১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রামেদের পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা,পেছনে কোন রসায়ন?

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 62

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মাঝে মাত্র আট মাস, বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য পাওয়া বামেরা কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে। বামেদের ভোট শতাংশের হিসেবও বেড়েছে। ৬৫টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা । পেয়েছে ১২ শতাংশ ভোট।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

রামেদের পেছনে ফেলে কেন একেবারে ২ নং স্থানে উঠে এল বামেরা। কি বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আসলে বাংলায় পদ্ম শিবিরের অন্তঃসার শূন্যতা  বিধানসভা নির্বাচনেই প্রকাশ পেয়েছিল। এবার কলকাতা পুরসভার নির্বাচন বঙ্গ বিজেপির ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থাটা আরও একবার প্রকাশ্যে এনে দিল।

আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহারে বিতর্ক কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে

রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে হয়ত সস্তা পাবলিসিটি মেলে কিন্তু জনপ্রতিনিধি হতে গেলে প্রয়োজন জনতার সঙ্গে সংযোগ। তাতেই যে গোড়ায় গলদ থেকে গিয়েছে তা বোধহয় এতদিনে হাড়েহাড়ে বুঝছেন শুভেন্দু, সুকান্ত, দিলীপরা।

আরও পড়ুন: বাংলা ভাগের দাবিদারদের সঙ্গে শমীকের বৈঠক

যেমনটা বুঝেছিলেন মোদি-শাহরা। দিল্লি থেকে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে,কুৎসা করেও অধরা থেকে গিয়েছে বাংলার নীলবাড়ি দখলের স্বপ্ন। এখানেই শেষ নয় মোদি-শাহরা যেভাবে বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে অপমান করেছেন, বাংলার যশস্বী মনিষীদের উদ্দেশ্যে কুকথা বলেছেন একের পর এক জনসভায় তার জবাব বাংলার মানুষ  ভোটবাক্সে দিয়েছেন। ৭৭-এ ফেঁসে গিয়েছে বিজেপির প্রত্যাশার ফানুশ।

অন্যদিকে বামেরা কিছুটা হলেও কেন  ঘুরে দাড়াল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই বামদের এই ফলাফলের জন্য রেড ভলিন্টিয়ার্সদের কিছুটা হলেও ভূমিকা আছে। করোনা কালে রেড ভলিন্টিয়ার্সরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই কর্মকান্ডের কথা তারা ছড়িয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সাধারণ মানুষের ভরসা কেড়ে নিয়েছেন এই তরুণ তুর্কীরা। একটা সময় বাম শীর্ষ  নেতৃত্বের কাছে যে সোশ্যাল মিডিয়া অচ্যুৎ ছিল, তাকে ব্যবহার করেই কিছুটা হলেও অক্সিজেন ফিরে  পেল বামেরা। বিধানসভায় না হোক ছোট লালবাড়িতে অন্তত বিরোধী  আসনে ফের দেখা যাবে বামেদের। অন্যদিকে আরও পাঁকে নিমজ্জিত হল পদ্ম। রাজ্যের একমাত্র রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ যে ঘাসফুল, আরও একবার বুঝিয়ে দিল কলকাতা পুরসভার নির্বাচন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রামেদের পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা,পেছনে কোন রসায়ন?

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মাঝে মাত্র আট মাস, বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য পাওয়া বামেরা কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে। বামেদের ভোট শতাংশের হিসেবও বেড়েছে। ৬৫টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা । পেয়েছে ১২ শতাংশ ভোট।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

রামেদের পেছনে ফেলে কেন একেবারে ২ নং স্থানে উঠে এল বামেরা। কি বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আসলে বাংলায় পদ্ম শিবিরের অন্তঃসার শূন্যতা  বিধানসভা নির্বাচনেই প্রকাশ পেয়েছিল। এবার কলকাতা পুরসভার নির্বাচন বঙ্গ বিজেপির ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থাটা আরও একবার প্রকাশ্যে এনে দিল।

আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহারে বিতর্ক কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে

রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়ে হয়ত সস্তা পাবলিসিটি মেলে কিন্তু জনপ্রতিনিধি হতে গেলে প্রয়োজন জনতার সঙ্গে সংযোগ। তাতেই যে গোড়ায় গলদ থেকে গিয়েছে তা বোধহয় এতদিনে হাড়েহাড়ে বুঝছেন শুভেন্দু, সুকান্ত, দিলীপরা।

আরও পড়ুন: বাংলা ভাগের দাবিদারদের সঙ্গে শমীকের বৈঠক

যেমনটা বুঝেছিলেন মোদি-শাহরা। দিল্লি থেকে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে,কুৎসা করেও অধরা থেকে গিয়েছে বাংলার নীলবাড়ি দখলের স্বপ্ন। এখানেই শেষ নয় মোদি-শাহরা যেভাবে বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে অপমান করেছেন, বাংলার যশস্বী মনিষীদের উদ্দেশ্যে কুকথা বলেছেন একের পর এক জনসভায় তার জবাব বাংলার মানুষ  ভোটবাক্সে দিয়েছেন। ৭৭-এ ফেঁসে গিয়েছে বিজেপির প্রত্যাশার ফানুশ।

অন্যদিকে বামেরা কিছুটা হলেও কেন  ঘুরে দাড়াল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই বামদের এই ফলাফলের জন্য রেড ভলিন্টিয়ার্সদের কিছুটা হলেও ভূমিকা আছে। করোনা কালে রেড ভলিন্টিয়ার্সরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই কর্মকান্ডের কথা তারা ছড়িয়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সাধারণ মানুষের ভরসা কেড়ে নিয়েছেন এই তরুণ তুর্কীরা। একটা সময় বাম শীর্ষ  নেতৃত্বের কাছে যে সোশ্যাল মিডিয়া অচ্যুৎ ছিল, তাকে ব্যবহার করেই কিছুটা হলেও অক্সিজেন ফিরে  পেল বামেরা। বিধানসভায় না হোক ছোট লালবাড়িতে অন্তত বিরোধী  আসনে ফের দেখা যাবে বামেদের। অন্যদিকে আরও পাঁকে নিমজ্জিত হল পদ্ম। রাজ্যের একমাত্র রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ যে ঘাসফুল, আরও একবার বুঝিয়ে দিল কলকাতা পুরসভার নির্বাচন।