২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমানবন্দরের জন্য জোর করে জমি নেওয়া হবে না: মমতা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 72

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্য তিনি যে শিল্পায়নের পক্ষে তা বার বারই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার জন্য যে জোর করে জমি কাড়বেন না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের নেত্রী।

সোমবার ফের একবার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কলকাতা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য জোর করে জমি নেওয়ার পক্ষপাতী নন। মানুষকে জোর করে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করার বিপক্ষে।’

আরও পড়ুন: ‘SIR-এর জন্য আর কত প্রাণ যাবে?’ BLO-এর আত্মহত্যায় প্রশ্ন তুললেন মমতা

কলকাতা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি চেয়ে রাজ্যের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

আরও পড়ুন: যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন,আমি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করব না: এসআইআর নিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিন লখনউ যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে মমতা বলেন, ‘কলকাতা বিমানবন্দরের জন্য আরও এক হাজার একর জমি লাগবে। আমি কি সব বাড়িগুলিকে সরিয়ে দেব? এভাবে জোর করে মানুষের কাছ থেকে জোর করে জমি কেড়ে নেব না। আমি এখানে ফের নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর হতে দেব না। যখন জমি পাওয়া যাবে, তখনই এই কাজ করতে পারব আমরা। আমরা কাউকে জোর করে সরাতে পারব না। এটা আমাদের নীতি নয়।’

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার জেরে আহমেদাবাদ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর বন্ধ করা হল

রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোটে দলীয় প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ক্ষোভ সামাল দিতে প্রার্থী তালিকায় বদলও ঘটানো হয়েছে।

এ বিষয়ে এদিন রাজ্যের শাসকদলের সুপ্রিমো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘প্রার্থী তালিকা আর বদল হবে না। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি সুব্রত বক্সি ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাক্ষরিত তালিকাই চূড়ান্ত। দলের সবাইকে ওই তালিকা মেনে নিতে হবে।’

অর্থা‍ৎ প্রার্থী তালিকা নিয়ে নিচুতলার নেতা-কর্মীদের বাড়াবাড়ি তিনি যে বরদাস্ত করবেন না, সে বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন।

পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির জন্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশই কাঠগড়ায় তুলেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাককে। এমনকী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভোটের রণনীতি তৈরির দায়িত্বে থাকা সংস্থার কাজকর্মে ক্ষুব্ধ বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা রাগত স্বরে তৃণমূল সুপ্রিমো জবাব দেন, ‘এসব নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি কোনও জবাব দেব না।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিমানবন্দরের জন্য জোর করে জমি নেওয়া হবে না: মমতা

আপডেট : ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্য তিনি যে শিল্পায়নের পক্ষে তা বার বারই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার জন্য যে জোর করে জমি কাড়বেন না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের নেত্রী।

সোমবার ফের একবার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কলকাতা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য জোর করে জমি নেওয়ার পক্ষপাতী নন। মানুষকে জোর করে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করার বিপক্ষে।’

আরও পড়ুন: ‘SIR-এর জন্য আর কত প্রাণ যাবে?’ BLO-এর আত্মহত্যায় প্রশ্ন তুললেন মমতা

কলকাতা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি চেয়ে রাজ্যের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

আরও পড়ুন: যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন,আমি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করব না: এসআইআর নিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এদিন লখনউ যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে মমতা বলেন, ‘কলকাতা বিমানবন্দরের জন্য আরও এক হাজার একর জমি লাগবে। আমি কি সব বাড়িগুলিকে সরিয়ে দেব? এভাবে জোর করে মানুষের কাছ থেকে জোর করে জমি কেড়ে নেব না। আমি এখানে ফের নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর হতে দেব না। যখন জমি পাওয়া যাবে, তখনই এই কাজ করতে পারব আমরা। আমরা কাউকে জোর করে সরাতে পারব না। এটা আমাদের নীতি নয়।’

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার জেরে আহমেদাবাদ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর বন্ধ করা হল

রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোটে দলীয় প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ক্ষোভ সামাল দিতে প্রার্থী তালিকায় বদলও ঘটানো হয়েছে।

এ বিষয়ে এদিন রাজ্যের শাসকদলের সুপ্রিমো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘প্রার্থী তালিকা আর বদল হবে না। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি সুব্রত বক্সি ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাক্ষরিত তালিকাই চূড়ান্ত। দলের সবাইকে ওই তালিকা মেনে নিতে হবে।’

অর্থা‍ৎ প্রার্থী তালিকা নিয়ে নিচুতলার নেতা-কর্মীদের বাড়াবাড়ি তিনি যে বরদাস্ত করবেন না, সে বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন।

পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির জন্য তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের অধিকাংশই কাঠগড়ায় তুলেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাককে। এমনকী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভোটের রণনীতি তৈরির দায়িত্বে থাকা সংস্থার কাজকর্মে ক্ষুব্ধ বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা রাগত স্বরে তৃণমূল সুপ্রিমো জবাব দেন, ‘এসব নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি কোনও জবাব দেব না।’