মাদ্রাজ আইআইটি: আরওএক গবেষক ছাত্র আত্মঘাতী
ইমামা খাতুন
- আপডেট :
৩ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার
- / 11
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফের মাদ্রাজ আইআইটি’র এক পিএইচডি ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। তামিলনাড়ুর ভেলাচেরিতে নিজের ঘরে ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী হয় বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছরে আইআইটি মাদ্রাজে তৃতীয় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল।
মৃত ছাত্রের নাম শচীন। সে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে খবর মিলেছে। সহপাঠীদের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ মার্চ ওই ছাত্র একটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস পোস্ট করেছিল। সেখানে সে লিখেছিল-‘আমি দুঃখিত, যথেষ্ট ভালো নেই।’
তার এই স্ট্যাটাস দেখে বন্ধুরা অনুমান করেছিল খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে। এক মুহূর্ত দেরি না করে তারা সঙ্গেসঙ্গে শচীনের ঘরে পৌঁছায়। কিন্তু ততক্ষণে সবশেষ। তারা শচীনকে সেখানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তারা তড়িঘড়ি একটি অ্যাম্বুল্যান্সের বন্দোবস্তো করে শচীনকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটি তৃতীয় আত্মহত্যার ঘটনা। সবমিলিয়ে এই ধরনের ১১টি ঘটনা ঘটেছে এখানে। পুলিশ মৃতদেহটি নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তা ময়নাতদন্তের জন্য রায়পেট সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ময়না তদন্তের রিপোর্টে: জন্য অপেক্ষা করছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকেও ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি, তাদের পক্ষ থেকে মৃত ছাত্রের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানানো হয়েছে। একটি বিবৃতিতে আইআইটি মাদ্রাজ বলেছে, ‘আমরা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ বিকালে আমাদের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক পিএইচডি রিসার্চ স্কলারের অকাল মৃত্যুর খবর জানাতে পেরে গভীরভাবে শোকাহত। একজন অনুকরণীয় অ্যাকাডেমিক এবং গবেষকের মৃত্যু শিক্ষার ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ১৪ মার্চ মাদ্রাজ আইআইটি ক্যাম্পাসে ভাইপু পুষ্পক শ্রী সাই (২০) নামে বি-টেকের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছিল। সে অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। কোট্টুরপুরম পুলিশ এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। তার তদন্ত এখনও চলছে।
তার আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রের এক গবে¡ক ছাত্র মাদ্রাজ আইআইটি ক্যাম্পাসের ভিতরের একটি ঘরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। আইআইটি মাদ্রাজের মতো একটি খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের এভাবে আত্মঘাতী হওয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।