আলিপুরদুয়ার জনসভা থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে নিশানা মোদির

- আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 219
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও ঘটনার পর প্রথম বাংলায় এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিন আলিপুরে রাজনৈতিক সভা করেন মোদি। কার্যত ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের দামামা আলিপুরদুয়ার জনসভা থেকে বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জনসভা থেকে মুর্শিদাবাদ-মালদহ নিয়ে সরব হন মোদি।
তৃণমূল কংগ্রসেকে খোঁচা দিয়ে বলেন “মুর্শিদাবাদ-মালদহে যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। এখানকার সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রতি বার আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।” এ ভাবে কি কোনও সরকার চলতে পারে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর। এছাড়া তৃণমূলের দুর্নীতি প্রসঙ্গ তুলে তিনি এদিন বলেন, “তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতির জন্য এখানকার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এঁরা নিজেদের ভুল মানতেই চাইছেন না। উল্টে আদালতকে আক্রমণ করছেন এঁরা। তৃণমূল সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি এটা হতে দেবে না।”
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মোদি জনসভা থেকে বলেন, “কেন্দ্রের অনেক বড় বড় প্রকল্প এ রাজ্যে কার্যকর করা হয় না। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এখানে চালু হতে দেওয়া হয়নি। এখানকার লোকেরা বাইরে গেলে ওই প্রকল্পের সুবিধা পান না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বাড়ি পেতে পারতেন। কিন্তু এখানে তা হতে দেওয়া হল না। তা করতে দিল না এখানকার নির্মম সরকার।”
তৃণমূল সরকার আদিবাসীদের কথা ভাবে না বলেও তোপ দাগেন তিনি। আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি করার কথা ভাবা হয়েছিল তখন প্রথম তৃণমূল সরকারই তার বিরোধিতা করেছিল নিশানা প্রধানমন্ত্রীর। অপারেশন সিঁদুর নিয়েও এদিন সরব হন প্রধানমন্ত্রী। যারা পহেলগাঁও ঘটিয়েছে, তাদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা বলে জানান মোদি। যা পাকিস্তানের কল্পনার বাইরে। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি বলেও জানান তিনি। “তিন বার ঘরে ঢুকে মেরেছি। হামলা হলে শত্রুদের আবার বড় মূল্য দিতে হবে” বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হতেই সোশাল মিডিয়ায় তাঁর পাল্টা জবাব দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার বিরুদ্ধে তোলা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি অভিযোগ খণ্ডন করতে দেশের একাধিক সমস্যার কথা তোলে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী যদি শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন, তাহলে তাঁকেও চোখে আঙুল দিয়ে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্নীতি দেখিয়ে দেওয়া দরকার বলে এক্ষেত্রে মনে করেছে শাসকদল। আর তাই নিট কেলেঙ্কারি, প্রশ্ন ফাঁস এবং দেশের ৪৫ শতাংশ বেকারত্বের কথা তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূলের খোঁচা, এসব তো দেশের ছাত্র, যুবদের বিজেপির উপহার।
নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বলেছি তো, চাকরিহারাদের জন্য ব্যবস্থা করব। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই করব। তাঁরা আমাদের উপর ভরসা রাখছেন। বারবার কথা বলেছেন। আপনি এসব বললে তো হবে না যে শীর্ষ আদালতের কথা মানছি না।”
Modi ji listed 5 “Sankats”
Let’s talk facts:
Law & order? Manipur has been burning for 2 years. Fix your mess first.
Women’s safety? From Unnao to Hathras, @BJP4India’s track record is soaked in silence and shame.
Youth hopelessness? Paper leaks, NEET scam, and 45%…
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 29, 2025