২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুর দফতরকে কেন্দ্রীয়ভাবে জঞ্জাল সাফ করার নির্দেশ মমতার

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 212

পুবের কলম প্রতিবেদক : বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় জঞ্জাল সাফাই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়া, রাস্তাঘাটে ময়লা জমে থাকা, কঠিন বর্জ্য পদার্থ পুনর্বব্যবহার করার আধুনিক ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়া ইত্যাদি অভিযোগ উঠছিল শহরের পুরসভাগুলির বিরুদ্ধে। এইসব অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সোমবার নবান্নের বৈঠকে রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয়ভাবে জঞ্জাল সাফাই পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভা এলাকার আবর্জনা ও জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য সরাসরি পুর ও নগরোন্নন দপ্তরকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে মঙ্গলবারই উদ্যোগ নেয় সেই দফতর।

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশকে অনেকেই রাজনৈতিক বলে ব্যাখ্যা করছেন। অনেকের মতে গত বছর লোকসভা নির্বাচনের শহরের মানুষের ভোট অনেকটাই পায়নি তৃণমূল। শহরের পুরসভার পরিষেবা পাওয়া নিয়ে অনেকের মনেই ক্ষোভ ছিল। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগের থেকেই শহুরে ভোটারদের মন পেতে কেন্দ্রীয়ভাবে জঞ্জাল পরিষ্কারের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বৃষ্টি-ধস, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

তবে সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী বারাসত পুরসভা এলাকায় আবর্জনা জমে থাকার অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। বারাসত ছাড়াও কলকাতার একাধিক পুরসভা এলাকাতেও নিয়মিত সাফাই না হওয়ার অভিযোগ উঠে থাকে। এইসব অভিযোগ প্রকাশে আসার পরেই বিভিন্ন| পুরসভা এলাকায় জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন কোনো পুরসভাকে আর জঞ্জাল পরিষ্কারের দায়িত্ব নিতে হবে না। এখন থেকে রাজ্য সরকারই কেন্দ্রীয়ভাবে এই দায়িত্ব পালন করবে।

আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় পুজোর কার্নিভালের জৌলুস দেখে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কেউ কেউ ভাবছেন কেন্দ্রীয়ভাবে এই জঞ্জাল পরিষ্কার এর কাজ হলে স্বচ্ছতা এবং গতি আসবে। আবার অনেকে ভাবছেন কেন্দ্রীয়ভাবে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ হলে পুরসভাগুলির ভূমিকা কী হবে? তারা যেসব কারণে পুরকর নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পুরসভার আয়ের রাস্তায় কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা? পুরসভাগুলি অবশ্য জানিয়েছে তাদের কাছে এখনও কোনো নির্দেশ আসেনি।

আরও পড়ুন: কলকাতা পুরনিগমে কয়েক হাজার শূন্যপদ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুর দফতরকে কেন্দ্রীয়ভাবে জঞ্জাল সাফ করার নির্দেশ মমতার

আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক : বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় জঞ্জাল সাফাই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়া, রাস্তাঘাটে ময়লা জমে থাকা, কঠিন বর্জ্য পদার্থ পুনর্বব্যবহার করার আধুনিক ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়া ইত্যাদি অভিযোগ উঠছিল শহরের পুরসভাগুলির বিরুদ্ধে। এইসব অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সোমবার নবান্নের বৈঠকে রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয়ভাবে জঞ্জাল সাফাই পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরসভা এলাকার আবর্জনা ও জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য সরাসরি পুর ও নগরোন্নন দপ্তরকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে মঙ্গলবারই উদ্যোগ নেয় সেই দফতর।

মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশকে অনেকেই রাজনৈতিক বলে ব্যাখ্যা করছেন। অনেকের মতে গত বছর লোকসভা নির্বাচনের শহরের মানুষের ভোট অনেকটাই পায়নি তৃণমূল। শহরের পুরসভার পরিষেবা পাওয়া নিয়ে অনেকের মনেই ক্ষোভ ছিল। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগের থেকেই শহুরে ভোটারদের মন পেতে কেন্দ্রীয়ভাবে জঞ্জাল পরিষ্কারের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বৃষ্টি-ধস, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

তবে সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী বারাসত পুরসভা এলাকায় আবর্জনা জমে থাকার অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। বারাসত ছাড়াও কলকাতার একাধিক পুরসভা এলাকাতেও নিয়মিত সাফাই না হওয়ার অভিযোগ উঠে থাকে। এইসব অভিযোগ প্রকাশে আসার পরেই বিভিন্ন| পুরসভা এলাকায় জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন কোনো পুরসভাকে আর জঞ্জাল পরিষ্কারের দায়িত্ব নিতে হবে না। এখন থেকে রাজ্য সরকারই কেন্দ্রীয়ভাবে এই দায়িত্ব পালন করবে।

আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় পুজোর কার্নিভালের জৌলুস দেখে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কেউ কেউ ভাবছেন কেন্দ্রীয়ভাবে এই জঞ্জাল পরিষ্কার এর কাজ হলে স্বচ্ছতা এবং গতি আসবে। আবার অনেকে ভাবছেন কেন্দ্রীয়ভাবে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ হলে পুরসভাগুলির ভূমিকা কী হবে? তারা যেসব কারণে পুরকর নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পুরসভার আয়ের রাস্তায় কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা? পুরসভাগুলি অবশ্য জানিয়েছে তাদের কাছে এখনও কোনো নির্দেশ আসেনি।

আরও পড়ুন: কলকাতা পুরনিগমে কয়েক হাজার শূন্যপদ