২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাজীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে ‘মদিনা প্রদর্শনী’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মুসলিমদের অত্যন্ত প্রিয় একটি স্থান হল মসজিদে নববী। পবিত্র হজ ও উমরাহতে গিয়ে হাজীরা এই মসজিদে নামায আদায় এবং ইবাদত করেন। এই স্থানটির ইতিহাস ও বর্তমানের পরিবর্তিত রুপ দেখতে ও জানতে উৎসুক থাকেন মুসলিমরা। মসজিদের নানা বিষয় সম্পর্কেও আগ্রহ থাকে অনেকের।

 

আরও পড়ুন: জমজম পানি: উপকারিতা, ঘটনা এবং ইতিহাস

মুসলিমদের এই কৌতূহল ও আগ্রহ মেটাতে মদিনায় মসজিদে নববীর পাশে রয়েছে এ মসজিদেরই একটি প্রদর্শনীশালা। এ বছর হজে গিয়ে এই প্রদর্শনী দেখতে যাচ্ছেন শত শত হজযাত্রী। মদিনার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও নানা মূল্যবান তথ্য জেনে দর্শনার্থীরা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করছেন। ২,২০০ বর্গমিটার এলাকায় বিস্তৃত এ প্রদর্শনীর অবস্থান মসজিদে নববীর দক্ষিণে।

আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে মহাবিপর্যয়: গাফিলতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে

 

আরও পড়ুন: হজ শেষে আজ বাংলায় ফিরছেন হাজীরা

মুহাম্মদ সা. এবং তাঁর সাহাবিরা এটি নির্মাণ করেছিলেন। সে-সময় থেকে আজ পর্যন্ত নানা পর্যায়ে এটির সম্প্রসারণ ইতিহাস দেখানো হয়েছে প্রদর্শনীতে। আল- মদিনা আল-মুনাওয়ারাহ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজ সেন্টারের সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীতে মসজিদে নববীর স্থাপত্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এর বিশেষত্ব, মর্যাদা ও স্থাপত্যের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

 

ইসলামি সভ্যতায় সাংস্কৃতিক সচেতনতার পাশাপাশি একটি বিশদ ও ব্যাপক উপস্থাপনার মাধ্যমে এটি দর্শকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। মসজিদে নববীর বৈশিষ্ট্য যেমন মিম্বর, মিহরাব, গম্বুজ, শামিয়ানা, দরজা, মিনার, স্কোয়ার-সহ নানা ধরনের পরিষেবার সঙ্গে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে এই প্রদর্শনী।

 

ওয়াল প্যানেল ও ইন্টারেক্টিভ পর্দার মাধ্যমে আরবি, ইংরেজি-সহ ১২টি ভাষায় দর্শকদের জন্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে একটি বিশেষ হল রয়েছে, যেখানে দু’টি পবিত্র মসজিদের বিরল এবং মূল্যবান জিনিসপত্র এবং যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শনগুলো প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনীটিতে পরিদর্শন সময় দু’টি ভাগে বিভক্ত। সকাল ৭টা থেকে মধ্যাহ্ন পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাজীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে ‘মদিনা প্রদর্শনী’

আপডেট : ৫ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মুসলিমদের অত্যন্ত প্রিয় একটি স্থান হল মসজিদে নববী। পবিত্র হজ ও উমরাহতে গিয়ে হাজীরা এই মসজিদে নামায আদায় এবং ইবাদত করেন। এই স্থানটির ইতিহাস ও বর্তমানের পরিবর্তিত রুপ দেখতে ও জানতে উৎসুক থাকেন মুসলিমরা। মসজিদের নানা বিষয় সম্পর্কেও আগ্রহ থাকে অনেকের।

 

আরও পড়ুন: জমজম পানি: উপকারিতা, ঘটনা এবং ইতিহাস

মুসলিমদের এই কৌতূহল ও আগ্রহ মেটাতে মদিনায় মসজিদে নববীর পাশে রয়েছে এ মসজিদেরই একটি প্রদর্শনীশালা। এ বছর হজে গিয়ে এই প্রদর্শনী দেখতে যাচ্ছেন শত শত হজযাত্রী। মদিনার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও নানা মূল্যবান তথ্য জেনে দর্শনার্থীরা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করছেন। ২,২০০ বর্গমিটার এলাকায় বিস্তৃত এ প্রদর্শনীর অবস্থান মসজিদে নববীর দক্ষিণে।

আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে মহাবিপর্যয়: গাফিলতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে

 

আরও পড়ুন: হজ শেষে আজ বাংলায় ফিরছেন হাজীরা

মুহাম্মদ সা. এবং তাঁর সাহাবিরা এটি নির্মাণ করেছিলেন। সে-সময় থেকে আজ পর্যন্ত নানা পর্যায়ে এটির সম্প্রসারণ ইতিহাস দেখানো হয়েছে প্রদর্শনীতে। আল- মদিনা আল-মুনাওয়ারাহ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজ সেন্টারের সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীতে মসজিদে নববীর স্থাপত্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এর বিশেষত্ব, মর্যাদা ও স্থাপত্যের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

 

ইসলামি সভ্যতায় সাংস্কৃতিক সচেতনতার পাশাপাশি একটি বিশদ ও ব্যাপক উপস্থাপনার মাধ্যমে এটি দর্শকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। মসজিদে নববীর বৈশিষ্ট্য যেমন মিম্বর, মিহরাব, গম্বুজ, শামিয়ানা, দরজা, মিনার, স্কোয়ার-সহ নানা ধরনের পরিষেবার সঙ্গে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে এই প্রদর্শনী।

 

ওয়াল প্যানেল ও ইন্টারেক্টিভ পর্দার মাধ্যমে আরবি, ইংরেজি-সহ ১২টি ভাষায় দর্শকদের জন্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে একটি বিশেষ হল রয়েছে, যেখানে দু’টি পবিত্র মসজিদের বিরল এবং মূল্যবান জিনিসপত্র এবং যুগ যুগ ধরে সংরক্ষিত প্রাচীন নিদর্শনগুলো প্রদর্শন করা হয়। প্রদর্শনীটিতে পরিদর্শন সময় দু’টি ভাগে বিভক্ত। সকাল ৭টা থেকে মধ্যাহ্ন পর্যন্ত এবং বিকেল ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।