০৯ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী

mosque in the sky: বসনিয়ার পাহাড়চূড়ায় আকাশছোঁয়া মসজিদ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার
  • / 298

mosque in the sky/puber kalom

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পূর্ব বসনিয়ার এক আশ্চর্য মসজিদ, যা প্রায় ৬০০ বছর ধরে সময়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘আকাশের মসজিদ’ (‘Mosque in the sky’) নামে পরিচিত। এর নাম কুসলাত মসজিদ। অটোমান তথা ওসমানিয় সুলতান দ্বিতীয় মেহমেতের সময় এটি নির্মিত হয়েছিল।

বসনিয়ার ড্রিনিয়াকা নদীর প্রায় ৫০০ মিটার উঁচুতে এক খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় এই কুসলাত মসজিদের অবস্থান। এখানে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় হলো পায়ে হেঁটে জঙ্গলের সরু পথ পাড়ি দেওয়া। যারা এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন, তারা পুরস্কার হিসেবে পান চারপাশের পাহাড় ও নদীর এক অসাধারণ দৃশ্য। ঐতিহাসিকদের মতে, পঞ্চদশ শতকে অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদের আমলে এই মসজিদটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এই জায়গার ইতিহাস আরও পুরোনো। অটোমানদের আসার আগে এটি একটি সুরক্ষিত দুর্গ ছিল যা ভ্রমণকারী এবং বণিকদের রক্ষা করত।

 

মোদির বজ্রকন্ঠ কেড়ে নিয়েছেন Donald Trump: জয়রাম রমেশ

মসজিদটির ‘কুসলাত’ (‘Mosque in the sky’) নামটি তুর্কি শব্দটি ‘কুস’ থেকে এসেছে, যার অর্থ পাখি। বহু শতাদ্বী  ধরে এটি শুধু একটি প্রার্থনার স্থানই ছিল না, বরং  স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দুও ছিল। খরার সময় গ্রামের লোকেরা এখানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা (দোয়া) করতে আসতেন। অনেকে আবার অসুখ থেকে মুক্তির আশায় এখানে আসতেন। দুঃখজনকভাবে, ১৯৯৩ সালে বসনিয়ার ভয়াবহ যুদ্ধের সময় মসজিদটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধের প্রায় দুই দশক পর, স্থানীয় মুসলিমদের উদ্যোগে এটিকে পুরনো নকশাতেই আবার তৈরি করা হয়।

আজ কুসলাত মসজিদ শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থান নয়, এটি বসনিয়ার মানুষের আস্থা, ঐতিহ্য এবং শত প্রতিকূলতার মাঝেও টিকে থাকার এক জীবন্ত প্রতীক (‘Mosque in the sky’ remains a beacon of Bosnia’s spiritual heritage)। প্রতি বছর আগস্ট মাসের শেষ শুক্রবার এবং রমযান মাসে এখানে বিশেষ নামাযের আয়োজন করা হয়, যা এই জায়গার গুরুত্বকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৬০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী

mosque in the sky: বসনিয়ার পাহাড়চূড়ায় আকাশছোঁয়া মসজিদ

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পূর্ব বসনিয়ার এক আশ্চর্য মসজিদ, যা প্রায় ৬০০ বছর ধরে সময়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘আকাশের মসজিদ’ (‘Mosque in the sky’) নামে পরিচিত। এর নাম কুসলাত মসজিদ। অটোমান তথা ওসমানিয় সুলতান দ্বিতীয় মেহমেতের সময় এটি নির্মিত হয়েছিল।

বসনিয়ার ড্রিনিয়াকা নদীর প্রায় ৫০০ মিটার উঁচুতে এক খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় এই কুসলাত মসজিদের অবস্থান। এখানে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় হলো পায়ে হেঁটে জঙ্গলের সরু পথ পাড়ি দেওয়া। যারা এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন, তারা পুরস্কার হিসেবে পান চারপাশের পাহাড় ও নদীর এক অসাধারণ দৃশ্য। ঐতিহাসিকদের মতে, পঞ্চদশ শতকে অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদের আমলে এই মসজিদটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এই জায়গার ইতিহাস আরও পুরোনো। অটোমানদের আসার আগে এটি একটি সুরক্ষিত দুর্গ ছিল যা ভ্রমণকারী এবং বণিকদের রক্ষা করত।

 

মোদির বজ্রকন্ঠ কেড়ে নিয়েছেন Donald Trump: জয়রাম রমেশ

মসজিদটির ‘কুসলাত’ (‘Mosque in the sky’) নামটি তুর্কি শব্দটি ‘কুস’ থেকে এসেছে, যার অর্থ পাখি। বহু শতাদ্বী  ধরে এটি শুধু একটি প্রার্থনার স্থানই ছিল না, বরং  স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দুও ছিল। খরার সময় গ্রামের লোকেরা এখানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা (দোয়া) করতে আসতেন। অনেকে আবার অসুখ থেকে মুক্তির আশায় এখানে আসতেন। দুঃখজনকভাবে, ১৯৯৩ সালে বসনিয়ার ভয়াবহ যুদ্ধের সময় মসজিদটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধের প্রায় দুই দশক পর, স্থানীয় মুসলিমদের উদ্যোগে এটিকে পুরনো নকশাতেই আবার তৈরি করা হয়।

আজ কুসলাত মসজিদ শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থান নয়, এটি বসনিয়ার মানুষের আস্থা, ঐতিহ্য এবং শত প্রতিকূলতার মাঝেও টিকে থাকার এক জীবন্ত প্রতীক (‘Mosque in the sky’ remains a beacon of Bosnia’s spiritual heritage)। প্রতি বছর আগস্ট মাসের শেষ শুক্রবার এবং রমযান মাসে এখানে বিশেষ নামাযের আয়োজন করা হয়, যা এই জায়গার গুরুত্বকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে।