০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দূর্গাপুরের জেমুয়া গ্রামে আক্রান্ত গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করলেন মাওলানা কামরুজ্জামান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
  • / 29

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দূর্গাপুরের জেমুয়া গ্রামে এলেন সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন সম্পাদক মৌলানা কামরুজ্জামান। সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের প্রতিনিধি দলের তরফ ছিলেন সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমী, সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, সহ সম্পাদক আলি আকবর, হাওড়া জেলা সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম, জানে আলম মল্লিক প্রমূখ। তিনি নিরিহ গরু ব্যবসায়ী সাজমান খান ও সেখ তহুরুলের সাথে দীর্ঘক্ষন কথা বলেন। পাশাপাশি বাকিদের আহতের শারীরিক খোঁজ খবর নেন।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন পূর্বে বাঁকুড়ার আশুরিয়া হাট থেকে চাষের ও ব্যবসার জন্য গরু কিনে বাড়ি নিয়ে আসছিলেন চারজন মুসলিম। তাদের মধ্যে একজন পৌঢ় ব্যক্তি ছিলেন। তাদের গাড়ি দূর্গাপুরের ব্যারেজ পেরিয়ে আসতেই তাদের ধরে মারধর করে একদল দুস্কৃতকারী। তাদের গলায় দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়। মেরে একজনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

বৈধ্য কাগজে কিনে আনা গরু খুলে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাছাড়াও তাদের কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পরই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মুল অভিযুক্ত পারিজাত গাঙ্গুলি পলাতক। পুলিশ তার খোজে তল্লাশি শুরু করেছে। মৌলানা কামরুজ্জামান ঘটনায় মুল অভিযুক্ত পারিজাত গাঙ্গুলিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবী জানান।

পাশাপাশি অপরাধে জড়িত সকলকে দৃষ্টান্ত মুলত শাস্তি দিতে হবে। এর সাথে সাথে ওই সব নিরিহদের গরু ফিরিয়ে দেবার সাথে সাথে ছিনিয়ে নেওয়া টাকা ফেরতের দাবী জানান। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দূর্গাপুজোর জন্য এক লক্ষ দশ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেবার পরও জোরজুলুম করে ছয় হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে ওই নিরিহ গরীব ব্যবসায়ীদের থেকে। অবিলম্বে সেই অর্থ ফেরত দেবার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দূর্গাপুরের জেমুয়া গ্রামে আক্রান্ত গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করলেন মাওলানা কামরুজ্জামান

আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দূর্গাপুরের জেমুয়া গ্রামে এলেন সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন সম্পাদক মৌলানা কামরুজ্জামান। সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের প্রতিনিধি দলের তরফ ছিলেন সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমী, সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, সহ সম্পাদক আলি আকবর, হাওড়া জেলা সম্পাদক শেখ আব্দুর রহিম, জানে আলম মল্লিক প্রমূখ। তিনি নিরিহ গরু ব্যবসায়ী সাজমান খান ও সেখ তহুরুলের সাথে দীর্ঘক্ষন কথা বলেন। পাশাপাশি বাকিদের আহতের শারীরিক খোঁজ খবর নেন।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন পূর্বে বাঁকুড়ার আশুরিয়া হাট থেকে চাষের ও ব্যবসার জন্য গরু কিনে বাড়ি নিয়ে আসছিলেন চারজন মুসলিম। তাদের মধ্যে একজন পৌঢ় ব্যক্তি ছিলেন। তাদের গাড়ি দূর্গাপুরের ব্যারেজ পেরিয়ে আসতেই তাদের ধরে মারধর করে একদল দুস্কৃতকারী। তাদের গলায় দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়। মেরে একজনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

বৈধ্য কাগজে কিনে আনা গরু খুলে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাছাড়াও তাদের কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পরই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মুল অভিযুক্ত পারিজাত গাঙ্গুলি পলাতক। পুলিশ তার খোজে তল্লাশি শুরু করেছে। মৌলানা কামরুজ্জামান ঘটনায় মুল অভিযুক্ত পারিজাত গাঙ্গুলিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবী জানান।

পাশাপাশি অপরাধে জড়িত সকলকে দৃষ্টান্ত মুলত শাস্তি দিতে হবে। এর সাথে সাথে ওই সব নিরিহদের গরু ফিরিয়ে দেবার সাথে সাথে ছিনিয়ে নেওয়া টাকা ফেরতের দাবী জানান। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দূর্গাপুজোর জন্য এক লক্ষ দশ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেবার পরও জোরজুলুম করে ছয় হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে ওই নিরিহ গরীব ব্যবসায়ীদের থেকে। অবিলম্বে সেই অর্থ ফেরত দেবার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।