মোদি ও জিনপিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আপাতভাবে সফল

- আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 54
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং-এর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আপাতভাবে সফল হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, বৈদ্যুতিন সামগ্রীর উৎপাদন খুব জোরালোভাবে শুরু হতে চলেছে। ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের দোটানা আবহে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক উঠেছিল। ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের পর চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
চিনের সঙ্গে যৌথভাবে ভারত যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুরু করে সেক্ষত্রে দুই দেশেরই উন্নতি হবে। আরও জানা গেছে, যৌথভাবে যদি কাজ শুরু করা যায় তাহলে বিনিয়োগকারীরাও অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতের বেশিরভাগ পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসালেও, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আপাতভাবে সেই তালিকার বাইরে রয়েছে। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার চিন সফরে গিয়েছিলেন মোদি।
এরই মাঝে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়। বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ঠিক করা নিয়ে আলচনা হয়েছে। এরপর চিনের রাষ্ট্রপতি দুষ্প্রাপ্য খনিজ, সার এবং টানেল বোরিং মেশিন রফতানির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। চিনা দ্রব্য বয়কটের নির্দেশ দেওয়া হলেও বাস্তবে সেই সব দ্রব্য ভারতীয় বাজার থেকে পুরোপুরি মুছে যায়নি। তার বদলে দাম কমিয়ে ও বিভিন্ন বৈচিত্র্যের কারণে এখনও সেই দ্রব্যগুলির চাহিদা রয়েছে।
আর এই কারণেই কিন্তু দ্রব্যগুলির গুণগত মান নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে। আপাতভাবে মোদি ও জিনপিং-এর বৈঠকের দিকে তাকিয়ে সমস্ত বিনিয়োগকারীরা। কারণ দুই দেশের সম্পর্ক যদি পুনরায় ঠিক হয় তাহলে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উৎপাদন থেকে শুরু করে রফতানির ক্ষেত্রেও ভারত বড় সুবিধা পেতে পারে।