০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবরাত্রিতে বন্ধ মাংসের দোকান! সমীক্ষা বলছে দেশের একাধিক রাজ্যে আমিষ খাদ্য পছন্দ করা মানুষের সংখ্যা ৯০%

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২২, শনিবার
  • / 43

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দেশজুড়ে চলছে নবরাত্রি পালন। নবরাত্রির সময়ে যাতে মাছ-মাংসের দোকান বন্ধ থাকে তার জন্য ফতোয়া জারি করেছিলেন বিজেপি পরিচালিত দক্ষিণদিল্লির পুরনিগমের মেয়র। এই বিতর্ক কে আরও উস্কে দেন পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পরবেশ সাহিব সিং বার্মা। পরবেশের দাবি ছিল শুধু দিল্লি নয় গোটা দেশে বন্ধ রাখতে হবে আমিশ খাদ্য মানে মাছ-মাংস ইত্যাদির দোকান।

একইভাবে যোগী  রাজ্যের ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ নির্দেশ নামা জারি করা হয় মাংসের দোকানবন্ধের।

আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্থানগুলির ৫০০ মিটার পর্যন্ত মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ

কিন্তু কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর কেন চাপিয়ে দিতে হবে খাদ্যাভাস। কে কি খাবে, কি পরবে সেটাও কি রাষ্ট্র ঠিক করে দেবে? তবে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সংবিধান স্বীকৃত এই চরিত্রটাই হারিয়ে যাবে অচিরে? এমনটাই বলছেন বিশ্লেষ্করা।

আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে আমিষ খাওয়ার বায়না  স্ত্রীকে খুন করে দেহ লোপাট যুবকের

এই পরিপ্রেক্ষিতে দেখে নেওয়া যাক দেশবাসীর খাদ্যাভাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট।

দেশে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং অঙ্গরাজ্যের নিরীখে মোট সংখ্যাটি হল ৩৬। সমীক্ষাতে উঠে এসছে সর্বমোট ৩০টির হিসেব।

সমীক্ষা বলছে দেশের এই ৩০ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে শতকরা ৯০ জনের পাতে সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন হলেও থাকে কোন না কোন আমিষ খাদ্য।

২০২০ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের সমীক্ষা বলছে ২০১৯-২০ আর্থসামাজিক বছরে তে এমন কোন রাজ্যনেই যেখানে ২০% কম মানুষ আমিষ খাদ্য খান।  মুম্বইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেস কেন্দ্রের পরিবারকল্যাণ দফতরের হয়ে এই সমীক্ষার কাজ করেছিলেন।

১৬টি কেন্দ্রশাষিত এবং অঙ্গরাজ্যে  ৯০% এর বেশি মানুষ আমিষ খাবারের ভক্ত। সারা সপ্তাহভর তাদের পাতে কোন না কোন আমিষ খাদ্য থাকবেই।

চারটিতে ৭৫-৯০ শতাংশ, পাঁচটিতে ৫০-৭৫ শতাংশ, চারটিতে ২৫-৫০ শতাংশ এবং একটিতেই ২৫ শতাংশের কম।

এখানেই শেষ হয়ে যায়নি সমীক্ষা ।  কোন রাজ্যের মানুষ কত শতাংশ করে আলাদা আলাদা ভাবে মাছ, মাংস ,ডিম পছন্দ করে থাকেন সেই হিসেবও উঠে এসেছে।

১৪ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্যের মানুষ প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকায় মাছ পছন্দ করেন তারা হলেন ৯০%। ১৫ টি কেন্দ্রীয় অঞ্চল এবং রাজ্যের মানুষের মুরগী বা অন্য কোন প্রাণীজ আহার পছন্দ করে থাকেন।

তবে ডিমের জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে গিয়েছে সবকিছু। পরিসংখ্যান বলছে এমন কোন অঞ্চল নেই দেশের মধ্যে যেখানে মানুষ ডিম পছন্দ করেননা। কমপক্ষে ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাষিত অঞ্চলে ৯০% মানুষ ডিম খান।

বাংলায় ডিম খেতে পছন্দ করেন ৯৬% মানুষ। এছাড়াও ৯৭% মানুষ পছন্দ  করেন মাছ, মাংশ প্রাণীজ আহার।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নবরাত্রিতে বন্ধ মাংসের দোকান! সমীক্ষা বলছে দেশের একাধিক রাজ্যে আমিষ খাদ্য পছন্দ করা মানুষের সংখ্যা ৯০%

আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ দেশজুড়ে চলছে নবরাত্রি পালন। নবরাত্রির সময়ে যাতে মাছ-মাংসের দোকান বন্ধ থাকে তার জন্য ফতোয়া জারি করেছিলেন বিজেপি পরিচালিত দক্ষিণদিল্লির পুরনিগমের মেয়র। এই বিতর্ক কে আরও উস্কে দেন পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পরবেশ সাহিব সিং বার্মা। পরবেশের দাবি ছিল শুধু দিল্লি নয় গোটা দেশে বন্ধ রাখতে হবে আমিশ খাদ্য মানে মাছ-মাংস ইত্যাদির দোকান।

একইভাবে যোগী  রাজ্যের ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ নির্দেশ নামা জারি করা হয় মাংসের দোকানবন্ধের।

আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্থানগুলির ৫০০ মিটার পর্যন্ত মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ

কিন্তু কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর কেন চাপিয়ে দিতে হবে খাদ্যাভাস। কে কি খাবে, কি পরবে সেটাও কি রাষ্ট্র ঠিক করে দেবে? তবে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সংবিধান স্বীকৃত এই চরিত্রটাই হারিয়ে যাবে অচিরে? এমনটাই বলছেন বিশ্লেষ্করা।

আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে আমিষ খাওয়ার বায়না  স্ত্রীকে খুন করে দেহ লোপাট যুবকের

এই পরিপ্রেক্ষিতে দেখে নেওয়া যাক দেশবাসীর খাদ্যাভাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট।

দেশে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং অঙ্গরাজ্যের নিরীখে মোট সংখ্যাটি হল ৩৬। সমীক্ষাতে উঠে এসছে সর্বমোট ৩০টির হিসেব।

সমীক্ষা বলছে দেশের এই ৩০ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে শতকরা ৯০ জনের পাতে সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন হলেও থাকে কোন না কোন আমিষ খাদ্য।

২০২০ সালের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের সমীক্ষা বলছে ২০১৯-২০ আর্থসামাজিক বছরে তে এমন কোন রাজ্যনেই যেখানে ২০% কম মানুষ আমিষ খাদ্য খান।  মুম্বইয়ের ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেস কেন্দ্রের পরিবারকল্যাণ দফতরের হয়ে এই সমীক্ষার কাজ করেছিলেন।

১৬টি কেন্দ্রশাষিত এবং অঙ্গরাজ্যে  ৯০% এর বেশি মানুষ আমিষ খাবারের ভক্ত। সারা সপ্তাহভর তাদের পাতে কোন না কোন আমিষ খাদ্য থাকবেই।

চারটিতে ৭৫-৯০ শতাংশ, পাঁচটিতে ৫০-৭৫ শতাংশ, চারটিতে ২৫-৫০ শতাংশ এবং একটিতেই ২৫ শতাংশের কম।

এখানেই শেষ হয়ে যায়নি সমীক্ষা ।  কোন রাজ্যের মানুষ কত শতাংশ করে আলাদা আলাদা ভাবে মাছ, মাংস ,ডিম পছন্দ করে থাকেন সেই হিসেবও উঠে এসেছে।

১৪ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্যের মানুষ প্রাত্যহিক খাদ্যতালিকায় মাছ পছন্দ করেন তারা হলেন ৯০%। ১৫ টি কেন্দ্রীয় অঞ্চল এবং রাজ্যের মানুষের মুরগী বা অন্য কোন প্রাণীজ আহার পছন্দ করে থাকেন।

তবে ডিমের জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে গিয়েছে সবকিছু। পরিসংখ্যান বলছে এমন কোন অঞ্চল নেই দেশের মধ্যে যেখানে মানুষ ডিম পছন্দ করেননা। কমপক্ষে ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাষিত অঞ্চলে ৯০% মানুষ ডিম খান।

বাংলায় ডিম খেতে পছন্দ করেন ৯৬% মানুষ। এছাড়াও ৯৭% মানুষ পছন্দ  করেন মাছ, মাংশ প্রাণীজ আহার।