১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবে মায়ানমার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
  • / 162

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ‘যোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে মায়ানমার। শুক্রবার ব্যাঙ্ককে বিমস্টেকের ৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন মায়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শিউ।

 

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছয়টি ধাপে ওই আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মায়ানমারকে দিয়েছিল। তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চিহ্নিত করেছে মায়ানমার। আরও ৭০,০০০ রোহিঙ্গার চূড়ান্ত যাচাইকরণের জন্য তাদের ছবি এবং নাম যাচাই-বাছাই করা বাকি রয়েছে। মায়ানমারের কর্তৃপক্ষ আরও নিশ্চিত করেছে, মূল তালিকায় থাকা বাকি ৫,৫০,০০০ রোহিঙ্গার যাচাই দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।

 

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে এবারই প্রথম নিশ্চিত কোনো তালিকা দিয়েছে মায়ানমার। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও স্বেচ্ছামূলক সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসানচরে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে, যাদের অধিকাংশই ২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসে।

মায়ানমার কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ বারবার বলেছে, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করাটা জরুরি। এছাড়া, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজ দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক হলেও তারা নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের নিশ্চয়তা দাবি করে আসছে।

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবে মায়ানমার

আপডেট : ৫ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ‘যোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে মায়ানমার। শুক্রবার ব্যাঙ্ককে বিমস্টেকের ৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন মায়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শিউ।

 

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ছয়টি ধাপে ওই আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মায়ানমারকে দিয়েছিল। তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চিহ্নিত করেছে মায়ানমার। আরও ৭০,০০০ রোহিঙ্গার চূড়ান্ত যাচাইকরণের জন্য তাদের ছবি এবং নাম যাচাই-বাছাই করা বাকি রয়েছে। মায়ানমারের কর্তৃপক্ষ আরও নিশ্চিত করেছে, মূল তালিকায় থাকা বাকি ৫,৫০,০০০ রোহিঙ্গার যাচাই দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।

 

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে এবারই প্রথম নিশ্চিত কোনো তালিকা দিয়েছে মায়ানমার। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও স্বেচ্ছামূলক সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসানচরে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে, যাদের অধিকাংশই ২০১৭ সালে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসে।

মায়ানমার কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ বারবার বলেছে, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করাটা জরুরি। এছাড়া, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজ দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক হলেও তারা নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের নিশ্চয়তা দাবি করে আসছে।