০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাইলট থেকে মাদক পাচারের কাজ, হতবাক নারকোটিক্স কন্ট্রোল বিউরোর আধিকারিকরা

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার
  • / 31

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকা থেকে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চালক। তারপর মাঝখানে শারিরিক অসুস্থতার জন্য বিরতি নিয়ে সোজা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন সোহেল গাফফার। এমনটাই দাবি পুলিশের। এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন বিমানচালক আপাতত পুলিশ হেফাজতে।

মুম্বই এর একটি গুদাম থেকে আনুমানিক ১২০ কোটি টাকার ৬০ কেজি মেফেড্রন ড্রাগ উদ্ধার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল বিউরো। এই মাদককাণ্ডে জড়িত দুজনের মধ্যে একজন বিমানচালক, সোহেল। আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত আছে আরও বড় একটি নেটওয়ার্ক। এই সপ্তাহের শুরুতে গুজরাটের জামনগরে একটি ড্রাগ কারবারের সন্ধান পাওয়া গেছিল। তাদের সঙ্গে মুম্বই এর এই ড্রাগ মাফিয়াদের যোগাযোগ আছে বলে জানা গেছে।

সোহেল বিমান চালকের চাকরি থেকে কয়েক বছর আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন। শারিরিক অসুস্থতার জন্য তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে। কি মনে করে হঠাৎ বিমান চালক থেকে মাদক ব্যবসায় তিনি যোগ দিলেন, এই নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন।

এই ড্রাগ পাচারকারীরা প্রায় ২২৫ কেজি মেফেড্রন ড্রাগ বাজারে বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৩ হাজার কেজি ড্রাগ উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ২১ হাজার কোটি টাকা। মেফেড্রন ড্রাগ নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করলে হার্ট, কিডনির পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা ডিপ্রেশন, হ্যালুসিনেশন, প্যানিক অ্যাটাকের মত আরও অন্যান্য জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাইলট থেকে মাদক পাচারের কাজ, হতবাক নারকোটিক্স কন্ট্রোল বিউরোর আধিকারিকরা

আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকা থেকে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চালক। তারপর মাঝখানে শারিরিক অসুস্থতার জন্য বিরতি নিয়ে সোজা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন সোহেল গাফফার। এমনটাই দাবি পুলিশের। এয়ার ইন্ডিয়ার প্রাক্তন বিমানচালক আপাতত পুলিশ হেফাজতে।

মুম্বই এর একটি গুদাম থেকে আনুমানিক ১২০ কোটি টাকার ৬০ কেজি মেফেড্রন ড্রাগ উদ্ধার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল বিউরো। এই মাদককাণ্ডে জড়িত দুজনের মধ্যে একজন বিমানচালক, সোহেল। আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত আছে আরও বড় একটি নেটওয়ার্ক। এই সপ্তাহের শুরুতে গুজরাটের জামনগরে একটি ড্রাগ কারবারের সন্ধান পাওয়া গেছিল। তাদের সঙ্গে মুম্বই এর এই ড্রাগ মাফিয়াদের যোগাযোগ আছে বলে জানা গেছে।

সোহেল বিমান চালকের চাকরি থেকে কয়েক বছর আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন। শারিরিক অসুস্থতার জন্য তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে। কি মনে করে হঠাৎ বিমান চালক থেকে মাদক ব্যবসায় তিনি যোগ দিলেন, এই নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন।

এই ড্রাগ পাচারকারীরা প্রায় ২২৫ কেজি মেফেড্রন ড্রাগ বাজারে বিক্রি করেছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৩ হাজার কেজি ড্রাগ উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ২১ হাজার কোটি টাকা। মেফেড্রন ড্রাগ নেশাদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার করলে হার্ট, কিডনির পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা ডিপ্রেশন, হ্যালুসিনেশন, প্যানিক অ্যাটাকের মত আরও অন্যান্য জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।