০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে বাড়ি ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিক

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার
  • / 179

পুবের কলম ওয়েবডেস্কআবারও ওড়িশায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের হেনস্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দিনদিন যেন পরিযায়ী শ্রমিকের হেনস্থা বেড়েই চলেছে। কোচবিহারের বাসিন্দা ওই পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি ছোট শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। নাম মিঠুন বর্মন। বিজেপি নেতাদের ফোন করেও কোন সুরাহা মেলেনি। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল সব পরিচয়পত্রও। কিন্তু শেষমেষ ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করার আশ্রয় নিলেন এবং বাড়ি ফিরলেন তিনি।

মিঠুন ওড়িশায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। বাংলা ভাষায় কথা বলার ‘অপরাধে’ ওড়িশা পুলিশ তাঁকে হেনস্থা করে ও বাংলাদেশি বলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোটার-আধার কার্ড দেখিয়েও কোন লাভ হয়নি। পুলিশ কোন কথাই শুনতে নারাজ ছিল, বলে দাবি শ্রমিকের।

আরও পড়ুন: ওড়িষায় আক্রান্ত সন্দেশখালির পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে বিধায়ক

তার কথায়, “আমি ওড়িশায় কাজ করার জন্য ছিলাম। আগামী মাসের ২৯ জুলাই, বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি বলে, অফিসেরই আবাসন থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮-৯ ঘণ্টা ওরা আমাকে আটকে রাখে। আমার নিজস্ব মোবাইল ও ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি আমার উপর নির্মম্ভাবে নির্যাতনও চালানো হয়। আমার সমস্ত পরিচয়পত্রকে ওরা ভুয়ো বলে দাবি করে। এমনকি এখানকার বিজেপি নেতাদের ফোন করলেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। তারপরে বাধ্য হয়েই ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করি। ওরা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে এবং বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে’।

আরও পড়ুন: নির্বাচন আসলেই এজেন্সির দাপাদাপি বাড়ে: Mamata Banerjee

কোচবিহারের এক তৃণমূল নেতা জানান, “বাংলা বলার অপরাধে মিঠুনকে ওড়িশা পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। সমস্ত নথিপত্র কেড়ে নিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যে মিঠুন শেষপর্যন্ত বাড়িতে ফিরে আসতে সক্ষ্যম হয়। নিশীথ প্রামাণিক সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে ফোন করেছিলেন মিঠুন। কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি”।

আরও পড়ুন: Migrant Workers: বাংলা বলায় মুম্বাইয়ে হেনস্থার শিকার এক পরিযায়ী শ্রমিক

এবিষয়ে বিজেপি নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বারংবার বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও বিজেপির দাবি, ভিন রাজ্যে কোন বাঙালি শ্রমিক হেনস্তার শিকার হয়নি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে বাড়ি ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিক

আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কআবারও ওড়িশায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের হেনস্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দিনদিন যেন পরিযায়ী শ্রমিকের হেনস্থা বেড়েই চলেছে। কোচবিহারের বাসিন্দা ওই পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি ছোট শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। নাম মিঠুন বর্মন। বিজেপি নেতাদের ফোন করেও কোন সুরাহা মেলেনি। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল সব পরিচয়পত্রও। কিন্তু শেষমেষ ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করার আশ্রয় নিলেন এবং বাড়ি ফিরলেন তিনি।

মিঠুন ওড়িশায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। বাংলা ভাষায় কথা বলার ‘অপরাধে’ ওড়িশা পুলিশ তাঁকে হেনস্থা করে ও বাংলাদেশি বলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোটার-আধার কার্ড দেখিয়েও কোন লাভ হয়নি। পুলিশ কোন কথাই শুনতে নারাজ ছিল, বলে দাবি শ্রমিকের।

আরও পড়ুন: ওড়িষায় আক্রান্ত সন্দেশখালির পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে বিধায়ক

তার কথায়, “আমি ওড়িশায় কাজ করার জন্য ছিলাম। আগামী মাসের ২৯ জুলাই, বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি বলে, অফিসেরই আবাসন থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮-৯ ঘণ্টা ওরা আমাকে আটকে রাখে। আমার নিজস্ব মোবাইল ও ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি আমার উপর নির্মম্ভাবে নির্যাতনও চালানো হয়। আমার সমস্ত পরিচয়পত্রকে ওরা ভুয়ো বলে দাবি করে। এমনকি এখানকার বিজেপি নেতাদের ফোন করলেও কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। তারপরে বাধ্য হয়েই ‘দিদিকে বলো’-তে ফোন করি। ওরা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে এবং বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে’।

আরও পড়ুন: নির্বাচন আসলেই এজেন্সির দাপাদাপি বাড়ে: Mamata Banerjee

কোচবিহারের এক তৃণমূল নেতা জানান, “বাংলা বলার অপরাধে মিঠুনকে ওড়িশা পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। সমস্ত নথিপত্র কেড়ে নিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যে মিঠুন শেষপর্যন্ত বাড়িতে ফিরে আসতে সক্ষ্যম হয়। নিশীথ প্রামাণিক সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে ফোন করেছিলেন মিঠুন। কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি”।

আরও পড়ুন: Migrant Workers: বাংলা বলায় মুম্বাইয়ে হেনস্থার শিকার এক পরিযায়ী শ্রমিক

এবিষয়ে বিজেপি নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বারংবার বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও বিজেপির দাবি, ভিন রাজ্যে কোন বাঙালি শ্রমিক হেনস্তার শিকার হয়নি।