আল-আকসা রক্ষায় বিশ্বজুড়ে মসজিদগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

- আপডেট : ২১ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 94
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিশ্ব মসজিদ দিবসকে সামনে রেখে আল-আকসা মসজিদ (Al Aqsa Mosque) রক্ষায় মুসলিম বিশ্বের সব মসজিদকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসলামী আলেমদের মতে, বহুদিন ধরে মসজিদগুলোর মধ্যে ভালো যোগাযোগ ও সহযোগিতা না থাকায় আল-আকসার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুসলিম বিশ্বের অবস্থান কার্যকরভাবে প্রকাশ পায়নি। এই দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে ইসরাইল, যার ফলে ক্রমশ বাড়ছে হুমকি।
১৯৬৯ সালের আগস্ট মাসে এক ইসরাইলি চরমপন্থী আল-আকসায় আগুন লাগিয়ে দেয়, যাতে প্রায় দেড় হাজার বর্গমিটার এলাকা পুড়ে যায়। সেই ভয়াবহ ঘটনার স্মরণে ইসলামিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (ওআইসি) ২০০৩ সালে ২১ আগস্টকে ‘বিশ্ব মসজিদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম বিশ্বকে সচেতন করা এবং ইসলামি পবিত্র স্থানগুলো রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গড়ে তোলা।
আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। এটি অবস্থিত অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে। ১৯৬৭ সালে ইসরাইল দখলের পর থেকেই এই মসজিদকে কেন্দ্র করে বারবার সংঘাত দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, ইসরাইলের ডানপন্থি মন্ত্রীরা এবং অবৈধ বসতির বাসিন্দারা পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে মসজিদের চত্বরে প্রবেশ করছে এবং ইহুদি ধর্মীয় আচার পালন করছে। এটি দীর্ঘদিনের প্রচলিত চুক্তি লঙ্ঘন করছে এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। মুসলিম বিশ্ব থেকেও এর নিন্দা আসছে অবিরত।
ইসলামী শিক্ষাবিদ হোজত-ওল-ইসলাম হোজ্জতুল্লাহ জাকার বলেছেন, আল-আকসা এখন সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে। মুসলিম বিশ্বের মানুষ যদি একসাথে না দাঁড়ায়, তাহলে এই পবিত্র স্থানকে রক্ষা করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি আহ্বান জানান, বিশ্ব মসজিদ দিবসে প্রতিটি মসজিদ থেকে আল-আকসা রক্ষায় বিশেষ খুতবা দেওয়া হোক, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়ার আয়োজন করা হোক, আর মুক্তির ডাক পৌঁছে যাক মুসলিম সমাজের প্রতিটি স্তরে।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক যুগে প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল-আকসার সংকট সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এবং মুসলিম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগাতে হবে। সবাইকে নিজের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানাতে হবে এবং জুলুম ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে।
জাকার মনে করিয়ে দেন, বিশ্ব মসজিদ দিবস কেবল স্মরণ নয়, বরং একটি সুযোগ; যাতে মুসলিম বিশ্ব একসাথে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিন ও আল-আকসার পক্ষে দৃঢ় বার্তা দিতে পারে। তার ভাষায়, যে কেউ আল্লাহর ঘরকে ভালোবাসে, তাকে আজই আল-আকসা ও বায়তুল মুকাদ্দাসের মুক্তির জন্য উঠে দাঁড়াতে হবে।