৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরমাণু যুদ্ধের চেয়েও সর্বানাশা সাইবার যুদ্ধ!

প্রতীকী ছবি

বিশেষ প্রতিবেদন: আগামী দিনে পরমাণু যুদ্ধের চেয়েও বেশি মারাত্মক হয়ে উঠতে চলেছে সাইবার যুদ্ধ। আধুনিক বিশ্বে সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কা পরমাণু যুদ্ধের চেয়েও বেশি। কারণ পরমাণু যুদ্ধ ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন পন্থা রয়েছে, কিন্তু সাইবার যুদ্ধের জন্য তা নেই। মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সাইবার হামলা ঠেকানো সম্ভব বলে এতদিন মনে করা হলেও তা পুরোপুরি ঠিক নয়। সাইবার যুদ্ধ ঠেকানোর ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর এই সীমাবদ্ধতা খুব দ্রুত সমাধান করা যাবে, তা বলা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনই জানিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

 

আরও পড়ুন: পাক সীমান্ত লঙ্ঘন করলে ফের হামলা চলবে: তালিবানকে হুঁশিয়ারি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

তাদের গবেষণাপত্রটি সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন সম্মেলনে পেশ করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, সেনা, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমানবহর ও নৌবহর ব্যবহারের পাশাপাশি এখন শত্রু দেশের সাইবারস্পেসকেও তাদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু করে তুলছে হ্যাকাররা। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধেও সাইবার হামলা দেখা গিয়েছে। রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্ব একে অপরের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ তুলছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখন হ্যাকারদের প্রধান উদ্দেশ্য হল শত্রু দেশে ঢুকে তার যাবতীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, অনলাইন ব্যাঙ্কিং ও ইন্টারনেটকে পঙ্গু করে দেওয়া। গোপন রাষ্ট্রীয় নথি হাতিয়ে নিতে সরকারি সার্ভারেও হামলা চালানো হয়। নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর সাইবার সিকিউরিটির অধিকর্তা অধ্যাপক বলেন, ডিজিটাল বিশ্বে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, কম্পিউটার সার্ভারে হানা দিলে গোটা বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাকেই পঙ্গু করে দেওয়া যায়। এভাবে কোনও দেশের অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত সিরিয়া, দু’দিনে মৃত হাজারেরও বেশি

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের গাজা খালির প্রস্তাবকে ‘কেলেঙ্কারি’ আখ্যা জার্মানির 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.
সর্বধিক পাঠিত

১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন শেষ হওয়ার পর ফের তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করলেন উমর খালিদ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পরমাণু যুদ্ধের চেয়েও সর্বানাশা সাইবার যুদ্ধ!

আপডেট : ৮ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

বিশেষ প্রতিবেদন: আগামী দিনে পরমাণু যুদ্ধের চেয়েও বেশি মারাত্মক হয়ে উঠতে চলেছে সাইবার যুদ্ধ। আধুনিক বিশ্বে সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কা পরমাণু যুদ্ধের চেয়েও বেশি। কারণ পরমাণু যুদ্ধ ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন পন্থা রয়েছে, কিন্তু সাইবার যুদ্ধের জন্য তা নেই। মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সাইবার হামলা ঠেকানো সম্ভব বলে এতদিন মনে করা হলেও তা পুরোপুরি ঠিক নয়। সাইবার যুদ্ধ ঠেকানোর ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর এই সীমাবদ্ধতা খুব দ্রুত সমাধান করা যাবে, তা বলা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনই জানিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

 

আরও পড়ুন: পাক সীমান্ত লঙ্ঘন করলে ফের হামলা চলবে: তালিবানকে হুঁশিয়ারি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

তাদের গবেষণাপত্রটি সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন সম্মেলনে পেশ করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, সেনা, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র, বিমানবহর ও নৌবহর ব্যবহারের পাশাপাশি এখন শত্রু দেশের সাইবারস্পেসকেও তাদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু করে তুলছে হ্যাকাররা। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধেও সাইবার হামলা দেখা গিয়েছে। রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্ব একে অপরের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার অভিযোগ তুলছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এখন হ্যাকারদের প্রধান উদ্দেশ্য হল শত্রু দেশে ঢুকে তার যাবতীয় বিদ্যুৎ সংযোগ, অনলাইন ব্যাঙ্কিং ও ইন্টারনেটকে পঙ্গু করে দেওয়া। গোপন রাষ্ট্রীয় নথি হাতিয়ে নিতে সরকারি সার্ভারেও হামলা চালানো হয়। নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর সাইবার সিকিউরিটির অধিকর্তা অধ্যাপক বলেন, ডিজিটাল বিশ্বে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে, কম্পিউটার সার্ভারে হানা দিলে গোটা বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থাকেই পঙ্গু করে দেওয়া যায়। এভাবে কোনও দেশের অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত সিরিয়া, দু’দিনে মৃত হাজারেরও বেশি

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের গাজা খালির প্রস্তাবকে ‘কেলেঙ্কারি’ আখ্যা জার্মানির