০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীচু জাতের ছেলেকে বিয়ে, মেয়েকে খুন করে স্যুটকেস বন্দি! গ্রেফতার বাবা-মা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 8

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ  মেয়েকে খুনের অভিযোগে বাবা-মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।   ২২ বছরের তরুণীর দেহ একটি স্যুটকেসের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে। গত সপ্তাহে তার দেহ উত্তরপ্রদেশের মথুরায় যমুনা হাইওয়ের সামনে পাওয়া যায়। মথুরা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মৃতার নাম আয়ুষী চৌধুরী। আয়ুষীর বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতার বাবার নাম নীতেশ যাদব। মেয়ের দেহ শনাক্ত করার সময় তাদের ডেকে পাঠানো হয়, বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় বাবা-মাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, ভিন্ন জাতের ছেলেকে বিয়ে করার জন্য মেয়ে আয়ুষীর ওপর রেগেই ছিলেন নীতেশ যাদব। সম্প্রতি তাকে না বলে বাইরে যাওয়ার জন্য মেয়ের ওপরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। বাপের বাড়িতে আসতেই মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। আয়ুষী চৌধুরী দিল্লিতে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক পড়ছিলেন।

দিল্লি পুলিশ যমুনা হাইওয়ে এক্সপ্রেস থেকে একটি সুটকেস উদ্ধার করে। সেই স্যুটকেস থেকে উদ্ধার হয় আয়ুষীর দেহ। পুলিশ স্যুটকেসটি উদ্ধার করার পরে, তারা ফোন ট্রেস করতে শুরু করে।  সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তরুণীকে শনাক্ত করতে দিল্লিতে পোস্টারও লাগানো হয়। তবে রবিবার সকালে একটি অজানা কল থেকে তার সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়। পরে তার মা এবং ভাই আয়ুষীকে ছবির মাধ্যমে শনাক্ত করেন। মৃতদেহ শনাক্ত করতে গেলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে দক্ষিণ দিল্লির বদরপুরে থেকে আয়ুষীর বাবাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, আয়ুষী তার পরিবারকে না জানিয়ে অন্য বর্ণের ছত্রপাল নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন। এর পরে বাবা-মায়ের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে মেয়ে আয়ুষীর ওপরে। মেয়ে আয়ুষীকে খুন করে তার দেহ একটি স্যুটকেসের মধ্যে পুড়ে দেন তারা। মেয়ের দেহ স্যুটকেসে ঢোকাতে স্বামীকে সাহায্য করেন তার স্ত্রী।

স্যুটকেসটিকে মথুরায় যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ের কাছে ফেলে দিয়ে আসেন। গত শুক্রবার প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় লাল রংয়ের একটি স্যুটকেসের মধ্য থেকে আয়ুষীর দেগ উদ্ধার করা হয়। আয়ুষীর মুখে ও মাথায় রক্তমাখা ছিল, সারা দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারটি উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বালুনির বাসিন্দা। নীতেশ যাদব সেখানে চাকরি পাওয়ার পরে মথুরায় চলে আসেন স্বপরিবারে।প্রথম স্যুটকেসটিকে দেখতে পান কয়েকজন শ্রমিক। তারা পুলিশেস খবর দেয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নীচু জাতের ছেলেকে বিয়ে, মেয়েকে খুন করে স্যুটকেস বন্দি! গ্রেফতার বাবা-মা

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ  মেয়েকে খুনের অভিযোগে বাবা-মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।   ২২ বছরের তরুণীর দেহ একটি স্যুটকেসের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে। গত সপ্তাহে তার দেহ উত্তরপ্রদেশের মথুরায় যমুনা হাইওয়ের সামনে পাওয়া যায়। মথুরা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মৃতার নাম আয়ুষী চৌধুরী। আয়ুষীর বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতার বাবার নাম নীতেশ যাদব। মেয়ের দেহ শনাক্ত করার সময় তাদের ডেকে পাঠানো হয়, বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় বাবা-মাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, ভিন্ন জাতের ছেলেকে বিয়ে করার জন্য মেয়ে আয়ুষীর ওপর রেগেই ছিলেন নীতেশ যাদব। সম্প্রতি তাকে না বলে বাইরে যাওয়ার জন্য মেয়ের ওপরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। বাপের বাড়িতে আসতেই মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। আয়ুষী চৌধুরী দিল্লিতে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক পড়ছিলেন।

দিল্লি পুলিশ যমুনা হাইওয়ে এক্সপ্রেস থেকে একটি সুটকেস উদ্ধার করে। সেই স্যুটকেস থেকে উদ্ধার হয় আয়ুষীর দেহ। পুলিশ স্যুটকেসটি উদ্ধার করার পরে, তারা ফোন ট্রেস করতে শুরু করে।  সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তরুণীকে শনাক্ত করতে দিল্লিতে পোস্টারও লাগানো হয়। তবে রবিবার সকালে একটি অজানা কল থেকে তার সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়। পরে তার মা এবং ভাই আয়ুষীকে ছবির মাধ্যমে শনাক্ত করেন। মৃতদেহ শনাক্ত করতে গেলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে দক্ষিণ দিল্লির বদরপুরে থেকে আয়ুষীর বাবাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, আয়ুষী তার পরিবারকে না জানিয়ে অন্য বর্ণের ছত্রপাল নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন। এর পরে বাবা-মায়ের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে মেয়ে আয়ুষীর ওপরে। মেয়ে আয়ুষীকে খুন করে তার দেহ একটি স্যুটকেসের মধ্যে পুড়ে দেন তারা। মেয়ের দেহ স্যুটকেসে ঢোকাতে স্বামীকে সাহায্য করেন তার স্ত্রী।

স্যুটকেসটিকে মথুরায় যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ের কাছে ফেলে দিয়ে আসেন। গত শুক্রবার প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় লাল রংয়ের একটি স্যুটকেসের মধ্য থেকে আয়ুষীর দেগ উদ্ধার করা হয়। আয়ুষীর মুখে ও মাথায় রক্তমাখা ছিল, সারা দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারটি উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বালুনির বাসিন্দা। নীতেশ যাদব সেখানে চাকরি পাওয়ার পরে মথুরায় চলে আসেন স্বপরিবারে।প্রথম স্যুটকেসটিকে দেখতে পান কয়েকজন শ্রমিক। তারা পুলিশেস খবর দেয়।