্রী

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লখিমপুর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে যোগী সরকার

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট বুধবার পরিষ্কার জানিয়েছে, তারা উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকায় আদৌ সন্তুষ্ট নয়।লখিমপুর কাণ্ডে  সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল যোগী সরকারকে। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানালেন, উত্তরপ্রদেশের সরকারের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল আরও একদিন আগে। কিন্তু তার পরিবর্তে তা জমা দেওয়া হয় মঙ্গলবার রাতে। সেই সঙ্গে শুনানি পিছিয়ে শুক্রবার করার আর্জি জানিয়েছিল যোগী সরকার। তাও খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সব মিলিয়ে এদিনের শুনানিতে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হল যোগী সরকারকে।

দ্রুত সমস্ত সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করতে হবে। এদিনের শুনানিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।সেই সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না বলেই মন্তব্য শীর্ষ আদালতের।এপর্যন্ত কারা গ্রেপ্তার হয়েছে এই মামলায়, তাও রাজ্য সরকারের থেকে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে হাড়হিম খুন, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর দেহ কুচি কুচি করলেন স্ত্রী

বিরক্ত আদালত জানায়, ”আমরা রাত ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু তখনও তা আমাদের হাতে আসেনি।” এর জবাবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, রিপোর্ট মঙ্গলবারই জমা দেওয়া হয়েছে। তখন প্রধান বিচারপতি রামানা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ”একেবারে শেষ মুহূর্তে জমা দিলে কী করে তা পড়া সম্ভব? আরও অন্তত একদিন আগে এটা জমা দেওয়া উচিত ছিল।”

আরও পড়ুন: অনুদানের ৮২ শতাংশই বিজেপির ঘরে, বিতর্কে ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট

প্রধান বিচারপতি জানতে চান কেন এখনও খুব বেশি সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেনি সরকার? প্রশাসনের পদক্ষেপকে ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আপনারা এখনও পর্যন্ত ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে কেবল ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। কেন এর থেকে বেশি লোকের সাক্ষ্য পাওয়া গেল না?” জবাবে অবশ্য সালভে জানান, সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। সমস্ত অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন: এবার উত্তরপ্রদেশে বিএলও-র মৃত্যু!

যোগী সরকারকে ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ”উত্তরপ্রদেশ সরকারের এযাবৎ পদক্ষেপে আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা চাই দায়িত্বশীল সরকার ও পুলিশ। যে অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত গুরুতর।”