০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মূল্যবৃদ্ধির জেরে আর সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ১০২ সন্তানের বাবা মুসা হাসাদজির  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 95

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আফ্রিকার উগান্ডার বুটালেজা জেলার বাসিন্দা মুসা হাসাদজি। বয়স ৬৭ বছর । বাড়িতে  রয়েছেন ১২ জন স্ত্রী, ১০২ সন্তান এবং ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি। সব মিলিয়ে পরিবারে সদস্য সংখ্যা সাতশোর বেশি । মুসার পরিবারই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার।

 

আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে সন্তান জন্মানোর হার হু-হু করে কমছে, কারণটা কী?

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুসা জানিয়েছেন, তিনি আর কোনও সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন না। সেই জন্য মুসা তাঁর স্ত্রীদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে গর্ভ নিরোধক বড়ি সেবন করার কথাও জানিয়েছে তিনি। মূল্যবৃদ্ধির জেরে অতিষ্ট হয়ে মুসা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মুসা জানিয়েছেন, তিনি যা আয় করেন, তাতে এ বাজারে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। মুসা বলেছেন, তাঁর ১২ জন স্ত্রী ১০২ সন্তানসহ  একই বাড়িতে থাকেন।

আরও পড়ুন: “শ্রেষ্ঠ শিশু-আবাস পুরস্কার” পেল পূর্ব-বর্ধমান

 

আরও পড়ুন: ২৫ দিনে গাজায় ৫০০ শিশুকে খুন ইসরাইলের

মুসার ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। । মুসা  বহুবিবাহকে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ বলে মনে করেন। তিনি জানিয়েছেন, উগান্ডায় তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যার এতো জন স্ত্রী রয়েছেন। মুসাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি সব সন্তান ও নাতি-নাতনির নাম জানেন কিনা? জবাবে বলেন, তিনি সবাইকে আলাদা করে চিনতে পারেন। তবে সবার নাম মনে রাখতে পারেন না । ১৭ বছর বয়সে মুসা প্রথম বাবা হন। তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম হানিফা হাসাদজি, কনিষ্ঠ স্ত্রীর নাম জুলাইকা। জুলাইকার বয়স মুসার অনেক নাতি-নাতনির চেয়েও কম।

 

মুসা হাসাদজি এবং তাঁর পরিবার উগান্ডার লুসাকায় বসবাস করেন। সেখানে বহুবিবাহ আইনত বৈধ। তবে তাঁর স্ত্রীরা যাতে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে না যায়, সেই  জন্য তারা সকলেই একসঙ্গে থাকেন। জন্ম-নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মুসার কনিষ্ঠ স্ত্রী জুলাইকা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে তাঁদের আর্থিক অবস্থা অনেকটা খারাপ  হয়েছে। তাই  তিনি এখন আর কোনও সন্তান নেবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  সেই জন্য গর্ভ নিরোধক বড়িও খাচ্ছেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, মুসার শিশুদের এক তৃতীয়াংশের বয়স  ৬ থেকে ৫১ এর  মধ্যে। মুসা যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে মাত্র দু’জন সদস্য ছিলেন। পরিবারের আয় কম ছিল, যার কারণে তাকে মাঝপথে স্কুল ছাড়তে হয়। প্রথম বিয়ের পর বাজরা বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন মুসা। প্রথম দিকে গুলু স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বাজরা কাম্পালায় নিয়ে যেতেন। মুসার ওই ব্যবসা  সফল হয়। এরপর তিনি গরু কেনেন। তাতে সফলতা আসলে মুসা বিয়ে করেন। মুসা যখন প্রথম বিয়ে করেন তখন যৌতুক হিসেবে স্ত্রীকে তিনটি গরু ও চারটি ছাগল দেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করেন একই পরিমাণ যৌতুক দিয়ে। এর পরের বিয়েতেও তিনি যৌতুক হিসেবে দুটি গরু দেন।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মূল্যবৃদ্ধির জেরে আর সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ১০২ সন্তানের বাবা মুসা হাসাদজির  

আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আফ্রিকার উগান্ডার বুটালেজা জেলার বাসিন্দা মুসা হাসাদজি। বয়স ৬৭ বছর । বাড়িতে  রয়েছেন ১২ জন স্ত্রী, ১০২ সন্তান এবং ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি। সব মিলিয়ে পরিবারে সদস্য সংখ্যা সাতশোর বেশি । মুসার পরিবারই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার।

 

আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে সন্তান জন্মানোর হার হু-হু করে কমছে, কারণটা কী?

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুসা জানিয়েছেন, তিনি আর কোনও সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন না। সেই জন্য মুসা তাঁর স্ত্রীদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে গর্ভ নিরোধক বড়ি সেবন করার কথাও জানিয়েছে তিনি। মূল্যবৃদ্ধির জেরে অতিষ্ট হয়ে মুসা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মুসা জানিয়েছেন, তিনি যা আয় করেন, তাতে এ বাজারে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। মুসা বলেছেন, তাঁর ১২ জন স্ত্রী ১০২ সন্তানসহ  একই বাড়িতে থাকেন।

আরও পড়ুন: “শ্রেষ্ঠ শিশু-আবাস পুরস্কার” পেল পূর্ব-বর্ধমান

 

আরও পড়ুন: ২৫ দিনে গাজায় ৫০০ শিশুকে খুন ইসরাইলের

মুসার ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। । মুসা  বহুবিবাহকে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ বলে মনে করেন। তিনি জানিয়েছেন, উগান্ডায় তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যার এতো জন স্ত্রী রয়েছেন। মুসাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি সব সন্তান ও নাতি-নাতনির নাম জানেন কিনা? জবাবে বলেন, তিনি সবাইকে আলাদা করে চিনতে পারেন। তবে সবার নাম মনে রাখতে পারেন না । ১৭ বছর বয়সে মুসা প্রথম বাবা হন। তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম হানিফা হাসাদজি, কনিষ্ঠ স্ত্রীর নাম জুলাইকা। জুলাইকার বয়স মুসার অনেক নাতি-নাতনির চেয়েও কম।

 

মুসা হাসাদজি এবং তাঁর পরিবার উগান্ডার লুসাকায় বসবাস করেন। সেখানে বহুবিবাহ আইনত বৈধ। তবে তাঁর স্ত্রীরা যাতে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে না যায়, সেই  জন্য তারা সকলেই একসঙ্গে থাকেন। জন্ম-নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মুসার কনিষ্ঠ স্ত্রী জুলাইকা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে তাঁদের আর্থিক অবস্থা অনেকটা খারাপ  হয়েছে। তাই  তিনি এখন আর কোনও সন্তান নেবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  সেই জন্য গর্ভ নিরোধক বড়িও খাচ্ছেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, মুসার শিশুদের এক তৃতীয়াংশের বয়স  ৬ থেকে ৫১ এর  মধ্যে। মুসা যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে মাত্র দু’জন সদস্য ছিলেন। পরিবারের আয় কম ছিল, যার কারণে তাকে মাঝপথে স্কুল ছাড়তে হয়। প্রথম বিয়ের পর বাজরা বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন মুসা। প্রথম দিকে গুলু স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বাজরা কাম্পালায় নিয়ে যেতেন। মুসার ওই ব্যবসা  সফল হয়। এরপর তিনি গরু কেনেন। তাতে সফলতা আসলে মুসা বিয়ে করেন। মুসা যখন প্রথম বিয়ে করেন তখন যৌতুক হিসেবে স্ত্রীকে তিনটি গরু ও চারটি ছাগল দেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করেন একই পরিমাণ যৌতুক দিয়ে। এর পরের বিয়েতেও তিনি যৌতুক হিসেবে দুটি গরু দেন।