পুদুচেরিতে মডেল সান রেচ্যালের রহস্যমৃত্যু, ঘর থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট
- আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৫, সোমবার
 - / 134
 
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মডেলিং জগতে নেমে এল শোকের ছায়া। পুদুচেরির বাড়ি থেকে উদ্ধার হল জনপ্রিয় মডেল ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব কণ্ঠ সান রেচ্যালের মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে। ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোট, যেখানে লেখা রয়েছে, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।”
তবে ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গভীর তদন্ত। কারণ, রেচ্যালের মৃত্যুর পেছনে থাকতে পারে আর্থিক চাপ, পেশাগত ব্যর্থতা কিংবা অন্য কোনও অজানা কারণ—সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত বছরই বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সান রেচ্যাল। ফলে পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ মহলে প্রশ্ন উঠছে, বিয়ের এক বছরের মধ্যেই কেন এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? যদিও সুইসাইড নোটে কারও নাম উল্লেখ না থাকায় বিষয়টি আরও ধোঁয়াশায় রেখেছে তদন্তকারীদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মডেলিং কেরিয়ারে স্থায়ী হতে গিয়ে নিজের সমস্ত সোনার গয়না বন্ধক রেখেছিলেন রেচ্যাল। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ফ্যাশন শো আয়োজন করেন তিনি, যেখানে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন বলেও দাবি সূত্রের। ধারণা করা হচ্ছে, সেই আর্থিক চাপের কারণেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তবে এখনও তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।
আদতে তাঁর নাম ছিল শঙ্কর প্রিয়া। কিন্তু বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে ‘সান রেচ্যাল’ নামে তিনি তৈরি করেছিলেন নিজস্ব পরিচিতি। তাঁর মডেলিং ক্যারিয়ারে বারবার উঠে এসেছে বর্ণ ও রঙ নিয়ে প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এই সোচ্চার অবস্থানই তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে দক্ষিণ ভারতের ফ্যাশন দুনিয়ায়।
রেচ্যালের হঠাৎ মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মডেলিং ও ফ্যাশন জগত। সামাজিক মাধ্যমে বহু অনুরাগী ও সহকর্মী তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, “যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এতটা লড়েছেন, তিনি হঠাৎ হাল ছেড়ে দিতে পারেন না।”
সান রেচ্যালের মৃত্যু শুধুই একটি ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, বরং মডেলিং জগতের চরম মানসিক চাপ ও আর্থিক সংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরছে। পুলিশ এই রহস্যমৃত্যুর সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমেই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে এক সংগ্রামী মডেলের এই মর্মান্তিক পরিণতির প্রকৃত কারণ।
																			
																		





























