ইউপিতে স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে দশমশ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু , বাবার অভিযোগ গণধর্ষণ করে খুন

- আপডেট : ২৮ মে ২০২৩, রবিবার
- / 14
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ তার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রীর বয়স ১৫ বছর। শুক্রবার ছাত্রীটি অযোধ্যার এক স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে যায়। তার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণ করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ সহ দুজন কর্মী ও ক্রীড়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
মৃতার বাবার বয়ান অনুযায়ী, সকাল সাড়ে আটটা সময় তার মেয়েকে অধ্যক্ষ ডেকে পাঠান। সেই সময় কোনও ক্লাস ছিল না। আমাকে সকাল ৯.৫০ নাগাদ ফোন করে অধ্যক্ষ জানান, আমার মেয়ে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। আমি স্কুলে পৌঁছে দেখি আমার মেয়ের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই দুর্ঘটনায় এটা হওয়া সম্ভব নয়।
ডিআইজি (অযোধ্যা) জি মুনিরাজ জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে দেহের মধ্যে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তে পড়ার সময় ভয়ে দেহে রক্তগুলি জমাট বেঁধে গেছে’।
স্কুলের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, সিসি টিভি ফুটেজ অনুযায়ী দেখা গেছে, ছাত্রীকে ছাদের উপর থেকে পড়ে যেতে।
এদিকে মেয়ের বাবার অভিযোগ, হাসপাতালে তার মেয়ে তাঁকে জানিয়েছে স্কুলের অধ্যক্ষ তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ক্রীড়া শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের দুজন কর্মীর হাতে তাকে তুলে দেয়। গণধর্ষণের পর অপরাধ ঢাকতে তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
অযোধ্যার পুলিশ সুপার(সিটি) মধুবন সিং জানিয়েছেন, শনিবার মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলের অধ্যক্ষ, স্কুলের ম্যানেজার, ক্রীড়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে হত্যা, প্রমাণ মুছে ফেলা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পক্সো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
মৃতার বাবার উপস্থিতিতে পুলিশের সামনে মেয়েটিকে দাহ করা হয়।