০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গড়ে পুকুরে আবর্জনার স্তূপে মিলল একাধিক স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় তদন্তে পুলিশ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 170

নিজস্ব প্রতিবেদক,ক্যানিং: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড় ২ নম্বর ব্লকের, উত্তর কাশিপুর থানার ভোগালী ২ নম্বর অঞ্চলের ভোমরু এলাকায়, এক পুকুরের মধ্যে আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার হল একাধিক সরকারি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুকুরের পাশে আবর্জনার স্তূপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায় বহু স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৮৭টি ব্ল্যাঙ্ক (ফাঁকা) কার্ড এবং ৫৮টি কার্ড উদ্ধার হয়েছে, যেখানে উপভোক্তাদের নাম-পরিচয় স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে।

আরও পড়ুন: বারুইপুরে ধৃত বাংলাদেশি মহিলা

ভাঙ্গড়ে পুকুরে আবর্জনার স্তূপে মিলল একাধিক স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় তদন্তে পুলিশ

আরও পড়ুন: আবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি পেল বারুইপুর মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এই কার্ডগুলি মজুত ছিল এলাকারই আইএসএফ পঞ্চায়েত সদস্য আনার আলী মোল্লার ছেলে মিজানুর মোল্লার কাছে। তিনি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যুক্ত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন—কার্ডগুলি কীভাবে বাড়ি থেকে বাইরে এল বা ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ তা ফেলে দিল?

আরও পড়ুন: কুলতলিতে এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু, এলাকায় চাঞ্চল্য

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর মোল্লা দাবি করেছেন, কার্ডগুলি ‘রিজেক্ট’ ও ‘বেলাং’ ছিল, এবং পরিবারের ছোট ছেলেমেয়েরাই সেগুলো পুকুরে ফেলে দিয়েছে। তবে তদন্তে কিছু কার্ডে ২০২৩ সালের নবীকরণের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যা সন্দেহ আরও গভীর করেছে। এই ঘটনার পরেও মিজানুর মোল্লার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ভাঙ্গড়ে পুকুরে আবর্জনার স্তূপে মিলল একাধিক স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় তদন্তে পুলিশ

ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি অভিযোগ করেন, “এতগুলো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কীভাবে পুকুরে পড়ল? এর পেছনে দুর্নীতি রয়েছে। জেলা শাসকের কাছে আমি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছি।”

পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। কার্ডগুলোর উৎস ও যথার্থতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভাঙ্গড়ে পুকুরে আবর্জনার স্তূপে মিলল একাধিক স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় তদন্তে পুলিশ

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক,ক্যানিং: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড় ২ নম্বর ব্লকের, উত্তর কাশিপুর থানার ভোগালী ২ নম্বর অঞ্চলের ভোমরু এলাকায়, এক পুকুরের মধ্যে আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার হল একাধিক সরকারি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুকুরের পাশে আবর্জনার স্তূপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায় বহু স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৮৭টি ব্ল্যাঙ্ক (ফাঁকা) কার্ড এবং ৫৮টি কার্ড উদ্ধার হয়েছে, যেখানে উপভোক্তাদের নাম-পরিচয় স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে।

আরও পড়ুন: বারুইপুরে ধৃত বাংলাদেশি মহিলা

ভাঙ্গড়ে পুকুরে আবর্জনার স্তূপে মিলল একাধিক স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় তদন্তে পুলিশ

আরও পড়ুন: আবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি পেল বারুইপুর মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এই কার্ডগুলি মজুত ছিল এলাকারই আইএসএফ পঞ্চায়েত সদস্য আনার আলী মোল্লার ছেলে মিজানুর মোল্লার কাছে। তিনি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে যুক্ত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন—কার্ডগুলি কীভাবে বাড়ি থেকে বাইরে এল বা ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ তা ফেলে দিল?

আরও পড়ুন: কুলতলিতে এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু, এলাকায় চাঞ্চল্য

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর মোল্লা দাবি করেছেন, কার্ডগুলি ‘রিজেক্ট’ ও ‘বেলাং’ ছিল, এবং পরিবারের ছোট ছেলেমেয়েরাই সেগুলো পুকুরে ফেলে দিয়েছে। তবে তদন্তে কিছু কার্ডে ২০২৩ সালের নবীকরণের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যা সন্দেহ আরও গভীর করেছে। এই ঘটনার পরেও মিজানুর মোল্লার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ভাঙ্গড়ে পুকুরে আবর্জনার স্তূপে মিলল একাধিক স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় তদন্তে পুলিশ

ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি অভিযোগ করেন, “এতগুলো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কীভাবে পুকুরে পড়ল? এর পেছনে দুর্নীতি রয়েছে। জেলা শাসকের কাছে আমি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছি।”

পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। কার্ডগুলোর উৎস ও যথার্থতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।