নয়াদিল্লি, ২১ এপ্রিল: ৩৬ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। রয়েছে বসত বাড়ি ও কিছু কৃষিজমি। এছাড়াও রয়েছে ৭২ লক্ষের গহনা। হাতে নগদ মাত্র ২৪ হাজার। নির্বাচনী হলফনামায় পাওয়া গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সম্পত্তির লেখাজোখা। রয়েছে ঋণও। হলফনামায় নিজেকে কৃষিজীবী হিসাবে উল্লেখ করেছেন।পিছিয়ে নেই তাঁর স্ত্রী সোনাল শাহও। অমিতপত্নী সোনাল শাহের ৩৭.৪ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। যার মধ্যে গহনা রেেয়ছ ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার। যদিও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে শাহপত্নীর আয় ছিল ৩৯ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা। সোনাল শাহের ঋণ রয়েছে ২৬ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। এছাড়া বাকি সম্পদ সেভিংস অ্যাকাউন্ট ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ড, সোনা এবং বিভিন্ন জাতীয় ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের মতো স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করেছেন। গান্ধিনগর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির চাণক্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শাহ ও তার স্ত্রীর বিনিয়োগের সুস্পষ্ট কোনও ধারণা করা মুশকিল। কারণ ২৪২টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। লক্ষ্যণীয়, মাত্র ১০টি কোম্পানিতে ১ কোটি বা তার বেশি বিনিয়োগের স্পষ্ট তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যা হিসাব পাওয়া গেছে, তাতে শাহ দম্পতির মোট বিনিয়োগের মাত্র ৪৩ শতাংশ।
সোনাল এবং অমিত শাহের ইক্যুইটি বিনিয়োগের তথ্যে নজর দিলে বোঝা যায় ব্যাঙ্কিং এবং এফএমসিজি স্টকগুলিতে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। কানারা ব্যাঙ্ক (২.৯৬ কোটি টাকা) এবং কারুর বৈশ্য ব্যাঙ্ক লিমিটেড (১.৮৯ কোটি টাকা)। যা তাদের স্টক মার্কেটে বরাদ্দের প্রায় ১৩ শতাংশ। এছাড়াও, উভয়ই বন্ধন ব্যাঙ্ক এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং এর কিছু সহযোগী সংস্থাগুলিতে ছোট বিনিয়োগ করেছে।
হলফনামায় দেখা গেছে, বেশকিছু এফএমসিজি কোম্পানি সেইসব কোম্পানির তালিকাভুক্ত রয়েছে তেমন কোম্পানিতে একসঙ্গে ১ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বেল হাইজিন অ্যান্ড হেলথ্কেয়ার লিমিটেড-এ ১.৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়াও হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডেও শাহ দম্পতি ১.৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
এছাড়াও গুজরাট ফ্লুরোকেমিক্যালস লিমিটেড (১.৭৯ কোটি টাকা), লক্ষ্মী মেশিন ওয়ার্কস লিমিটেড (১.৭৫ কোটি), এমআরএফ লিমিটেড (১.২৯ কোটি), ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড (১.২২ কোটি) ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (১.০৫ কোটি) কোম্পানিতে তিনি ১ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন।
সামগ্রিকভাবে, শাহ এবং তাঁর স্ত্রীর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি ২০১৯ সালে ছিল ৪০.৩ কোটি। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬৫.৭ কোটি টাকা অর্থাৎ ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। বিনিয়োগের মাধ্যমে শাহ দম্পতি অস্থাবর সম্পদ ৮২ শতাংশ বেড়েছে। তেমনই তাঁদের স্থাবর সম্পদের মূল্য গত পাঁচ বছরে মাত্র ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।